নিউইয়র্ক ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৮০ বার পঠিত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান এবং নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে নতুন যে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস, তা বাতিল করে দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের দু’জন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের বার্তাসংস্থা এক্সিওসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এবং মিসরের মাধ্যমে রোববার ইসরালের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বরাবর এই প্রস্তাব পাঠিয়েছিল গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সেই প্রস্তাবে গোষ্ঠীটি বলেছিল, ইসরায়েল যদি গাজায় তিন মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়, তাহলে প্রথম মাসে ৪০ জন ও পরের ২ মাসে ৪০ জনের বেশি করে জিম্মিকে ছেড়ে দেবে হামাস। এমনকি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যেসব সদস্যকে বন্দি করেছে হামাস যোদ্ধারা, তাদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।

সোমবার ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাবটির ওপর আলোচনা শেষে সভার অধিকাংশ সদস্য সেটি বাতিলের পক্ষে মতামত দেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার এক সদস্য এক্সিওসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে প্রস্তাবটি ভিত্তিহীন এবং অসম্পূর্ণ। এ কারণেই এটি বাতিল করা হয়েছে। তবে আমরা আলোচনার দরজা বন্ধ করিনি। আশা করছি হামাস আরও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পাঠাবে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে শত শত হামাস যোদ্ধা। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।

এ ঘটনার জেরে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। তারপর আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করে হামাস এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।

১ ডিসেম্বর তা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭ দিনের অস্থায়ী নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে অর্ধেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অন্যদিকে বিভিন্ন কারাগার থেকে দেড় শতাধিক বন্দি ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল।

হামাস-আইডিএফের গত প্রায় তিন মাসের যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং গাজা উপত্যকাকে পরিপূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণের আগ পর্যন্ত সেখানে সেনা অভিযান থামানো হবে না।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান এবং নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে নতুন যে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস, তা বাতিল করে দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের দু’জন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের বার্তাসংস্থা এক্সিওসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এবং মিসরের মাধ্যমে রোববার ইসরালের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বরাবর এই প্রস্তাব পাঠিয়েছিল গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সেই প্রস্তাবে গোষ্ঠীটি বলেছিল, ইসরায়েল যদি গাজায় তিন মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়, তাহলে প্রথম মাসে ৪০ জন ও পরের ২ মাসে ৪০ জনের বেশি করে জিম্মিকে ছেড়ে দেবে হামাস। এমনকি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যেসব সদস্যকে বন্দি করেছে হামাস যোদ্ধারা, তাদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।

সোমবার ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাবটির ওপর আলোচনা শেষে সভার অধিকাংশ সদস্য সেটি বাতিলের পক্ষে মতামত দেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার এক সদস্য এক্সিওসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে প্রস্তাবটি ভিত্তিহীন এবং অসম্পূর্ণ। এ কারণেই এটি বাতিল করা হয়েছে। তবে আমরা আলোচনার দরজা বন্ধ করিনি। আশা করছি হামাস আরও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পাঠাবে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে শত শত হামাস যোদ্ধা। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।

এ ঘটনার জেরে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। তারপর আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করে হামাস এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।

১ ডিসেম্বর তা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭ দিনের অস্থায়ী নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে অর্ধেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অন্যদিকে বিভিন্ন কারাগার থেকে দেড় শতাধিক বন্দি ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল।

হামাস-আইডিএফের গত প্রায় তিন মাসের যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং গাজা উপত্যকাকে পরিপূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণের আগ পর্যন্ত সেখানে সেনা অভিযান থামানো হবে না।

হককথা/নাছরিন