নিউইয়র্ক ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মাহশা আমিনি হত্যার প্রতিবাদকারীকে খুনের দায়ে ফাঁসি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৩ বার পঠিত

মাহশা আমিনির হত্যার এক প্রতিবাদকারীকে খুনের দায়ে ফাঁসি দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাকে এক পুলিশ সদস্যকে দৌঁড়ে হত্যা করার এবং আরও পাঁচজনকে আঘাত করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে মানবাধিকার আইনজীবীদের দাবি, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ওই ব্যক্তি ন্যায্য বিচার পাননি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।

হিজাব ইস্যুতে মাহশা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ২০২২ সালে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ ঘোবদলু। বিচার বিভাগের মিজান নিউজ এজেন্সি অনুসারে, দুই বছর আগে, ইরানে গণবিক্ষোভের সময় হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার মোহাম্মদ ঘোবদলুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে, তাকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়ে সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা। তাদের দাবি, ঘোবদলু ন্যায্য বিচার পাননি।

মিজান রিপোর্ট করেছে, ‘সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক আগের রায় বহাল রাখার পর  সকালে আসামী মোহাম্মদ ঘোবদলুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’ ইরানে নারীদের পোষাকে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। ২০২২ সালে হিজাব আইন লঙ্ঘনের দায়ে কুর্দি বংশোদ্ভূত ইরানি নারী মাহশা আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজেুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় কয়েক ডজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। তেহরানে একটি গাড়ি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোবদলুকে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

মেহের নিউজ এজেন্সি অনুসারে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘোবদলুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করার আদেশ দিয়ে তার মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। ইরানের ইসলামিক প্রতিশোধের আইনের অধীনে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের আলোকেই মঙ্গলবার ঘোবদলুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিজান। ২০২২ সালের বিক্ষোভ চলাকালীন কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ কয়েকশো মানুষ মারা গিয়েছিল। এসময় বিদেশি মদদে প্ররোচিত হয়ে ‘দাঙ্গা’য় অংশ নেওয়ার অভিযোগে কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মাহশা আমিনি হত্যার প্রতিবাদকারীকে খুনের দায়ে ফাঁসি

প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

মাহশা আমিনির হত্যার এক প্রতিবাদকারীকে খুনের দায়ে ফাঁসি দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাকে এক পুলিশ সদস্যকে দৌঁড়ে হত্যা করার এবং আরও পাঁচজনকে আঘাত করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে মানবাধিকার আইনজীবীদের দাবি, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ওই ব্যক্তি ন্যায্য বিচার পাননি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।

হিজাব ইস্যুতে মাহশা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ২০২২ সালে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ ঘোবদলু। বিচার বিভাগের মিজান নিউজ এজেন্সি অনুসারে, দুই বছর আগে, ইরানে গণবিক্ষোভের সময় হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার মোহাম্মদ ঘোবদলুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে, তাকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়ে সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা। তাদের দাবি, ঘোবদলু ন্যায্য বিচার পাননি।

মিজান রিপোর্ট করেছে, ‘সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক আগের রায় বহাল রাখার পর  সকালে আসামী মোহাম্মদ ঘোবদলুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’ ইরানে নারীদের পোষাকে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। ২০২২ সালে হিজাব আইন লঙ্ঘনের দায়ে কুর্দি বংশোদ্ভূত ইরানি নারী মাহশা আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজেুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় কয়েক ডজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। তেহরানে একটি গাড়ি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোবদলুকে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

মেহের নিউজ এজেন্সি অনুসারে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘোবদলুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করার আদেশ দিয়ে তার মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। ইরানের ইসলামিক প্রতিশোধের আইনের অধীনে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের আলোকেই মঙ্গলবার ঘোবদলুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিজান। ২০২২ সালের বিক্ষোভ চলাকালীন কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ কয়েকশো মানুষ মারা গিয়েছিল। এসময় বিদেশি মদদে প্ররোচিত হয়ে ‘দাঙ্গা’য় অংশ নেওয়ার অভিযোগে কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।