নিউইয়র্ক ০৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিককে বিরল সাক্ষাৎকার পুতিনের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৫ বার পঠিত

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পোল্যান্ড বা লাটভিয়া আক্রমণে রাশিয়ার কোনো আগ্রহ নেই। বৃহস্পতিবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে পুতিন এই মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দুই ঘণ্টার বেশি সময়ব্যাপী সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন।

প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম কোনো যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিককে পুতিন সাক্ষাৎকার দিলেন। সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, রাশিয়া তার স্বার্থের জন্য লড়াই করবে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধকে পোল্যান্ড ও লাটভিয়ার মতো অন্য দেশে টেনে নেওয়ার কোনো আগ্রহ রাশিয়ার নেই।

পুতিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ডে রুশ সেনা পাঠানোর মতো কোনো দৃশ্য তিনি কল্পনা করতে পারেন কি না। জবাবে পুতিন বলেন, শুধু একটি ক্ষেত্রেই তেমনটা হতে পারে, যদি পোল্যান্ড রাশিয়া আক্রমণ করে। পোল্যান্ড, লাটভিয়া বা অন্য কোথাও রাশিয়ার কোনো আগ্রহ নেই। পুতিন বলেন, ‘কেন আমাদের তা (আক্রমণ) করতে হবে? আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।’

মঙ্গলবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পুতিনের সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়। সাক্ষাৎকারটি টাকারকার্লসন ডটকমে প্রচারিত হয়। সাক্ষাৎকারে পুতিন রুশ ভাষায় কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য ইংরেজিতে ভাষান্তর করে দেওয়া হয়। ইউক্রেন, পোল্যান্ডসহ অন্য দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ মন্তব্য দিয়ে পুতিন তাঁর সাক্ষাৎকার শুরু করেন।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুতিন এ কারণে কার্লসনকে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়েছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অনেক পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের একপেশে প্রতিবেদন থেকে ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপকের (হোস্ট) দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।

কার্লসনের সঙ্গে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। আগামী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে। সূত্র : প্রথম আলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিককে বিরল সাক্ষাৎকার পুতিনের

প্রকাশের সময় : ১০:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পোল্যান্ড বা লাটভিয়া আক্রমণে রাশিয়ার কোনো আগ্রহ নেই। বৃহস্পতিবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে পুতিন এই মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দুই ঘণ্টার বেশি সময়ব্যাপী সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন।

প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম কোনো যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিককে পুতিন সাক্ষাৎকার দিলেন। সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, রাশিয়া তার স্বার্থের জন্য লড়াই করবে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধকে পোল্যান্ড ও লাটভিয়ার মতো অন্য দেশে টেনে নেওয়ার কোনো আগ্রহ রাশিয়ার নেই।

পুতিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ডে রুশ সেনা পাঠানোর মতো কোনো দৃশ্য তিনি কল্পনা করতে পারেন কি না। জবাবে পুতিন বলেন, শুধু একটি ক্ষেত্রেই তেমনটা হতে পারে, যদি পোল্যান্ড রাশিয়া আক্রমণ করে। পোল্যান্ড, লাটভিয়া বা অন্য কোথাও রাশিয়ার কোনো আগ্রহ নেই। পুতিন বলেন, ‘কেন আমাদের তা (আক্রমণ) করতে হবে? আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।’

মঙ্গলবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পুতিনের সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়। সাক্ষাৎকারটি টাকারকার্লসন ডটকমে প্রচারিত হয়। সাক্ষাৎকারে পুতিন রুশ ভাষায় কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য ইংরেজিতে ভাষান্তর করে দেওয়া হয়। ইউক্রেন, পোল্যান্ডসহ অন্য দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ মন্তব্য দিয়ে পুতিন তাঁর সাক্ষাৎকার শুরু করেন।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুতিন এ কারণে কার্লসনকে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়েছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অনেক পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের একপেশে প্রতিবেদন থেকে ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপকের (হোস্ট) দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।

কার্লসনের সঙ্গে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। আগামী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে। সূত্র : প্রথম আলো।