আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একটি ফোন কলে রাশিয়ার আইএল-৭৬ বিমানে ইউক্রেনের হামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

ফোন কলের পর ক্রেমলিন প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টরা ‘গত ২৪ জানুয়ারি ইউক্রেনীয় যুদ্ধাহতদের পরিবহণ করার সময় রাশিয়ান আইএল-৭৬ বিমানে কিয়েভ সরকার কর্তৃক পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।’ বিবৃতি অনুসারে, ‘এ অপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্ত পরিচালনায় রাশিয়ার আগ্রহের উপর জোর দেয়া হয়েছিল।’

এছাড়াও, ‘ইউক্রেনের আশেপাশের পরিস্থিতির বিষয়ে মতামত বিনিময় করার সময়, পুতিন আটক ব্যক্তিদের বিনিময়ে মধ্যস্থতা করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন,’ ক্রেমলিন প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে।

গত ২৪ জানুয়ারি রাশিয়ার সীমান্তরেখা বেলগোরোড অঞ্চলে বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এতে ৭৪ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে বিনিময়ের জন্য নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল। হামলায় সবাই মারা যায়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে যে, কিয়েভ জানত যে, ইউক্রেনের নাগরিকদের বিমানে তোলা হচ্ছে। এর আগে, রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, বিমানটি গুলি করার জন্য মার্কিন প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, মস্কো দুর্ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য জোর দিয়েছে।

এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে বন্দি বিনিময় চালিয়ে যাচ্ছে। এইভাবে, জানুয়ারির শেষের দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ১৯৫ ইউক্রেনিয়ান সৈন্যের সঙ্গে ১৯৫ জন রুশ সেনা সদস্য বিনিময় করা হয়েছিল, রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের সংখ্যা রাশিয়ানদের তুলনায় দশ অনুপাত এক। সূত্র: তাস।

হককথা/নাছরিন