নিউইয়র্ক ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের পতাকায় সেজেছে কুয়ালালামপুর টাওয়ার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯ বার পঠিত

বিশ্বের অন্যতম উঁচু ভবন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর টাওয়ার আলোকিত করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে। পুরো টাওয়ার ঢেকে আছে লাল–সবুজ পতাকায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রতি সন্মান জানিয়ে অনিন্দ্যসুন্দর এ দৃশ্য দেখা গেল সোমবার।

কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা রঙে বর্নিল আলোকসজ্জা করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উচু ভবন দুবাইয়ে বুর্জ খলিফায়। বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা এ ধরনের আলোকসজ্জা দেখা যায়।

এবার সেরকমই করলো কুয়ালালুমপুরে টাওয়ার। কেএল টাওয়ার নামে পরিচিত সুউচ্চ ভবনকেও লাল সবুজ রঙে সাজানো হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বুর্জ আল খলিফায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসকে সম্মান জানিয়ে এবার এই স্থাপনাগুলোয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হলো। বুর্জ খলিফায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোকসজ্জার মাধ্যমে একাত্মতা পোষণ করা হয়। আবার কখনো বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে এমন আয়োজন করে থাকে।

কেএল টাওয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত একটি টেলিযোগাযোগের টাওয়ার। ১৯৯৫ সালের ১ মার্চে এটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। এটির মাথায় একটি অ্যান্টেনা রয়েছে। অ্যান্টেনাসহ টাওয়ারটির মোট উচ্চতা ৪২১ মিটার এবং এটি বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম মুক্তভাবে দন্ডায়মান টাওয়ার। এটির ছাদ ৩৩৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। নিচের বাকি অংশে রয়েছে সিড়ি ও লিফট, যার সাহায্যে টাওয়ারটির ওপরে ওঠা যায়। সেখানে রয়েছে একটি ঘূর্ণায়মান রেঁস্তোরা, যেখান থেকে পুরো শহর দেখা যায়।

২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে। এরপরই অবিসংবাদিত জাতির পিতা নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগেই বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহিদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে এই ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। এরপর থেকে ২৬ মার্চ কে মহান স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষেরাও শ্রদ্ধাভরে পালন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। সূত্র : একাত্তর টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের পতাকায় সেজেছে কুয়ালালামপুর টাওয়ার

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

বিশ্বের অন্যতম উঁচু ভবন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর টাওয়ার আলোকিত করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে। পুরো টাওয়ার ঢেকে আছে লাল–সবুজ পতাকায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রতি সন্মান জানিয়ে অনিন্দ্যসুন্দর এ দৃশ্য দেখা গেল সোমবার।

কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা রঙে বর্নিল আলোকসজ্জা করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উচু ভবন দুবাইয়ে বুর্জ খলিফায়। বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা এ ধরনের আলোকসজ্জা দেখা যায়।

এবার সেরকমই করলো কুয়ালালুমপুরে টাওয়ার। কেএল টাওয়ার নামে পরিচিত সুউচ্চ ভবনকেও লাল সবুজ রঙে সাজানো হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বুর্জ আল খলিফায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসকে সম্মান জানিয়ে এবার এই স্থাপনাগুলোয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হলো। বুর্জ খলিফায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোকসজ্জার মাধ্যমে একাত্মতা পোষণ করা হয়। আবার কখনো বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে এমন আয়োজন করে থাকে।

কেএল টাওয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত একটি টেলিযোগাযোগের টাওয়ার। ১৯৯৫ সালের ১ মার্চে এটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। এটির মাথায় একটি অ্যান্টেনা রয়েছে। অ্যান্টেনাসহ টাওয়ারটির মোট উচ্চতা ৪২১ মিটার এবং এটি বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম মুক্তভাবে দন্ডায়মান টাওয়ার। এটির ছাদ ৩৩৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। নিচের বাকি অংশে রয়েছে সিড়ি ও লিফট, যার সাহায্যে টাওয়ারটির ওপরে ওঠা যায়। সেখানে রয়েছে একটি ঘূর্ণায়মান রেঁস্তোরা, যেখান থেকে পুরো শহর দেখা যায়।

২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে। এরপরই অবিসংবাদিত জাতির পিতা নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগেই বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহিদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে এই ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। এরপর থেকে ২৬ মার্চ কে মহান স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষেরাও শ্রদ্ধাভরে পালন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। সূত্র : একাত্তর টিভি।