নিউইয়র্ক ০৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৬৩ বার পঠিত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার অপরাধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে অব্যাহতভাবে চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও বোমা হামলায় ২১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর এমন অভিযোগে মামলা করল দেশটি।

তবে জাতিসংঘের আদালতে মামলাটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। যদিও দেশটিকে ফিলিস্তিনিদের ওপর সম্মিলিত শাস্তির অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ওই আদালতে করা মামলার আবেদনে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যামূলক উল্লেখ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেননা ইসরায়েল উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, জাতিগত ও জাতিগোষ্ঠী ধ্বংস করেছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলা হয়েছে বলেও মামলার আবেদনে বলা হয়। মামলার আবেদনে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, যেটিকে বিশ্ব আদালতও বলা হয়। এটি একটি জাতিসংঘের দেওয়ানি আদালত। যা দেশগুলোর মধ্যে বিরোধের বিচার করে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা, যা যুদ্ধাপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল উভয় দেশ এই আদালতের আওতাধীন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা গাজা ও দখল করা পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে তার দেশে ১৯৯৪ সালে অবসান হওয়া শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুর বর্ণবাদ শাসনের জাতিগত বিভাজনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থাও বলেছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতি বর্ণবাদের শামিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার ভাষ্য, ইসরায়েলের আচরণ, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করে দেশটি। এ জন্য দ্রুত শুনানির আহ্বান জানানো হয়েছে। মামলার আবেদনে কনভেনশনের অধীনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা, গুরুতর ও অপূরণীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে বিবিসি ও এএফপির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী এবার গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে বড় পরিসরে অভিযান শুরু করেছে। এতদিন গাজা নগরসহ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির উত্তর ও দক্ষিণে হামলার তীব্রতা ছিল বেশি। জাতিসংঘ বলছে, টানা হামলায় নতুন করে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫০৭ জনে। সূত্র : আল-জাজিরা।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা

প্রকাশের সময় : ০৬:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার অপরাধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে অব্যাহতভাবে চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও বোমা হামলায় ২১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর এমন অভিযোগে মামলা করল দেশটি।

তবে জাতিসংঘের আদালতে মামলাটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। যদিও দেশটিকে ফিলিস্তিনিদের ওপর সম্মিলিত শাস্তির অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ওই আদালতে করা মামলার আবেদনে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যামূলক উল্লেখ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেননা ইসরায়েল উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, জাতিগত ও জাতিগোষ্ঠী ধ্বংস করেছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলা হয়েছে বলেও মামলার আবেদনে বলা হয়। মামলার আবেদনে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, যেটিকে বিশ্ব আদালতও বলা হয়। এটি একটি জাতিসংঘের দেওয়ানি আদালত। যা দেশগুলোর মধ্যে বিরোধের বিচার করে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা, যা যুদ্ধাপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল উভয় দেশ এই আদালতের আওতাধীন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা গাজা ও দখল করা পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে তার দেশে ১৯৯৪ সালে অবসান হওয়া শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুর বর্ণবাদ শাসনের জাতিগত বিভাজনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থাও বলেছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতি বর্ণবাদের শামিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার ভাষ্য, ইসরায়েলের আচরণ, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করে দেশটি। এ জন্য দ্রুত শুনানির আহ্বান জানানো হয়েছে। মামলার আবেদনে কনভেনশনের অধীনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা, গুরুতর ও অপূরণীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে বিবিসি ও এএফপির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী এবার গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে বড় পরিসরে অভিযান শুরু করেছে। এতদিন গাজা নগরসহ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির উত্তর ও দক্ষিণে হামলার তীব্রতা ছিল বেশি। জাতিসংঘ বলছে, টানা হামলায় নতুন করে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫০৭ জনে। সূত্র : আল-জাজিরা।

হককথা/নাছরিন