নিউইয়র্ক ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বরফের মধ্যেই টকটকে লাল জলপ্রপাত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৭ বার পঠিত

ব্লাড ফলস। সাদা বরফে মোড়ানো পাহাড়ের মাঝে লাল রঙের একটি ঝর্ণা। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, ভয়ংকর কিছু ঘটেছে সেখানে। আসলে এটি প্রকৃতির আরও এক রহস্যময় খেয়াল। পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ মেরু অ্যান্টার্কটিকার টেইলর হিমবাহের মধ্যে এর অবস্থান। বিচিত্র এই জলপ্রপাতটি প্রথম বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ে ১৯১১ সালে। হিমবাহের রক্তলাল একটি অংশ অবাক করে তাদের। জানা যায়, বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ও অভিযাত্রী টমাস গ্রিফিথ টেইলরের। তাঁর নামেই হিমবাহটির নাম রাখা হয় টেইলর হিমবাহ।

প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য আন্টার্কটিকায় প্রাণের সন্ধান পাওয়া কষ্টকর। তা সত্ত্বেও সেখানে প্রায় ১ হাজার ১৫০ প্রজাতির ছত্রাকের বসবাস। শুরুর দিকে টেইলরসহ অন্য গবেষকদের ধারণা ছিলো, এমন বিচিত্র রঙের জন্য কোনো ছত্রাক দায়ী। পরে অবশ্য এই ধারণা পাল্টে যায়। বিজ্ঞানীদের একটি দল ২০১৭ সালে রহস্যের সমাধান করেন। হিমবাহের নিচে পাতাল নদী আর হ্রদ আছে যা আনুমানিক ২০ লাখ বছর আগের। আর এই হ্রদ আর নদীর জলে বেশ উচ্চমাত্রায় লবণ ও আয়রন রয়েছে। আর লোহার উপস্থিতির কারণেই জলপ্রপাতটি লাল বর্ণ ধারণ করেছে।

তবে চাইলেই এই রক্তলাল জলপ্রপাতের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সেখানে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকমার্ডো স্টেশন কিংবা নিউজিল্যান্ডের স্কট বেস থেকে হেলিকপ্টারে রওনা করতে হয়। নয়তো যেতে হয় রোজ সাগর থেকে জাহাজে চেপে। সূত্র : এটিএন নিউজ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বরফের মধ্যেই টকটকে লাল জলপ্রপাত

প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব্লাড ফলস। সাদা বরফে মোড়ানো পাহাড়ের মাঝে লাল রঙের একটি ঝর্ণা। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, ভয়ংকর কিছু ঘটেছে সেখানে। আসলে এটি প্রকৃতির আরও এক রহস্যময় খেয়াল। পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ মেরু অ্যান্টার্কটিকার টেইলর হিমবাহের মধ্যে এর অবস্থান। বিচিত্র এই জলপ্রপাতটি প্রথম বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ে ১৯১১ সালে। হিমবাহের রক্তলাল একটি অংশ অবাক করে তাদের। জানা যায়, বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ও অভিযাত্রী টমাস গ্রিফিথ টেইলরের। তাঁর নামেই হিমবাহটির নাম রাখা হয় টেইলর হিমবাহ।

প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য আন্টার্কটিকায় প্রাণের সন্ধান পাওয়া কষ্টকর। তা সত্ত্বেও সেখানে প্রায় ১ হাজার ১৫০ প্রজাতির ছত্রাকের বসবাস। শুরুর দিকে টেইলরসহ অন্য গবেষকদের ধারণা ছিলো, এমন বিচিত্র রঙের জন্য কোনো ছত্রাক দায়ী। পরে অবশ্য এই ধারণা পাল্টে যায়। বিজ্ঞানীদের একটি দল ২০১৭ সালে রহস্যের সমাধান করেন। হিমবাহের নিচে পাতাল নদী আর হ্রদ আছে যা আনুমানিক ২০ লাখ বছর আগের। আর এই হ্রদ আর নদীর জলে বেশ উচ্চমাত্রায় লবণ ও আয়রন রয়েছে। আর লোহার উপস্থিতির কারণেই জলপ্রপাতটি লাল বর্ণ ধারণ করেছে।

তবে চাইলেই এই রক্তলাল জলপ্রপাতের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সেখানে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকমার্ডো স্টেশন কিংবা নিউজিল্যান্ডের স্কট বেস থেকে হেলিকপ্টারে রওনা করতে হয়। নয়তো যেতে হয় রোজ সাগর থেকে জাহাজে চেপে। সূত্র : এটিএন নিউজ