নিউইয়র্ক ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাজপাখিদের জন্য উড়োজাহাজে ৮০টি টিকিট নিলেন সৌদি যুবরাজ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১১৪ বার পঠিত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের এক যুবরাজ একবার বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে যান ৮০টি বাজপাখি। তবে সেসব পাখি কোনো খাঁচায় করে যায়নি। প্রতিটি বাজপাখির জন্য উড়োজাহাজের একটি করে আসন বরাদ্দ ছিল। তিনি প্রতিটি পাখির জন্য টিকিট কেটেছিলেন, যাতে এরা আরামে ও নিরাপদে যেতে পারে। প্রতিটি পাখির মাথায় ছিল হুড, যাতে এরা ওড়াউড়ি করতে না পারে, সে জন্য দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। ২০১৭ সালে সেই উড়োজাহাজ ভ্রমণের ছবি এখন সামাজিক সংবাদমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সামাজিক সংবাদমাধ্যম রেডিটে লেনসো নামের একজন ব্যবহারকারী ওই ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার ক্যাপ্টেন বন্ধু ছবিটি আমাকে পাঠিয়েছে। ছবির ক্যাপশন লেখা, “সৌদি প্রিন্স তাঁর ৮০টি বাজপাখির জন্য টিকিট কিনেছেন”।’

এ ঘটনায় অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে সিএন ট্রাভেলারের খবরে বলা হয়, বাজপাখিদের উড়োজাহাজে করে নেওয়ার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কিছু নয়। বাজপাখির মতো শিকারি পাখিদের খেলা আরব উপদ্বীপে হাজারো বছরের পুরোনো ঐতিহ্য।

আসলে এই খেলা আরও বিশেষ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, এই পাখিদের নিজস্ব পাসপোর্ট থাকে। ফলে তারা মনিবের সঙ্গে দেশের বাইরে যেতে পারে। সাধারণত শিকার বা ফ্যালকোনারি প্রতিযোগিতা থাকলেই এদের বাইরে নিয়ে যান মালিকেরা।

কাতার এয়ারওয়েজ প্রতি যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ ছয়টি বাজপাখি নেওয়ার অনুমতি দেয়। গিজমোদোর খবরে বলা হয়, ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজ মূল কেবিনে বা চেকড ব্যাগেজ হিসেবেও বাজপাখি নিতে দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় পাখি বাজপাখি। এ থেকেই বোঝা যায়, কেন বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় এয়ারলাইনসে এই পাখিদের পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সূত্র : প্রথম আলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাজপাখিদের জন্য উড়োজাহাজে ৮০টি টিকিট নিলেন সৌদি যুবরাজ

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের এক যুবরাজ একবার বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে যান ৮০টি বাজপাখি। তবে সেসব পাখি কোনো খাঁচায় করে যায়নি। প্রতিটি বাজপাখির জন্য উড়োজাহাজের একটি করে আসন বরাদ্দ ছিল। তিনি প্রতিটি পাখির জন্য টিকিট কেটেছিলেন, যাতে এরা আরামে ও নিরাপদে যেতে পারে। প্রতিটি পাখির মাথায় ছিল হুড, যাতে এরা ওড়াউড়ি করতে না পারে, সে জন্য দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। ২০১৭ সালে সেই উড়োজাহাজ ভ্রমণের ছবি এখন সামাজিক সংবাদমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সামাজিক সংবাদমাধ্যম রেডিটে লেনসো নামের একজন ব্যবহারকারী ওই ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার ক্যাপ্টেন বন্ধু ছবিটি আমাকে পাঠিয়েছে। ছবির ক্যাপশন লেখা, “সৌদি প্রিন্স তাঁর ৮০টি বাজপাখির জন্য টিকিট কিনেছেন”।’

এ ঘটনায় অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে সিএন ট্রাভেলারের খবরে বলা হয়, বাজপাখিদের উড়োজাহাজে করে নেওয়ার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কিছু নয়। বাজপাখির মতো শিকারি পাখিদের খেলা আরব উপদ্বীপে হাজারো বছরের পুরোনো ঐতিহ্য।

আসলে এই খেলা আরও বিশেষ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, এই পাখিদের নিজস্ব পাসপোর্ট থাকে। ফলে তারা মনিবের সঙ্গে দেশের বাইরে যেতে পারে। সাধারণত শিকার বা ফ্যালকোনারি প্রতিযোগিতা থাকলেই এদের বাইরে নিয়ে যান মালিকেরা।

কাতার এয়ারওয়েজ প্রতি যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ ছয়টি বাজপাখি নেওয়ার অনুমতি দেয়। গিজমোদোর খবরে বলা হয়, ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজ মূল কেবিনে বা চেকড ব্যাগেজ হিসেবেও বাজপাখি নিতে দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় পাখি বাজপাখি। এ থেকেই বোঝা যায়, কেন বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় এয়ারলাইনসে এই পাখিদের পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সূত্র : প্রথম আলো।