নিউইয়র্ক ০১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় রাশিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৮ বার পঠিত

এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস। ফাইল ছবি : এএফপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেইস অনুসারে, রুশ পুলিশ এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস, লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং লাটভিয়ার পূর্ববর্তী সংসদের সদস্যদের ওয়ান্টেড তালিকায় রেখেছে, যার অর্থ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্যালাসকে ‘ঐতিহাসিক স্মৃতি অপবিত্র করার’ দায়ে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা তাস বলেছে, বাল্টিক কর্মকর্তাদের ‘সোভিয়েত সেনাদের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়ার ফৌজদারি আইনে এ অপরাধের সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।

রাশিয়ার এ পদক্ষেপের ফলে এখন বাল্টিক রাজনীতিবিদরা রাশিয়ার সীমানা অতিক্রম করলেই গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অন্যথায় তাঁদের ‘ওয়ান্টেড’ হিসেবে ঘোষণা করার কোনো বাস্তব ফলাফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেইস অনুসারে, ক্যালাসের পাশাপাশি এস্তোনিয়ান স্টেট সেক্রেটারি তাইমার পিটারকপ, লিথুয়ানিয়ান সংস্কৃতিমন্ত্রী সিমোনাস কাইরিস এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়া লাটভিয়ার সংসদের ১০০ জন সদস্যের মধ্যে প্রায় ৬০ জনকে তালিকায় রাখা হয়েছে।

ক্যালাস এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘ক্রেমলিন এখন আশা করে, তাদের এই পদক্ষেপ আমাকে এবং অন্যদের নীরব করতে সাহায্য করবে।

কিন্তু এটি হবে না। আমি ইউক্রেনের প্রতি আমার দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখব। আমি ইউরোপের প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য দাঁড়ানো অব্যাহত রাখব।’ রাশিয়ার এই পদক্ষেপটি বিস্ময়কর ছাড়া কিছু না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।কাইরিস গ্রেপ্তারের আদেশ সম্পর্কে বলেছেন, রাশিয়ার এ পদক্ষেপের অর্থ ‘আমি সক্রিয়ভাবে ও নীতিগতভাবে কাজ করেছি’।

প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ার মতো বাল্টিক দেশগুলো তাদের সোভিয়েত যুগের অধিকাংশ স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলে, যার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সোভিয়েত সেনাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভও রয়েছে।

প্রতিক্রিয়ায় রুশ তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিন বিষয়টি নিয়ে একটি ফৌজদারি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু। নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদ থেকে বিশ্বের মুক্তিদাতাদের স্মৃতির বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হওয়া উচিত।

তিনটিই দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সদস্য এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক তীব্রভাবে খারাপ হয়েছে। মেয়র, মিউনিসিপ্যাল ডেপুটি, লাটভিয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজা গোলুবেভাসহ আরো কয়েক ডজন অন্যান্য বাল্টিক রাজনীতিবিদকে রাশিয়ার ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল।

ক্যালাস ২০২২ সালে বলেছিলেন, এস্তোনিয়ার কর্তৃপক্ষ এই জাতীয় ২০০ থেকে ৪০০টি স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলবে। রুশভাষী নার্ভা শহরের কাছের একটি সোভিয়েত ট্যাংক আগস্টে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। লাটভিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বিজয়ের স্মরণে নির্মিত একটি ৮৪ মিটার কাঠামো বুলডোজার দিয়ে চূর্ণ করা হয়েছিল। লাটভিয়ায় হাজার হাজার রুশ ভাষাভাষী প্রতি ৯ মে স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে জড়ো হতেন। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর তাদের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। লিথুয়ানিয়া ২০২২ সালে সোভিয়েত সেনাদের কয়েক ডজন স্মারক সরিয়ে দেয়। সূত্র : রয়টার্স

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় রাশিয়া

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেইস অনুসারে, রুশ পুলিশ এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস, লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং লাটভিয়ার পূর্ববর্তী সংসদের সদস্যদের ওয়ান্টেড তালিকায় রেখেছে, যার অর্থ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্যালাসকে ‘ঐতিহাসিক স্মৃতি অপবিত্র করার’ দায়ে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা তাস বলেছে, বাল্টিক কর্মকর্তাদের ‘সোভিয়েত সেনাদের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়ার ফৌজদারি আইনে এ অপরাধের সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।

রাশিয়ার এ পদক্ষেপের ফলে এখন বাল্টিক রাজনীতিবিদরা রাশিয়ার সীমানা অতিক্রম করলেই গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অন্যথায় তাঁদের ‘ওয়ান্টেড’ হিসেবে ঘোষণা করার কোনো বাস্তব ফলাফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেইস অনুসারে, ক্যালাসের পাশাপাশি এস্তোনিয়ান স্টেট সেক্রেটারি তাইমার পিটারকপ, লিথুয়ানিয়ান সংস্কৃতিমন্ত্রী সিমোনাস কাইরিস এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়া লাটভিয়ার সংসদের ১০০ জন সদস্যের মধ্যে প্রায় ৬০ জনকে তালিকায় রাখা হয়েছে।

ক্যালাস এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘ক্রেমলিন এখন আশা করে, তাদের এই পদক্ষেপ আমাকে এবং অন্যদের নীরব করতে সাহায্য করবে।

কিন্তু এটি হবে না। আমি ইউক্রেনের প্রতি আমার দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখব। আমি ইউরোপের প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য দাঁড়ানো অব্যাহত রাখব।’ রাশিয়ার এই পদক্ষেপটি বিস্ময়কর ছাড়া কিছু না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।কাইরিস গ্রেপ্তারের আদেশ সম্পর্কে বলেছেন, রাশিয়ার এ পদক্ষেপের অর্থ ‘আমি সক্রিয়ভাবে ও নীতিগতভাবে কাজ করেছি’।

প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ার মতো বাল্টিক দেশগুলো তাদের সোভিয়েত যুগের অধিকাংশ স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলে, যার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সোভিয়েত সেনাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভও রয়েছে।

প্রতিক্রিয়ায় রুশ তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিন বিষয়টি নিয়ে একটি ফৌজদারি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু। নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদ থেকে বিশ্বের মুক্তিদাতাদের স্মৃতির বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হওয়া উচিত।

তিনটিই দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সদস্য এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক তীব্রভাবে খারাপ হয়েছে। মেয়র, মিউনিসিপ্যাল ডেপুটি, লাটভিয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজা গোলুবেভাসহ আরো কয়েক ডজন অন্যান্য বাল্টিক রাজনীতিবিদকে রাশিয়ার ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল।

ক্যালাস ২০২২ সালে বলেছিলেন, এস্তোনিয়ার কর্তৃপক্ষ এই জাতীয় ২০০ থেকে ৪০০টি স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলবে। রুশভাষী নার্ভা শহরের কাছের একটি সোভিয়েত ট্যাংক আগস্টে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। লাটভিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বিজয়ের স্মরণে নির্মিত একটি ৮৪ মিটার কাঠামো বুলডোজার দিয়ে চূর্ণ করা হয়েছিল। লাটভিয়ায় হাজার হাজার রুশ ভাষাভাষী প্রতি ৯ মে স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে জড়ো হতেন। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর তাদের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। লিথুয়ানিয়া ২০২২ সালে সোভিয়েত সেনাদের কয়েক ডজন স্মারক সরিয়ে দেয়। সূত্র : রয়টার্স

হককথা/নাছরিন