নিউইয়র্ক ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চাচ্ছেন পুতিন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮০ বার পঠিত

গত ১৪ ডিসেম্বর বার্ষিক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন প্রকাশ্যে যাই বলুন না কেন তলে তলে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে সম্প্রতি (১৪ ডিসেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের বার্ষিক ভাষণের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ইউক্রেনের পাল্টা অভিযান ব্যর্থ ও পশ্চিমা সহায়তা কমে যাওয়ার পর পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘রুশ সেনারা তাই করছে, যা আমরা চাই। যেটা আমাদের, তার এক বিন্দুও আমরা ছাড়ব না। তারা যদি আলোচনা করতে চায়, আলোচনা করতে দিন।’

তবে পুতিন ভাষণে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও সম্প্রতি একাধিক কূটনৈতিক চ্যানেলে এমন বার্তা দিচ্ছেন যে, তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য প্রস্তত রয়েছেন, বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মতে, পুতিন অন্তত চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সংকেত পাঠাচ্ছেন যে, যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত।

ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এমন দুই সাবেক রুশ কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা পুতিনের দূতদের কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন এর আগে প্রায় এক বছর আগে ২০২২ সালেও এমন যুদ্ধবিরতি চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সে সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, রাশিয়া যতটুকু এলাকা দখল করেছে, ততটুকুতেই সন্তুষ্ট তিনি এবং তিনি যুদ্ধবিরতি চান।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগদানের চেষ্টা করায় গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন পুতিন। তার ঘোষণার সঙ্গে কিয়েভ অভিমুখে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মধ্যদিয়ে তীব্র সংঘাতের শুরু হয়। এরপর গত প্রায় ২২ মাস ধরে সংঘাত চলছে। এর মধ্যে মাত্র একবার যুদ্ধবিরতি দিয়েছে রাশিয়া। সেটাও মাত্র তিনদিনের জন্য।

সংঘাত শুরুর প্রায় একবছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বড়দিনের উৎসব উদ্‌যাপনের সুযোগ করে দিতে ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আদেশ দেন পুতিন। তবে ওই যুদ্ধবিরতিকে ‘ভণ্ডামি’ বলে অভিহিত করে ইউক্রেন।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চাচ্ছেন পুতিন

প্রকাশের সময় : ০৭:১১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন প্রকাশ্যে যাই বলুন না কেন তলে তলে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে সম্প্রতি (১৪ ডিসেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের বার্ষিক ভাষণের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ইউক্রেনের পাল্টা অভিযান ব্যর্থ ও পশ্চিমা সহায়তা কমে যাওয়ার পর পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘রুশ সেনারা তাই করছে, যা আমরা চাই। যেটা আমাদের, তার এক বিন্দুও আমরা ছাড়ব না। তারা যদি আলোচনা করতে চায়, আলোচনা করতে দিন।’

তবে পুতিন ভাষণে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও সম্প্রতি একাধিক কূটনৈতিক চ্যানেলে এমন বার্তা দিচ্ছেন যে, তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য প্রস্তত রয়েছেন, বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মতে, পুতিন অন্তত চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সংকেত পাঠাচ্ছেন যে, যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত।

ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এমন দুই সাবেক রুশ কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা পুতিনের দূতদের কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন এর আগে প্রায় এক বছর আগে ২০২২ সালেও এমন যুদ্ধবিরতি চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সে সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, রাশিয়া যতটুকু এলাকা দখল করেছে, ততটুকুতেই সন্তুষ্ট তিনি এবং তিনি যুদ্ধবিরতি চান।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগদানের চেষ্টা করায় গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন পুতিন। তার ঘোষণার সঙ্গে কিয়েভ অভিমুখে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মধ্যদিয়ে তীব্র সংঘাতের শুরু হয়। এরপর গত প্রায় ২২ মাস ধরে সংঘাত চলছে। এর মধ্যে মাত্র একবার যুদ্ধবিরতি দিয়েছে রাশিয়া। সেটাও মাত্র তিনদিনের জন্য।

সংঘাত শুরুর প্রায় একবছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বড়দিনের উৎসব উদ্‌যাপনের সুযোগ করে দিতে ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আদেশ দেন পুতিন। তবে ওই যুদ্ধবিরতিকে ‘ভণ্ডামি’ বলে অভিহিত করে ইউক্রেন।

হককথা/নাছরিন