নিউইয়র্ক ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক দশক পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ল বিয়ের হার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৫০ বার পঠিত

ÇÔÁ¤¿ì¡¤°­¿¹¸°, ³²³à ÇÁ·Î°ñÇÁ ¼±¼ö ºÎºÎ ź»ý (¼­¿ï=¿¬ÇÕ´º½º) Çѱ¹ÇÁ·Î°ñÇÁ(KPGA) ÄÚ¸®¾ÈÅõ¾î¿¡¼­ Åë»ê 2½ÂÀ» °ÅµÐ ÇÔÁ¤¿ì(28)¿Í Çѱ¹¿©ÀÚÇÁ·Î°ñÇÁ(KLPGA) Åõ¾î ¼±¼öÀÎ °­¿¹¸°(28)ÀÌ 19ÀÏ °áÈ¥½ÄÀ» ¿Ã¸°´Ù°í ÇÔÁ¤¿ìÀÇ ¸Å´ÏÁö¸ÕÆ® ȸ»çÀÎ SIG°¡ 17ÀÏ ¹àÇû´Ù. »çÁøÀº ÇÔÁ¤¿ì¿Í °­¿¹¸°. 2022.3.17 [SIG Á¦°ø. ÀçÆǸŠ¹× DB ±ÝÁö] photo@yna.co.kr/2022-03-17 11:18:39/

এক দশক পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ল বিয়ের হার। মহামারির পর ২০২৩ সাল থেকে দেশটিতে বিয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। গত সপ্তাহে কোরিয়ার সরকারের পরিসংখ্যানে বিষয়টি উঠে এসেছে। সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, গত বছর মোট ১৯৩,৬৫৭ দম্পতি বিয়ে করেছেন, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১.০ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে দেশটির ১৯১,৬৯০ জন নাগরিক বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ে না করার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আর্থসামাজিক অবস্থা। দেশটিতে আবাসনের ক্রমবর্ধমান ব্যয়কে অনেকেই বহন করতে পারে না। সাধারণত বিয়েকে সন্তান জন্মদানের পূর্বশর্ত হিসাবে দেখা হয়। ফলে অসংখ্য নারী সন্তান না নেওয়ার অনীহায় বিয়েবন্ধন থেকে দূরে থাকতে চায়। পাশাপাশি এক্ষেত্রে নারীরা তাদের ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিতে গিয়েও এমন সিদ্ধান্ত নেয়।

২০২২ সালে বিয়ের হার সবচেয়ে কম দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। প্রায় ০.৪ শতাংশে নেমেছিল এ হার। অবশ্য কোভিড-১৯ মহামারিতে নানা বিধিনিষেধের কারণে এমনটি ঘটেছিল। এর আগে ২০২১ সালে বিয়ের সংখ্যা ৯.৮ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১০.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। ২০২৩ সালে বিয়ের হার বাড়ার কারণ সম্পর্কে গবেষকরা বলছে, লকডাউনের আগে অনেকেই বিয়ে নিয়ে ভাবছিল। কিন্তু হঠাৎ মহামারিতে সুযোগের অভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

এ বিষয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছে, ‘২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বছরের পর বছর বিয়ে কমেছে, যা ইঙ্গিত করে যে যারা কোভিড-১৯ এর কারণে বিয়েতে বিলম্ব করেছিল তারা এখন বেশির ভাগই বিয়ে করেছে।’ শুধুমাত্র বিয়ে নয়, সন্তান জন্মদানেও ব্যাপক অনীহা রয়েছে অসংখ্য নারী-পুরুষের মধ্যে।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি ১৯ থেকে ২৩ বছর বয়সি ৫০০ দক্ষিণ কোরিয়ানদের ওপর একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার প্রতিবেদন করেছে। এতে দেখা গেছে যে, ৫০.৪ শতাংশ নাগরিক বিয়ে বা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেননি।

সরকার বলেছে যে তারা কম জন্মহার মোকাবিলা করতে ‘অসাধারণ ব্যবস্থা’ নেবে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো এপ্রিলের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণদের জন্য পাবলিক হাউজিং এবং সহজ ঋণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে শুধু দক্ষিণ কোরিয়াই নয় এমন দৃশ্য চীনেরও। প্রতিবেশী দেশটিতে ২০২৩ সালে বিয়ের হার ১২.৪ শতাংশ বেড়েছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এক দশক পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ল বিয়ের হার

প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

এক দশক পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ল বিয়ের হার। মহামারির পর ২০২৩ সাল থেকে দেশটিতে বিয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। গত সপ্তাহে কোরিয়ার সরকারের পরিসংখ্যানে বিষয়টি উঠে এসেছে। সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, গত বছর মোট ১৯৩,৬৫৭ দম্পতি বিয়ে করেছেন, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১.০ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে দেশটির ১৯১,৬৯০ জন নাগরিক বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ে না করার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আর্থসামাজিক অবস্থা। দেশটিতে আবাসনের ক্রমবর্ধমান ব্যয়কে অনেকেই বহন করতে পারে না। সাধারণত বিয়েকে সন্তান জন্মদানের পূর্বশর্ত হিসাবে দেখা হয়। ফলে অসংখ্য নারী সন্তান না নেওয়ার অনীহায় বিয়েবন্ধন থেকে দূরে থাকতে চায়। পাশাপাশি এক্ষেত্রে নারীরা তাদের ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিতে গিয়েও এমন সিদ্ধান্ত নেয়।

২০২২ সালে বিয়ের হার সবচেয়ে কম দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। প্রায় ০.৪ শতাংশে নেমেছিল এ হার। অবশ্য কোভিড-১৯ মহামারিতে নানা বিধিনিষেধের কারণে এমনটি ঘটেছিল। এর আগে ২০২১ সালে বিয়ের সংখ্যা ৯.৮ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১০.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। ২০২৩ সালে বিয়ের হার বাড়ার কারণ সম্পর্কে গবেষকরা বলছে, লকডাউনের আগে অনেকেই বিয়ে নিয়ে ভাবছিল। কিন্তু হঠাৎ মহামারিতে সুযোগের অভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

এ বিষয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছে, ‘২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বছরের পর বছর বিয়ে কমেছে, যা ইঙ্গিত করে যে যারা কোভিড-১৯ এর কারণে বিয়েতে বিলম্ব করেছিল তারা এখন বেশির ভাগই বিয়ে করেছে।’ শুধুমাত্র বিয়ে নয়, সন্তান জন্মদানেও ব্যাপক অনীহা রয়েছে অসংখ্য নারী-পুরুষের মধ্যে।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি ১৯ থেকে ২৩ বছর বয়সি ৫০০ দক্ষিণ কোরিয়ানদের ওপর একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার প্রতিবেদন করেছে। এতে দেখা গেছে যে, ৫০.৪ শতাংশ নাগরিক বিয়ে বা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেননি।

সরকার বলেছে যে তারা কম জন্মহার মোকাবিলা করতে ‘অসাধারণ ব্যবস্থা’ নেবে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো এপ্রিলের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণদের জন্য পাবলিক হাউজিং এবং সহজ ঋণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে শুধু দক্ষিণ কোরিয়াই নয় এমন দৃশ্য চীনেরও। প্রতিবেশী দেশটিতে ২০২৩ সালে বিয়ের হার ১২.৪ শতাংশ বেড়েছে।