ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সৈন্য ও কর্মীদের বলিদান দিচ্ছেন। দেশটির বিরোধীদলীয় ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এবং সাবেক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ইয়ার গোলান নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু তার সরকারকে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে ২০২৬ সালের রাজ্য বাজেট প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এটিকে সামরিক খসড়া আইনের কারণে জোট ত্যাগের হুমকি দেওয়া অতি-অর্থোডক্স (হারেদি) দলগুলোকে শান্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নেতানিয়াহুর এ পদক্ষেপের পর ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ইয়ার গোলান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, এটি এক ধরনের ঘুস। সৈন্য এবং রিজার্ভিস্টদের গাজায় পাঠানো হলেও, নেতানিয়াহু তাদের করের টাকা লুট করছেন এবং তা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া অতি-অর্থোডক্সদের ঘুস দিচ্ছেন।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিনি আরও লেখেন, নেতানিয়াহু একজন পরিত্যক্ত, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী যিনি কেবল তার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তার কর্মীদের বলিদান দেন।’ গোলান নেতানিয়াহুর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও লেখেন, ‘আমরা সকলের জন্য নিয়োগ নিশ্চিত করব। ’

ক্ষমতাসীন জোটের হারেদি দলগুলো- শাস এবং ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজম – দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবার বিরোধিতা করে আসছে। নতুন খসড়া আইন পাস হলে তারা সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।

চ্যানেল ১২ বলছে, প্রস্তাবিত ২০২৬ সালের বাজেট খসড়া সংকটের সমাধান করে না বরং অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য অতি-অর্থোডক্স দলগুলোর আর্থিক ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ করেছে। নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ইউলি এডেলস্টাইনের প্রস্তুতকৃত খসড়া আইনটি জুনের শুরুতে শাভুত ছুটির পরে জমা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, নেতানিয়াহু হারেদি দলগুলোর জন্য অতিরিক্ত তহবিল নিশ্চিত করতে এবং জোটের ঐক্য বজায় রাখার জন্য তাড়াতাড়ি বাজেট পাস করার লক্ষ্য রেখেছেন। গোলান এই পদক্ষেপকে জনসাধারণের তহবিল ব্যবহার করে ‘রাজনৈতিক আনুগত্য কেনার’ প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সূত্র : যুগান্তর।