নিউইয়র্ক ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তাইওয়ান অবশ্যই চীনের সঙ্গে একীভূত হবে : চীনা প্রেসিডেন্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১২৮ বার পঠিত

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। ছবি: এএফপি

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তিনি বলেছেন, তাইওয়ান অবশ্যই চীনের সঙ্গে একীভূত হবে। তিনি এমন একসময়ে এই মন্তব্য করলেন. যখন তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মাতৃভূমির (চীনের) সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একীভূত হয়ে যাওয়ার উপলব্ধির বিষয়টি উন্নয়নের একটি অনিবার্য ধারা। দেশের ন্যায়পরায়ণ জনগণও এটি চায়।’ ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘মাতৃভূমি (চীন ও তাইওয়ান) অবশ্যই আবারও একীভূত হবে।’

তাইওয়ানকে অনেক আগে থেকেই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দফায় দফায় কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ তাইওয়ানকে নিয়ে চীনের পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানিয়েছেন সি চিন পিং। তিনি বাইডেনকে বলেছেন, চীন অবশ্যই তাইওয়ানকে নিজের সঙ্গে একীভূত করে নেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও জো বাইডেন। সেই বৈঠকেই সি বাইডেনকে জানান, চীন অবশ্যই তাইওয়ানকে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করবে। তবে কবে নাগাদ করা হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি সি।

আলোচনায় উপস্থিত একাধিক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সি যখন তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়ার বিষয়টি বাইডেনকে বলছিলেন, তখন তাঁকে খুব আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ়প্রত্যয়ী মনে হচ্ছিল। তবে বৈঠকে ওই সময় তাঁকে কোনো অবস্থাতেই সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছিল না।

এ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘তিনি (সি) যখন এ বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন অতীতেও বিষয়টি যেভাবে বলেছেন সে রকমই মনে হচ্ছিল। তিনি তাইওয়ান ইস্যুতে সব সময়ই কঠোর অবস্থানে এবং বিষয়টি তিনি সব সময়ই কঠোরভাবে প্রকাশ করেছেন।’

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তাইওয়ান অবশ্যই চীনের সঙ্গে একীভূত হবে : চীনা প্রেসিডেন্ট

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তিনি বলেছেন, তাইওয়ান অবশ্যই চীনের সঙ্গে একীভূত হবে। তিনি এমন একসময়ে এই মন্তব্য করলেন. যখন তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মাতৃভূমির (চীনের) সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একীভূত হয়ে যাওয়ার উপলব্ধির বিষয়টি উন্নয়নের একটি অনিবার্য ধারা। দেশের ন্যায়পরায়ণ জনগণও এটি চায়।’ ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘মাতৃভূমি (চীন ও তাইওয়ান) অবশ্যই আবারও একীভূত হবে।’

তাইওয়ানকে অনেক আগে থেকেই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দফায় দফায় কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ তাইওয়ানকে নিয়ে চীনের পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানিয়েছেন সি চিন পিং। তিনি বাইডেনকে বলেছেন, চীন অবশ্যই তাইওয়ানকে নিজের সঙ্গে একীভূত করে নেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও জো বাইডেন। সেই বৈঠকেই সি বাইডেনকে জানান, চীন অবশ্যই তাইওয়ানকে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করবে। তবে কবে নাগাদ করা হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি সি।

আলোচনায় উপস্থিত একাধিক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সি যখন তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়ার বিষয়টি বাইডেনকে বলছিলেন, তখন তাঁকে খুব আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ়প্রত্যয়ী মনে হচ্ছিল। তবে বৈঠকে ওই সময় তাঁকে কোনো অবস্থাতেই সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছিল না।

এ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘তিনি (সি) যখন এ বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন অতীতেও বিষয়টি যেভাবে বলেছেন সে রকমই মনে হচ্ছিল। তিনি তাইওয়ান ইস্যুতে সব সময়ই কঠোর অবস্থানে এবং বিষয়টি তিনি সব সময়ই কঠোরভাবে প্রকাশ করেছেন।’

হককথা/নাছরিন