নিউইয়র্ক ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জান্তা সরকারকে সহযোগিতা না করতে জাতিসংঘের আহবান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৮ বার পঠিত

মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে অস্ত্র, বিমানের জ্বালানি এবং বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। শুক্রবার জেনিভায় মানবাধিকার পরিষদে তিনি এ আহবান জানান। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

ভলকার তুর্ক বলেন, রোহিঙ্গাসহ দেশটির সব মানুষের বিরুদ্ধে নৃশংসতা প্রতিরোধে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। দেশগুলোর উচিত সামরিক বাহিনীর হাতে অস্ত্র, জেট ফুয়েল এবং বৈদেশিক মুদ্রার সহজলভ্যতা বন্ধ করা, যাতে করে তারা জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে না পারে।

তুর্ক আরও বলেন, দশকের পর দশক ধরে বৈষম্য, নিপীড়ন ও জোর করে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি, অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর রোহিঙ্গারা মূলত বিভিন্ন গ্রাম এবং বন্দিশিবিরে বন্দি হয়ে আছে।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

এরপর ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দী করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তা বাহিনীর নৃশংস হামলায় মিয়ানমার জুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক গণতন্ত্রপন্থি সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।মিয়ানমারের জান্তা-বিরোধি তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের যুদ্ধে হারছে জান্তার সেনাবাহিনী।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জান্তা সরকারকে সহযোগিতা না করতে জাতিসংঘের আহবান

প্রকাশের সময় : ০৫:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে অস্ত্র, বিমানের জ্বালানি এবং বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। শুক্রবার জেনিভায় মানবাধিকার পরিষদে তিনি এ আহবান জানান। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

ভলকার তুর্ক বলেন, রোহিঙ্গাসহ দেশটির সব মানুষের বিরুদ্ধে নৃশংসতা প্রতিরোধে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। দেশগুলোর উচিত সামরিক বাহিনীর হাতে অস্ত্র, জেট ফুয়েল এবং বৈদেশিক মুদ্রার সহজলভ্যতা বন্ধ করা, যাতে করে তারা জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে না পারে।

তুর্ক আরও বলেন, দশকের পর দশক ধরে বৈষম্য, নিপীড়ন ও জোর করে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি, অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর রোহিঙ্গারা মূলত বিভিন্ন গ্রাম এবং বন্দিশিবিরে বন্দি হয়ে আছে।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

এরপর ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দী করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তা বাহিনীর নৃশংস হামলায় মিয়ানমার জুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক গণতন্ত্রপন্থি সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।মিয়ানমারের জান্তা-বিরোধি তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের যুদ্ধে হারছে জান্তার সেনাবাহিনী।

হককথা/নাছরিন