নিউইয়র্ক ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চুক্তি ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধার সম্ভব নয়, বললেন ইসরায়েলি কমান্ডাররা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর চার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চুক্তি করা ছাড়া জিম্মিদের তারা মুক্ত করতে পারবেন না। হামাসকে নির্মূল করা, আবার একই সঙ্গে জিম্মিদের মুক্ত করা পুরোপুরি ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান তারা। এই কমান্ডারদের কেউই নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।

তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পরবর্তীতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কমান্ডারদের এ ধরনের মূল্যায়ন নিয়ে জ্ঞাত নয় এবং তাদের মতামতের সঙ্গে আইডিএফের অবস্থানের কোনো মিল নেই।

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কমান্ডাররা জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তারা অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, হামাসের সঙ্গে কোনো চুক্তি ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধার কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

তারা সংবাদমাধ্যমটিকে আরও জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর— যুদ্ধের যে গতি ছিল— সেটি পরবর্তীতে ধরে রাখা যায়নি। তারা ভেবেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে গাজা সিটি, খান ইউনিস এবং রাফাহ ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এখন পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারলেও। দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে ইসরায়েলি সেনারা। অপরদিকে রাফাহতে তারা এখনো কোনো ধরনের অভিযান শুরুই করতে পারেনি।

এছাড়া হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ নিয়েও কথা বলেছেন এই কমান্ডাররা। তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর আগে তারা ভেবেছিলেন গাজায় হামাসের ১০০ মাইল সুড়ঙ্গ রয়েছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পারছেন ছোট্ট এ উপত্যকায় ৪৫০ মাইলেরও বেশি সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে হামাস। আর সুড়ঙ্গগুলো এতটাই জটিল যে, যদি সেখানে কোনো জিম্মিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয় তাহলে তাদের জীবিত উদ্ধারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সূত্র  : টাইমস অব ইসরায়েল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চুক্তি ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধার সম্ভব নয়, বললেন ইসরায়েলি কমান্ডাররা

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর চার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চুক্তি করা ছাড়া জিম্মিদের তারা মুক্ত করতে পারবেন না। হামাসকে নির্মূল করা, আবার একই সঙ্গে জিম্মিদের মুক্ত করা পুরোপুরি ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান তারা। এই কমান্ডারদের কেউই নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।

তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পরবর্তীতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কমান্ডারদের এ ধরনের মূল্যায়ন নিয়ে জ্ঞাত নয় এবং তাদের মতামতের সঙ্গে আইডিএফের অবস্থানের কোনো মিল নেই।

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কমান্ডাররা জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তারা অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, হামাসের সঙ্গে কোনো চুক্তি ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধার কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

তারা সংবাদমাধ্যমটিকে আরও জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর— যুদ্ধের যে গতি ছিল— সেটি পরবর্তীতে ধরে রাখা যায়নি। তারা ভেবেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে গাজা সিটি, খান ইউনিস এবং রাফাহ ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এখন পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারলেও। দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে ইসরায়েলি সেনারা। অপরদিকে রাফাহতে তারা এখনো কোনো ধরনের অভিযান শুরুই করতে পারেনি।

এছাড়া হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ নিয়েও কথা বলেছেন এই কমান্ডাররা। তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর আগে তারা ভেবেছিলেন গাজায় হামাসের ১০০ মাইল সুড়ঙ্গ রয়েছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পারছেন ছোট্ট এ উপত্যকায় ৪৫০ মাইলেরও বেশি সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে হামাস। আর সুড়ঙ্গগুলো এতটাই জটিল যে, যদি সেখানে কোনো জিম্মিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয় তাহলে তাদের জীবিত উদ্ধারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সূত্র  : টাইমস অব ইসরায়েল

হককথা/নাছরিন