নিউইয়র্ক ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বৈশ্বিক সমর্থন হারাচ্ছে ইসরায়েল: হামাস নেতা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৭ বার পঠিত

ইসরায়েল বৈশ্বিক সমর্থন হারাচ্ছে। ইরানে সফরকালে এমন মন্তব্য করেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ‌‘অভূতপূর্ব রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার’ সম্মুখীন হচ্ছে। ইসমাইল হানিয়েহ বলেন, ইসরায়েল এখন রাজনৈতিক আশ্রয় এবং সুরক্ষা হারাচ্ছে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে আমরা এমন চিত্র দেখতে পেয়েছি।

এর আগে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। যদি কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি পাস হয়নি। সেদিন মস্কোর অভিযোগ ছিল, ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতি ইসরায়েলের ওপর কোনো চাপ তৈরি করছে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১ দেশ। বিপক্ষে দেয় তিন দেশ। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে একটি দেশ।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছিলেন, এই খসড়াটি অত্যন্ত রাজনীতিকরণ করা হয়েছে ও এতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য কার্যকর সবুজ সংকেত রয়েছে। তবে গাজায় এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছিল যে, চলতি মাসের শুরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হামাসের পলিটব্যুরোর এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে মারওয়ান ইসার মৃত্যুর কোনো প্রমাণ নেই এবং শত্রুরা (ইসরায়েল) মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র : জাগোনিউজ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বৈশ্বিক সমর্থন হারাচ্ছে ইসরায়েল: হামাস নেতা

প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ইসরায়েল বৈশ্বিক সমর্থন হারাচ্ছে। ইরানে সফরকালে এমন মন্তব্য করেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ। তিনি বলেন, ইসরায়েল ‌‘অভূতপূর্ব রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার’ সম্মুখীন হচ্ছে। ইসমাইল হানিয়েহ বলেন, ইসরায়েল এখন রাজনৈতিক আশ্রয় এবং সুরক্ষা হারাচ্ছে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে আমরা এমন চিত্র দেখতে পেয়েছি।

এর আগে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। যদি কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি পাস হয়নি। সেদিন মস্কোর অভিযোগ ছিল, ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতি ইসরায়েলের ওপর কোনো চাপ তৈরি করছে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১ দেশ। বিপক্ষে দেয় তিন দেশ। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে একটি দেশ।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছিলেন, এই খসড়াটি অত্যন্ত রাজনীতিকরণ করা হয়েছে ও এতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য কার্যকর সবুজ সংকেত রয়েছে। তবে গাজায় এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছিল যে, চলতি মাসের শুরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হামাসের পলিটব্যুরোর এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে মারওয়ান ইসার মৃত্যুর কোনো প্রমাণ নেই এবং শত্রুরা (ইসরায়েল) মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র : জাগোনিউজ।