পুতিনের সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগ্রহ
- প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৭ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমা চাপকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ক্রেমলিনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বুধবার। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু থেকেই এ ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয় ভারত। এক্ষেত্রে তারা মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বহুমুখী বিশ্বে নিজেদের মতো অধিকারের পথে হাঁটার কথা বলে। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্ট্রেইটস টাইমস।
এতে বলা হয়, ভারতের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী রাশিয়া। এক্ষেত্রে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাও প্রভাব ফেলতে পারেনি। যুদ্ধের মধ্যেও রাশিয়ার কাছ থেকে হ্রাসকৃত মূল্যে তেল কিনেছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে উঠেছে ভারত। ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া।
তখন থেকেই রাশিয়াকে নিঃসঙ্গ করে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টাকে হতাশ করছে ভারত। জয়শঙ্করকে পুতিন বলেছেন, সবকিছুই আপনাদের হাতে। আপনাদের সরাসরি সমর্থনের কারণে আমরা সফল হয়েছি। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জবাবে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির লেখা একটি চিঠি তিনি পুতিনের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। এতে রাশিয়া-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে তিনি কি ভাবেন সেই বার্তা দেয়া হয়েছে।
বুধবার দিনের শুরুতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, তাদের আলোচনায় থাকবে বহুপক্ষীয় এবং বহুত্ব বিষয়ক বিশ্ব ব্যবস্থা। জয়শঙ্কর বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে দৃষ্টি দেব। পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং চাহিদার বিষয়ে সমস্যার সমাধান করবো। আমরা আন্তর্জাতিক কৌশল পরিস্থিতি, যুদ্ধ এবং উত্তেজনা, তা যেখানেই হোক না কেন- এসব বিষয়ে আলোচনা করবো। এদিন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, তার দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চেয়েও বেশি কিছু। উভয় দেশ একটি আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী, যা হবে সবার জন্য উন্মুক্ত ও ন্যায্য।
রাশিয়াকে সমর্থন দিলেও ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনা এড়িয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। পক্ষান্তরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্যরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গ্রীষ্মে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে স্বাগত জানায়। যুক্তরাষ্ট্রে একজন শিখ নেতাকে হত্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা- নভেম্বরে এমন অভিযোগ তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা। এর পরও দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।
হককথা/নাছরিন