রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
- প্রকাশের সময় : ০২:২৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
- / ৭৮ বার পঠিত
জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। সংস্থাটির কার্যক্রম নবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভোট হয়। এসময় এর বিপক্ষে ভেটো দেয় রাশিয়া। ওই প্যানেলটি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের জারি করা নিষেধাজ্ঞাগুলো পর্যবেক্ষণ করছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির দায়ে ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেই বিধিনিষেধগুলো এখনও বলবৎ আছে। তবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার কারণে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার ‘পর্যবেক্ষণ’ কার্যকরভাবে বাতিল হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের ওই প্যানেল নবায়নের প্রস্তাবে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে পক্ষে ১৩টি সদস্য পক্ষে ভোট দেয়। এসময় এই প্রস্তাবে ভেটো দেয় রাশিয়া। আর ভোটদানে বিরত ছিল রাশিয়ার মিত্র দেশ চীন। প্রথমবারের মতো প্যানেলটিকে অবরুদ্ধ করেছে রাশিয়া। গত ১৪ বছর ধরে এটি নবায়ন করে আসছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
এদিকে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা। বিবিসি বলেছে, গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের ওই প্যানেলটি বলেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, রাশিয়ার ভেটো দেওয়া একটি অন্যায় আবেদন করার শামিল। দেশটি ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করে নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স বলেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র কেনাসহ অন্যান্য নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি শুরু করায় নজরদারি সংস্থাটির নবায়নে বাধা দিয়েছে রাশিয়া।
২০১৯ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞাগুলোকে শিথিল করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া ও চীন। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল নিরাপত্তা পরিষদ। পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কার্যকলাপ অব্যাহত থাকায় পরে আরও ১০টি প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল।