নিউইয়র্ক ০১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুদ্ধে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ইসরায়েলে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৭ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় সাড়ে তিন মাস ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান ও ড্রোন হামলার পাশাপাশি স্থল বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপ ও লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের দাবি করে গাজায় নিবিড় স্থল অভিযানে লাগাম টানতে যাচ্ছে তেল আবিব। এরই মধ্যে কিছু সেনা প্রত্যাহারও করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলে ফের হামাসের বড় ধরনের রকেট হামলা সামরিক অভিযানে লাগাম টানার সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় ছয় মাইল দূরে ইসরায়েলি শহর নেটিভোটকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। মঙ্গলবার প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একদিনে অর্ধশত রকেট হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল বাহিনীর বিধ্বংসী হামলার পরও হামাসের এ আক্রমণ তাদের অব্যাহত সক্ষমতা তুলে ধরে। অর্থাৎ তেল আবিব অস্ত্রাগার, টানেলসহ হামাসকে চূর্ণবিচূর্ণ করার যে দাবি করে আসছে, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা।

এর আগে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানান, উত্তর গাজায় ‘নিবিড়’ স্থল অভিযান শেষ করা হয়েছে এবং শিগগিরই দক্ষিণেও সেই পর্যায়টি গুটিয়ে নেওয়া হবে বলে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার উত্তর গাজা থেকে সামরিক বাহিনীর একটি ডিভিশন প্রত্যাহার করে তেল আবিব। মঙ্গলবার সকালে হামাসের রকেট হামলার পর নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের ডানপন্থি সদস্যরা সেই সিদ্ধান্তের জরুরি পুনঃপরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে আবার হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের পরিবারগুলোও সরকারকে বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে মঙ্গলবার জিম্মিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ আরও বাড়ানো এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিজেদের হাতে আটক জঙ্গিদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হামাস; বিনিময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় আরও বেশি ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ করতে দেবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ৪৪৮ জন ছাড়িয়েছে।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুদ্ধে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ইসরায়েলে

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় সাড়ে তিন মাস ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান ও ড্রোন হামলার পাশাপাশি স্থল বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপ ও লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের দাবি করে গাজায় নিবিড় স্থল অভিযানে লাগাম টানতে যাচ্ছে তেল আবিব। এরই মধ্যে কিছু সেনা প্রত্যাহারও করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলে ফের হামাসের বড় ধরনের রকেট হামলা সামরিক অভিযানে লাগাম টানার সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় ছয় মাইল দূরে ইসরায়েলি শহর নেটিভোটকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। মঙ্গলবার প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একদিনে অর্ধশত রকেট হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল বাহিনীর বিধ্বংসী হামলার পরও হামাসের এ আক্রমণ তাদের অব্যাহত সক্ষমতা তুলে ধরে। অর্থাৎ তেল আবিব অস্ত্রাগার, টানেলসহ হামাসকে চূর্ণবিচূর্ণ করার যে দাবি করে আসছে, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা।

এর আগে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানান, উত্তর গাজায় ‘নিবিড়’ স্থল অভিযান শেষ করা হয়েছে এবং শিগগিরই দক্ষিণেও সেই পর্যায়টি গুটিয়ে নেওয়া হবে বলে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার উত্তর গাজা থেকে সামরিক বাহিনীর একটি ডিভিশন প্রত্যাহার করে তেল আবিব। মঙ্গলবার সকালে হামাসের রকেট হামলার পর নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের ডানপন্থি সদস্যরা সেই সিদ্ধান্তের জরুরি পুনঃপরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে আবার হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের পরিবারগুলোও সরকারকে বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে মঙ্গলবার জিম্মিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ আরও বাড়ানো এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিজেদের হাতে আটক জঙ্গিদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হামাস; বিনিময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় আরও বেশি ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ করতে দেবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ৪৪৮ জন ছাড়িয়েছে।

হককথা/নাছরিন