নিউইয়র্ক ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করা হবে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ৬ বার পঠিত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করা হলে তা হবে বেআইনি ও আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। এমনকি ট্রাম্প যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন তাতে করে সংঘাত আরও বিস্তার লাভের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (১৮ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনিকে হত্যা করা হলে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠন ডন-এর পরিচালক ও আইনজীবী সারাহ লিয়া উইটসন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে দাবি করেন, “আমরা জানি খামেনি কোথায় আছেন। তিনি খুব সহজ টার্গেট।”

এ প্রসঙ্গে আল জাজিরাকে উইটসন বলেন, “যখন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই বলছে তারা ইরানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধে জড়িত নয় এবং কোনও সামরিক অভিযানে অংশ নিচ্ছে না, তখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করলে তা হবে অবৈধ হত্যাকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ট্রাম্প যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন, তাতে করে সংঘাত আরও বিস্তার লাভের ঝুঁকি বাড়ছে। শুধু আঞ্চলিক যুদ্ধ নয়, বৈশ্বিক যুদ্ধের আশঙ্কাও এখন অস্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও উত্তেজনাকর ভাষা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।” যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের এই বার্তাটি এসেছে এমন এক সময়, যখন ট্রাম্প একাধিকবার ইরানের শীর্ষ নেতাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিষয়ে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুক্ষণ আগে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন।”

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ – আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) আনবো না, অন্তত এখনই নয়।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছেন, “কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।”

এর কিছুক্ষণ আগে দেওয়া আরেক পোস্টে তিনি বলেন, “ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে”। এই পোস্ট দুটির পরপরই তৃতীয় আরেকটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, “আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!” (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করা হবে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন

প্রকাশের সময় : ১২:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করা হলে তা হবে বেআইনি ও আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। এমনকি ট্রাম্প যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন তাতে করে সংঘাত আরও বিস্তার লাভের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (১৮ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনিকে হত্যা করা হলে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠন ডন-এর পরিচালক ও আইনজীবী সারাহ লিয়া উইটসন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে দাবি করেন, “আমরা জানি খামেনি কোথায় আছেন। তিনি খুব সহজ টার্গেট।”

এ প্রসঙ্গে আল জাজিরাকে উইটসন বলেন, “যখন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই বলছে তারা ইরানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধে জড়িত নয় এবং কোনও সামরিক অভিযানে অংশ নিচ্ছে না, তখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করলে তা হবে অবৈধ হত্যাকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ট্রাম্প যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন, তাতে করে সংঘাত আরও বিস্তার লাভের ঝুঁকি বাড়ছে। শুধু আঞ্চলিক যুদ্ধ নয়, বৈশ্বিক যুদ্ধের আশঙ্কাও এখন অস্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও উত্তেজনাকর ভাষা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।” যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের এই বার্তাটি এসেছে এমন এক সময়, যখন ট্রাম্প একাধিকবার ইরানের শীর্ষ নেতাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিষয়ে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুক্ষণ আগে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন।”

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ – আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) আনবো না, অন্তত এখনই নয়।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছেন, “কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।”

এর কিছুক্ষণ আগে দেওয়া আরেক পোস্টে তিনি বলেন, “ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে”। এই পোস্ট দুটির পরপরই তৃতীয় আরেকটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, “আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!” (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)