নিউইয়র্ক ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক ডিভিশন সেনা ফিরিয়ে আনলো ইসরাইল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৯ বার পঠিত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হামাসকে নির্মূলের আশায় গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইল নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালালেও, তাদের উদ্দেশ্য এখনও হাসিল হয়নি। দিন প্রতি আড়াইশ’র বেশি ফিলিস্তিনিদের লাশ ছাড়া আর কিছুই অর্জন করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কসাই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

উল্টো হামাসের প্রতিরোধ যুদ্ধের কাছে প্রতিদিন মার খেতে হচ্ছে সুপ্রশিক্ষিত আইডিএফ সেনাদের। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে নিহত সেনা সদস্যদের তালিকা। জখম হয়েছে কয়েক হাজারের বেশি, যাদের অনেককেই বরণ করতে হয়েছে পঙ্গুত্ব। মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা।

এমন পরিস্থিতিতে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ইসরাইরের কর্তাব্যক্তি শুরু করে দেশটির সমর নেতাদের। করণীয় ঠিকই করতে পারছে না। একেক জন একেক রকম কথা বলছেন। নেতানিয়াহু যখন হুঙ্কার দেন, হামাসকে খতম না করে ক্ষান্ত হবেন না তিনি, তখন প্রতিরক্ষা বলছেন, শিগগিরই শেষ হবে তাদের স্থল অভিযান।

শুধু কি তাই, যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে গোটা একটি ডিভিশনকে গাজা থেকে তুলে আনা হয়েছে। গাজায় ইসরাইল চার ডিভিশন সেনা মোতায়েন করেছিলো। কিন্তু গেলো ১০০ দিনে হত্যাযজ্ঞ ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্য অর্জন না হওয়ায়, এখন হতাহত হবার অজুহাতে এক ডিভিশনকেই প্রত্যাহার করা হল।

টাইমস অব ইসরাইল সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩৬ নম্বর ডিভিশনের সেনাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে গাজায় যুদ্ধ করার জন্য তিনটি ডিভিশন রয়ে গেছে। ফিরে যাওয়া ডিভিশনে কত সেনা রয়েছে সেটি জানায়নি আইডিএফ। বলা হয়, দশ থেকে পনের হাজার সেনা নিয়ে গঠিত হয় এক ডিভিশন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক ইসরাইলি সেনা ও সাঁজোয়া যান গাজা থেকে বেরিয়ে গেছে কিংবা বের হয়ে যাচ্ছে। এ সময় সেনাদের মধ্যে তাড়াহুড়া লক্ষ্য করা গেছে। মনে হচ্ছে যেন, গাজা থেকে যত তাড়াতাড়ি পালানো যায় ততই মঙ্গল। চাচা আপন প্রাণ বাঁচা অবস্থা।

এদিকে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত বলেছেন, গাজার উত্তরে তাদের অভিযান শেষ হয়েছে। দ্রুতই দক্ষিণ গাজায় এ অভিযান শেষ হবে। তবে, আমরা সম্পূর্ণরূপে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। অভিযান শেষ হলে, উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের হাতেই থাকবে।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এক ডিভিশন সেনা ফিরিয়ে আনলো ইসরাইল

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হামাসকে নির্মূলের আশায় গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইল নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালালেও, তাদের উদ্দেশ্য এখনও হাসিল হয়নি। দিন প্রতি আড়াইশ’র বেশি ফিলিস্তিনিদের লাশ ছাড়া আর কিছুই অর্জন করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কসাই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

উল্টো হামাসের প্রতিরোধ যুদ্ধের কাছে প্রতিদিন মার খেতে হচ্ছে সুপ্রশিক্ষিত আইডিএফ সেনাদের। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে নিহত সেনা সদস্যদের তালিকা। জখম হয়েছে কয়েক হাজারের বেশি, যাদের অনেককেই বরণ করতে হয়েছে পঙ্গুত্ব। মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা।

এমন পরিস্থিতিতে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ইসরাইরের কর্তাব্যক্তি শুরু করে দেশটির সমর নেতাদের। করণীয় ঠিকই করতে পারছে না। একেক জন একেক রকম কথা বলছেন। নেতানিয়াহু যখন হুঙ্কার দেন, হামাসকে খতম না করে ক্ষান্ত হবেন না তিনি, তখন প্রতিরক্ষা বলছেন, শিগগিরই শেষ হবে তাদের স্থল অভিযান।

শুধু কি তাই, যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে গোটা একটি ডিভিশনকে গাজা থেকে তুলে আনা হয়েছে। গাজায় ইসরাইল চার ডিভিশন সেনা মোতায়েন করেছিলো। কিন্তু গেলো ১০০ দিনে হত্যাযজ্ঞ ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্য অর্জন না হওয়ায়, এখন হতাহত হবার অজুহাতে এক ডিভিশনকেই প্রত্যাহার করা হল।

টাইমস অব ইসরাইল সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩৬ নম্বর ডিভিশনের সেনাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে গাজায় যুদ্ধ করার জন্য তিনটি ডিভিশন রয়ে গেছে। ফিরে যাওয়া ডিভিশনে কত সেনা রয়েছে সেটি জানায়নি আইডিএফ। বলা হয়, দশ থেকে পনের হাজার সেনা নিয়ে গঠিত হয় এক ডিভিশন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক ইসরাইলি সেনা ও সাঁজোয়া যান গাজা থেকে বেরিয়ে গেছে কিংবা বের হয়ে যাচ্ছে। এ সময় সেনাদের মধ্যে তাড়াহুড়া লক্ষ্য করা গেছে। মনে হচ্ছে যেন, গাজা থেকে যত তাড়াতাড়ি পালানো যায় ততই মঙ্গল। চাচা আপন প্রাণ বাঁচা অবস্থা।

এদিকে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত বলেছেন, গাজার উত্তরে তাদের অভিযান শেষ হয়েছে। দ্রুতই দক্ষিণ গাজায় এ অভিযান শেষ হবে। তবে, আমরা সম্পূর্ণরূপে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। অভিযান শেষ হলে, উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের হাতেই থাকবে।

হককথা/নাছরিন