নিউইয়র্ক ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জনগণ দেখিয়ে দিল ইমরানই সেরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮ বার পঠিত

ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইমরান খানকে ঠেকাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখা হয়নি। ১০ মাস ধরে কারাবন্দি। চার মামলায় ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ। তার দল পিটিআইকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ইমরান সমর্থিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করলেন। সেখানেও বাধা। প্রার্থীদের নির্বাচনী সভা করতে দেওয়া হয়নি, তাদের হামলা-মামলা দিয়ে করা হয়েছে দমনপীড়ন। এত কিছুর পরও মানুষ তাদের রায় দিয়েছেন। আর সে জনরায় ইমরানের পক্ষে। ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যা করে দেখালেন তা এককথায় তা অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত! ইতিহাস তো বটেই।

নির্বাচনের দুদিন পার হলেও এখনো সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসিপি। এখন পর্যন্ত ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখনো ১৫টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯১ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭১টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন এবং অন্যরা পেয়েছে ২৭টি আসন।

এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। চার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরানকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১০ বছরের জন্য তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পিটিআই ও ইমরান-সমর্থকদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এসব সাজা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে বন্দি তিনি।

নির্বাচনে না দাঁড়ালেও জনগণের মাঝে ইমরান খান ও তার দল পিটিআয়ের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই জনপ্রিয়তা যে শুধু সামাজিক মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়, তা ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে পাকিস্তানিরা প্রমাণ করে দেখালেন। ফলে এবারের ভোটে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশ ভালো করেছেন।

তবে ফল ঘোষণা যত শেষের দিকে নির্বাচন ঘিরে সমীকরণ তত জটিল থেকে জটিল হচ্ছে। পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে পারবে কি না, সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাত্ত্বিকভাবে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলমত নির্বিশেষে সরকার গঠন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তারা অন্য কোনো দলে যোগদান এড়িয়ে সংসদে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পারবেন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পেলে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এ জন্য তাদের ২৬৬ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। তবে এত আসন তারা পাচ্ছেন না। তাই এই সম্ভাবনা বাদ।

পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সামনে আরেকটি বিকল্প রয়েছে। সেটা হলো তাদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করে সরকারে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। ইতিমধ্যে জোট সরকার গঠনের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রত্যাশী ও সামরিক বাহিনীর আস্থাভাজন নওয়াজ শরিফ। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও জানিয়েছেন।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জনগণ দেখিয়ে দিল ইমরানই সেরা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইমরান খানকে ঠেকাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখা হয়নি। ১০ মাস ধরে কারাবন্দি। চার মামলায় ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ। তার দল পিটিআইকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ইমরান সমর্থিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করলেন। সেখানেও বাধা। প্রার্থীদের নির্বাচনী সভা করতে দেওয়া হয়নি, তাদের হামলা-মামলা দিয়ে করা হয়েছে দমনপীড়ন। এত কিছুর পরও মানুষ তাদের রায় দিয়েছেন। আর সে জনরায় ইমরানের পক্ষে। ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যা করে দেখালেন তা এককথায় তা অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত! ইতিহাস তো বটেই।

নির্বাচনের দুদিন পার হলেও এখনো সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসিপি। এখন পর্যন্ত ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখনো ১৫টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯১ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭১টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন এবং অন্যরা পেয়েছে ২৭টি আসন।

এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। চার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরানকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১০ বছরের জন্য তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পিটিআই ও ইমরান-সমর্থকদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এসব সাজা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে বন্দি তিনি।

নির্বাচনে না দাঁড়ালেও জনগণের মাঝে ইমরান খান ও তার দল পিটিআয়ের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই জনপ্রিয়তা যে শুধু সামাজিক মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়, তা ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে পাকিস্তানিরা প্রমাণ করে দেখালেন। ফলে এবারের ভোটে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশ ভালো করেছেন।

তবে ফল ঘোষণা যত শেষের দিকে নির্বাচন ঘিরে সমীকরণ তত জটিল থেকে জটিল হচ্ছে। পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে পারবে কি না, সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাত্ত্বিকভাবে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলমত নির্বিশেষে সরকার গঠন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তারা অন্য কোনো দলে যোগদান এড়িয়ে সংসদে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পারবেন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পেলে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এ জন্য তাদের ২৬৬ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। তবে এত আসন তারা পাচ্ছেন না। তাই এই সম্ভাবনা বাদ।

পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সামনে আরেকটি বিকল্প রয়েছে। সেটা হলো তাদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করে সরকারে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। ইতিমধ্যে জোট সরকার গঠনের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রত্যাশী ও সামরিক বাহিনীর আস্থাভাজন নওয়াজ শরিফ। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও জানিয়েছেন।

হককথা/নাছরিন