নিউইয়র্ক ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

স্টারলিংক নিয়ে কিয়েভের অভিযোগ অস্বীকার করল ক্রেমলিন-ইলন মাস্ক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০২ বার পঠিত

ইউক্রেন সম্প্রতি দাবি করেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনারা ইলন মাস্কের কম্পানির স্টারলিংক ইন্টারনেট টার্মিনাল ব্যবহার করছে। তবে ক্রেমলিন সোমবার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইলন মাস্কও কিয়েভের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন।

কিয়েভের জিইউআর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে, স্টারলিংক ইন্টারনেট টার্মিনালগুলো রাশিয়ান সেনারা ‘পদ্ধতিগত’ ভিত্তিতে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি মস্কোর বিরুদ্ধে তথ্য ‘পাচার’ করার অভিযোগও করেছে। ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি নেটওয়ার্ক, যা দূরবর্তী অবস্থানগুলোতে বা সাধারণ যোগাযোগ অবকাঠামো নিষ্ক্রিয় থাকা অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, স্টারলিংক সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে সরবরাহ করা হয় না। তাই এটি কোনোভাবেই সেখানে ব্যবহার করা যাবে না। স্টারলিংক ব্যবস্থাটি রাশিয়ায় সক্রিয় নয়, যার অর্থ রাশিয়ার অভ্যন্তরে এর একটি ডিভাইসও সংযোগ করা যাবে না। কিন্তু কিয়েভ ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র জুড়ে রুশ সেনাদের ডিভাইসটি ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।

জিইউআরের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, ‘স্টারলিংক রাশিয়ায় অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এখন যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাবাহিনীতে স্টারলিংকের ব্যবহার আরো নিয়মিত হয়েছে। ’ তবে তিনি তাঁর এই দাবির ‘সব বিবরণ প্রকাশ করবেন না’ বলেও জানিয়েছেন। ইউক্রেন নিজেই দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে তার সেনাদের জন্য যোগাযোগ ও সংযোগ নিশ্চিত করতে ব্যাপকভাবে স্টারলিংক ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।

অন্যদিকে ইলন মাস্ক এক্সে একটি পোস্টে রাশিয়ার কাছে স্টারলিংকের টার্মিনাল বিক্রির অভিযোগকে ‘স্পষ্টভাবে মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সর্বোত্তম জ্ঞান অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো স্টারলিংক বিক্রি করা হয়নি।’ ইউক্রেনের ইউসভ বলেছেন, স্টারলিংক যে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না, কিয়েভও তা স্বীকার করে।

তবে তাঁর মতে, রাশিয়া এগুলো আমদানির মাধ্যমে কিনেছে, যা মূলত চোরাচালান। যেহেতু মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, তাই দেশটির বিভিন্ন পণ্যের জন্য তৃতীয় দেশে ব্যবসায়ী এবং মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে।

স্টারলিংক নিয়ে কিয়েভ ও মাস্কের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছর ইলন মাস্ক রুশ নৌবহরে ইউক্রেনের আক্রমণকে সমর্থনের জন্য ক্রিমীয় শহর সেভাস্টোপলে নেটওয়ার্ক সক্রিয় করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ ছাড়াও গত বছর মাস্ক বলেছিলেন, নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ বজায় রাখতে সম্মত হওয়ার আগে তাঁর কম্পানি অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউক্রেনে এ পরিষেবায় অর্থায়ন করতে পারবে না। সূত্র : এএফপি

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

স্টারলিংক নিয়ে কিয়েভের অভিযোগ অস্বীকার করল ক্রেমলিন-ইলন মাস্ক

প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইউক্রেন সম্প্রতি দাবি করেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনারা ইলন মাস্কের কম্পানির স্টারলিংক ইন্টারনেট টার্মিনাল ব্যবহার করছে। তবে ক্রেমলিন সোমবার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইলন মাস্কও কিয়েভের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন।

কিয়েভের জিইউআর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে, স্টারলিংক ইন্টারনেট টার্মিনালগুলো রাশিয়ান সেনারা ‘পদ্ধতিগত’ ভিত্তিতে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি মস্কোর বিরুদ্ধে তথ্য ‘পাচার’ করার অভিযোগও করেছে। ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি নেটওয়ার্ক, যা দূরবর্তী অবস্থানগুলোতে বা সাধারণ যোগাযোগ অবকাঠামো নিষ্ক্রিয় থাকা অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, স্টারলিংক সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে সরবরাহ করা হয় না। তাই এটি কোনোভাবেই সেখানে ব্যবহার করা যাবে না। স্টারলিংক ব্যবস্থাটি রাশিয়ায় সক্রিয় নয়, যার অর্থ রাশিয়ার অভ্যন্তরে এর একটি ডিভাইসও সংযোগ করা যাবে না। কিন্তু কিয়েভ ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র জুড়ে রুশ সেনাদের ডিভাইসটি ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।

জিইউআরের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, ‘স্টারলিংক রাশিয়ায় অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এখন যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাবাহিনীতে স্টারলিংকের ব্যবহার আরো নিয়মিত হয়েছে। ’ তবে তিনি তাঁর এই দাবির ‘সব বিবরণ প্রকাশ করবেন না’ বলেও জানিয়েছেন। ইউক্রেন নিজেই দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে তার সেনাদের জন্য যোগাযোগ ও সংযোগ নিশ্চিত করতে ব্যাপকভাবে স্টারলিংক ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।

অন্যদিকে ইলন মাস্ক এক্সে একটি পোস্টে রাশিয়ার কাছে স্টারলিংকের টার্মিনাল বিক্রির অভিযোগকে ‘স্পষ্টভাবে মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সর্বোত্তম জ্ঞান অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো স্টারলিংক বিক্রি করা হয়নি।’ ইউক্রেনের ইউসভ বলেছেন, স্টারলিংক যে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না, কিয়েভও তা স্বীকার করে।

তবে তাঁর মতে, রাশিয়া এগুলো আমদানির মাধ্যমে কিনেছে, যা মূলত চোরাচালান। যেহেতু মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, তাই দেশটির বিভিন্ন পণ্যের জন্য তৃতীয় দেশে ব্যবসায়ী এবং মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে।

স্টারলিংক নিয়ে কিয়েভ ও মাস্কের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছর ইলন মাস্ক রুশ নৌবহরে ইউক্রেনের আক্রমণকে সমর্থনের জন্য ক্রিমীয় শহর সেভাস্টোপলে নেটওয়ার্ক সক্রিয় করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ ছাড়াও গত বছর মাস্ক বলেছিলেন, নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ বজায় রাখতে সম্মত হওয়ার আগে তাঁর কম্পানি অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউক্রেনে এ পরিষেবায় অর্থায়ন করতে পারবে না। সূত্র : এএফপি