নিউইয়র্ক ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সুয়েজ খালের আয় কমেছে ৫০ শতাংশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১২২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এর ফলে ওই রুট দিয়ে চলাচলকারী প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যবাহী জাহাজ রুট পরিবর্তন করেছে। এতে সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাপকভাবে কমে গেছে। মিসরের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস সুয়েজ খাল।

হুতি বিদ্রোহীদের হামলার কারণে সৃষ্ট সংকটে আগের বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালে সুয়েজ খালের আয় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসি।

হামলার কারণে বড় শিপিং কম্পানিগুলো লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে। এসব জাহাজ এখন আফ্রিকা ঘুরে কয়েক হাজার মাইল পথ অতিরিক্ত পাড়ি দিয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করছে। এর ফলে পণ্য পরিবহনের খরচ যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল কমে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মিসর।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তেল কম্পানিগুলোর সঙ্গে এক সভায় মিসরীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সুয়েজ খাল থেকে মিসর প্রতিবছর প্রায় হাজার কোটি ডলার আয় করত, সেই রাজস্ব এখন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। অথচ আমাদের কম্পানি ও অংশীদারদের ঠিকই অর্থ দিতে হচ্ছে।’ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাল থেকে মিসরের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার।

জাতিসংঘ গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে জানিয়েছিল, আগের দুই মাসে সুয়েজ খাল দিয়ে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা ৪২ শতাংশ কমেছে।

জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আংকটাড) তথ্যমতে, আগের বছরের তুলনায় সুয়েজ খাল দিয়ে সাপ্তাহিক কনটেইনার জাহাজ চলাচল কমেছে ৬৭ শতাংশ, ট্যাংকারের ট্রানজিট ১৮ শতাংশ, শস্য ও কয়লা বহনকারী বাল্ক কার্গো জাহাজের ট্রানজিট কমেছে ৬ শতাংশ এবং গ্যাস পরিবহন কার্যত স্থবিরই হয়ে পড়েছে।

এশিয়া ও ইউরোপকে সংযোগকারী বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত নৌ রুট সুয়েজ খাল। এর দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার বা ১২০ মাইল। বিশ্ববাণিজ্যের ১২ শতাংশ পরিবহন হয় এই পথ দিয়ে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী সুয়েজ খাল দিয়ে বিশ্বের ১০ শতাংশ তেল বাণিজ্য এবং ৮ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের বাণিজ্য হয়ে থাকে। সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সুয়েজ খালের আয় কমেছে ৫০ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এর ফলে ওই রুট দিয়ে চলাচলকারী প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যবাহী জাহাজ রুট পরিবর্তন করেছে। এতে সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাপকভাবে কমে গেছে। মিসরের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস সুয়েজ খাল।

হুতি বিদ্রোহীদের হামলার কারণে সৃষ্ট সংকটে আগের বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালে সুয়েজ খালের আয় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসি।

হামলার কারণে বড় শিপিং কম্পানিগুলো লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে। এসব জাহাজ এখন আফ্রিকা ঘুরে কয়েক হাজার মাইল পথ অতিরিক্ত পাড়ি দিয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করছে। এর ফলে পণ্য পরিবহনের খরচ যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল কমে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মিসর।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তেল কম্পানিগুলোর সঙ্গে এক সভায় মিসরীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সুয়েজ খাল থেকে মিসর প্রতিবছর প্রায় হাজার কোটি ডলার আয় করত, সেই রাজস্ব এখন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। অথচ আমাদের কম্পানি ও অংশীদারদের ঠিকই অর্থ দিতে হচ্ছে।’ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাল থেকে মিসরের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার।

জাতিসংঘ গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে জানিয়েছিল, আগের দুই মাসে সুয়েজ খাল দিয়ে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা ৪২ শতাংশ কমেছে।

জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আংকটাড) তথ্যমতে, আগের বছরের তুলনায় সুয়েজ খাল দিয়ে সাপ্তাহিক কনটেইনার জাহাজ চলাচল কমেছে ৬৭ শতাংশ, ট্যাংকারের ট্রানজিট ১৮ শতাংশ, শস্য ও কয়লা বহনকারী বাল্ক কার্গো জাহাজের ট্রানজিট কমেছে ৬ শতাংশ এবং গ্যাস পরিবহন কার্যত স্থবিরই হয়ে পড়েছে।

এশিয়া ও ইউরোপকে সংযোগকারী বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত নৌ রুট সুয়েজ খাল। এর দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার বা ১২০ মাইল। বিশ্ববাণিজ্যের ১২ শতাংশ পরিবহন হয় এই পথ দিয়ে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী সুয়েজ খাল দিয়ে বিশ্বের ১০ শতাংশ তেল বাণিজ্য এবং ৮ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের বাণিজ্য হয়ে থাকে। সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি।

হককথা/নাছরিন