নিউইয়র্ক ০২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েলকে আর অস্ত্র দেবে না কানাডা সরকার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৮ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলে প্রাণঘাতী অস্ত্রের রপ্তানি স্থগিত করেছে কানাডা। দেশটির সরকারের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এএফপিকে।

প্রসঙ্গত, কানাডার সমরাস্ত্রের অন্যতম শীর্ষ ১০ ক্রেতাদেশের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। কানাডার বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি।

চলতি মার্চ মাসের শুরুর দকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। সেখানে তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

এই অভিযোগকে আমলে নিয়ে সোমবার একটি রেজোল্যুশন পাস করে কানাডার পার্লামেন্ট। রেজোলুশ্যনটিতে বলা হয়েছে, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ ইক্যুইপমেন্ট বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না।

সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দু’টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন বা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বানও জানানো হয়েছে রেজোল্যুশনে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে শতাধিককে ইতোমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। এই নিহত ও আহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। সূত্র : এএফপি

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলকে আর অস্ত্র দেবে না কানাডা সরকার

প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

ইসরায়েলে প্রাণঘাতী অস্ত্রের রপ্তানি স্থগিত করেছে কানাডা। দেশটির সরকারের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এএফপিকে।

প্রসঙ্গত, কানাডার সমরাস্ত্রের অন্যতম শীর্ষ ১০ ক্রেতাদেশের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। কানাডার বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি।

চলতি মার্চ মাসের শুরুর দকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। সেখানে তারা বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

এই অভিযোগকে আমলে নিয়ে সোমবার একটি রেজোল্যুশন পাস করে কানাডার পার্লামেন্ট। রেজোলুশ্যনটিতে বলা হয়েছে, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ ইক্যুইপমেন্ট বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না।

সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দু’টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন বা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বানও জানানো হয়েছে রেজোল্যুশনে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে শতাধিককে ইতোমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। এই নিহত ও আহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। সূত্র : এএফপি

হককথা/নাছরিন