নিউইয়র্ক ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাঁজার নেশায় বুঁদ হলো ইঁদুর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৬ বার পঠিত

গাঁজা সেবন এবং গাঁজা খেয়ে নেশা করার বহু কাহিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের চারপাশে। এই মাদক বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। গাজা সেবন করে মানুষের নেশা করার কথাই আমরা এতদিন শুনে আসছি আমরা। এবার জানা গেলো, শুধু মানুষই নয়, গাঁজার নেশায় বুঁদ হয়েছে ইঁদুরও।

অবাক হচ্ছেন তো। হবারই কথা। কারণ এবার গাঁজা খেলো ইঁদুর এবং নেশায় হলো বুঁদ। তাও আবার পুলিশের জব্দ করা গাঁজা খেয়ে এমন অবস্থা হয়েছে তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চমকপ্রদ এই কাহিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স পুলিশ সদর দপ্তরের জরাজীর্ণ ভবনের একটি খানসামা কক্ষের ভেতরে রাখা ছিলো বাজেয়াপ্ত করা গাঁজা। নেই কক্ষে প্রবেশ করে ইঁদুরগুলো বাজেয়াপ্ত করা গাঁজা খেয়েছে। আর এই দাবি সাধারণ কারও নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সের পুলিশ প্রধানের।

পুলিশ সুপার অ্যান কার্কপ্যাট্রিক দাবি করেন, নিউ অরলিন্সের পুলিশ বিভাগের পুরোনো অফিস ভবন এতটাই জরাজীর্ণ এবং পোকামাকড়ে ভরপুর যে প্রাণীরা রেকর্ড রুমে সহজেই ঢুকে পড়তে পারে। সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ইঁদুরগুলো আমাদের গাঁজা খাচ্ছে, তারা নেশায় বুঁদ হয়ে আছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবনটি পুলিশের কার্যক্রম চলে আসছে সেই ১৯৬৮ সাল থেকে। এতো বছরেও এমন ঘটনার কথা কেউ মনে করতে পারছে না। নিউ অরলিন্স পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের ডেস্কে নেশায় বুঁদ ইঁদুরের মল পাওয়া গেছে। যা নিয়ে ভীষণ অস্বস্তি তৈরি হয়ে সবার মধ্যে।

নিউ অরলিন্সের এক কীটনাশক বিশেষজ্ঞ রন হ্যারিসন জানান, তিনিও আগে কখনও ইঁদুরের গাঁজা খাওয়ার কথা শুনেননি। ইঁদুরেরা যখন গাঁজা খায় তখন তারা কিসের মধ্য দিয়ে যায় এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এরা মানুষের মতো একই প্রভাব অনুভব করতে পারে।

নিউ অরলিন্সের পুলিশ ইঁদুরের গাঁজা সেবনের অভিনব কথা না শুনলেও, প্রতিবেশী ভারতে এটি নতুন কোন খবর নয়। এর আগে ২০২২ সালের ভারতের উত্তর প্রদেশের পুলিশ দাবি করে, তাদের জব্দ করা ১৯৫ কেজি গাঁজার পুরোটাই খেয়ে ফেলে ইঁদুর। যদিও এনিয়ে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। সূত্র : একাত্তর টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাঁজার নেশায় বুঁদ হলো ইঁদুর

প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

গাঁজা সেবন এবং গাঁজা খেয়ে নেশা করার বহু কাহিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের চারপাশে। এই মাদক বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। গাজা সেবন করে মানুষের নেশা করার কথাই আমরা এতদিন শুনে আসছি আমরা। এবার জানা গেলো, শুধু মানুষই নয়, গাঁজার নেশায় বুঁদ হয়েছে ইঁদুরও।

অবাক হচ্ছেন তো। হবারই কথা। কারণ এবার গাঁজা খেলো ইঁদুর এবং নেশায় হলো বুঁদ। তাও আবার পুলিশের জব্দ করা গাঁজা খেয়ে এমন অবস্থা হয়েছে তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চমকপ্রদ এই কাহিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স পুলিশ সদর দপ্তরের জরাজীর্ণ ভবনের একটি খানসামা কক্ষের ভেতরে রাখা ছিলো বাজেয়াপ্ত করা গাঁজা। নেই কক্ষে প্রবেশ করে ইঁদুরগুলো বাজেয়াপ্ত করা গাঁজা খেয়েছে। আর এই দাবি সাধারণ কারও নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সের পুলিশ প্রধানের।

পুলিশ সুপার অ্যান কার্কপ্যাট্রিক দাবি করেন, নিউ অরলিন্সের পুলিশ বিভাগের পুরোনো অফিস ভবন এতটাই জরাজীর্ণ এবং পোকামাকড়ে ভরপুর যে প্রাণীরা রেকর্ড রুমে সহজেই ঢুকে পড়তে পারে। সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ইঁদুরগুলো আমাদের গাঁজা খাচ্ছে, তারা নেশায় বুঁদ হয়ে আছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবনটি পুলিশের কার্যক্রম চলে আসছে সেই ১৯৬৮ সাল থেকে। এতো বছরেও এমন ঘটনার কথা কেউ মনে করতে পারছে না। নিউ অরলিন্স পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের ডেস্কে নেশায় বুঁদ ইঁদুরের মল পাওয়া গেছে। যা নিয়ে ভীষণ অস্বস্তি তৈরি হয়ে সবার মধ্যে।

নিউ অরলিন্সের এক কীটনাশক বিশেষজ্ঞ রন হ্যারিসন জানান, তিনিও আগে কখনও ইঁদুরের গাঁজা খাওয়ার কথা শুনেননি। ইঁদুরেরা যখন গাঁজা খায় তখন তারা কিসের মধ্য দিয়ে যায় এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এরা মানুষের মতো একই প্রভাব অনুভব করতে পারে।

নিউ অরলিন্সের পুলিশ ইঁদুরের গাঁজা সেবনের অভিনব কথা না শুনলেও, প্রতিবেশী ভারতে এটি নতুন কোন খবর নয়। এর আগে ২০২২ সালের ভারতের উত্তর প্রদেশের পুলিশ দাবি করে, তাদের জব্দ করা ১৯৫ কেজি গাঁজার পুরোটাই খেয়ে ফেলে ইঁদুর। যদিও এনিয়ে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। সূত্র : একাত্তর টিভি।