নিউইয়র্ক ০৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আক্রমণের আগে ম্যাপ দিয়ে মানুষকে সরতে বলছে ইসরায়েল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২০ বার পঠিত

ইসরায়েল এখন গোটা গাজা ভূখণ্ডেই আক্রমণ করছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সেনা দক্ষিণ গাজার বাসিন্দাদের বলেছে, তারা যেন প্রতিদিন অনলাইনে দেখে নেন, কোথায় আক্রমণ করা হবে। সেইমতো তারা যেন নিরাপদ জায়গায় চলে যান। প্রতিদিন ইসরায়েলের সেনা অনলাইনে এই তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে।

জেরুসালেমে ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি রেবেকা রিটার্স জানিয়েছেন, ”গাজার মানুষদের এমন একটা ম্যাপ দেয়া হচ্ছে, যেটা বিভিন্ন বর্গক্ষেত্রে ভাগ করা আছে। প্রতিটি বর্গক্ষেত্রকে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিদিন ইসরায়েলের সেনা জানিয়ে দেবে কোন নম্বরের জায়গাগুলিকে তারা টার্গেট করেছে। সেখান থেকে মানুষকে সরে যেতে হবে।”

রেবেকা জানিয়েছেন, ”সমস্যাটা হলো, মানুষের সত্যিই কোথাও যাওয়ার নেই। তারা লুকোনোর জায়গাও বিশেষ পাচ্ছেন না।”ইন্টারনেটেরও সমস্যা আছে। ফলে নির্দিষ্ট দিনে নিরাপদ জায়গা কোনটা তা জানতেও মানুষের অসুবিধা হচ্ছে।

ইসরায়েলকে অ্যামেরিকা বলেছে, সাধারণ বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করতে হবে। তারা এখন পুরো গাজা ভূখণ্ডে অপারেশন চালাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে রক্ষার বিষয়টি জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার জানিয়েছেন, এখনই কিছু বলার সময় আসেনি, তবে ইসরায়েলের কৌশলে কিছুটা বদল তারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা একেবারে নির্দিষ্ট করে বলছে, কোন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে হবে।

মিলার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনা নির্দিষ্ট কিছু জায়গা চিহ্নিত করছে, তারপর মানুষকে সেই জায়গা থেকে সরে যেতে বলছে। তারপর তারা আক্রমণ করছে। এটা আগে হয়নি।

হামাসকে দায়ী করছে অ্যামেরিকা

বন্দিমুক্তি নিয়ে হামাসকেই দায়ী করলো অ্যামেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান জানিয়েছেন, ”হামাস মোট ৮০ জন ইসরায়েলের নারী ও বাচ্চাকে ছেড়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলও তার তিনগুণ ফিলিস্তিনিকে ছেড়েছে। এছাড়া হামাস আলাদা করে ২৩জন থাইল্যান্ডের নাগরিককেও ছেড়েছে।”

সুলিভান জানিয়েছেন, ”অ্যামেরিকা সব বন্দিকে মুক্তি দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হামাস কিছু নারীকে ছাড়তে চায়নি। তারপরই আলোচনা ভেস্তে যায়।”

সুলিভান জানিয়েছেন, ”সমঝোতায় মুক্তি দেয়ার তালিকায় নাম থাকা কিছু নারীকে হামাস ছাড়েনি। তারপরই আলোচনা ভেঙে যায়।”যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেছেন, ”মনে হচ্ছে, ওই নারীরা মুক্তি পেয়ে তাদের উপর অত্যাচারের কথা জানাক, সেটা হামাস চায়নি।” (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আক্রমণের আগে ম্যাপ দিয়ে মানুষকে সরতে বলছে ইসরায়েল

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সেনা দক্ষিণ গাজার বাসিন্দাদের বলেছে, তারা যেন প্রতিদিন অনলাইনে দেখে নেন, কোথায় আক্রমণ করা হবে। সেইমতো তারা যেন নিরাপদ জায়গায় চলে যান। প্রতিদিন ইসরায়েলের সেনা অনলাইনে এই তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে।

জেরুসালেমে ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি রেবেকা রিটার্স জানিয়েছেন, ”গাজার মানুষদের এমন একটা ম্যাপ দেয়া হচ্ছে, যেটা বিভিন্ন বর্গক্ষেত্রে ভাগ করা আছে। প্রতিটি বর্গক্ষেত্রকে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিদিন ইসরায়েলের সেনা জানিয়ে দেবে কোন নম্বরের জায়গাগুলিকে তারা টার্গেট করেছে। সেখান থেকে মানুষকে সরে যেতে হবে।”

রেবেকা জানিয়েছেন, ”সমস্যাটা হলো, মানুষের সত্যিই কোথাও যাওয়ার নেই। তারা লুকোনোর জায়গাও বিশেষ পাচ্ছেন না।”ইন্টারনেটেরও সমস্যা আছে। ফলে নির্দিষ্ট দিনে নিরাপদ জায়গা কোনটা তা জানতেও মানুষের অসুবিধা হচ্ছে।

ইসরায়েলকে অ্যামেরিকা বলেছে, সাধারণ বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করতে হবে। তারা এখন পুরো গাজা ভূখণ্ডে অপারেশন চালাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে রক্ষার বিষয়টি জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার জানিয়েছেন, এখনই কিছু বলার সময় আসেনি, তবে ইসরায়েলের কৌশলে কিছুটা বদল তারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা একেবারে নির্দিষ্ট করে বলছে, কোন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে হবে।

মিলার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনা নির্দিষ্ট কিছু জায়গা চিহ্নিত করছে, তারপর মানুষকে সেই জায়গা থেকে সরে যেতে বলছে। তারপর তারা আক্রমণ করছে। এটা আগে হয়নি।

হামাসকে দায়ী করছে অ্যামেরিকা

বন্দিমুক্তি নিয়ে হামাসকেই দায়ী করলো অ্যামেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান জানিয়েছেন, ”হামাস মোট ৮০ জন ইসরায়েলের নারী ও বাচ্চাকে ছেড়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলও তার তিনগুণ ফিলিস্তিনিকে ছেড়েছে। এছাড়া হামাস আলাদা করে ২৩জন থাইল্যান্ডের নাগরিককেও ছেড়েছে।”

সুলিভান জানিয়েছেন, ”অ্যামেরিকা সব বন্দিকে মুক্তি দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হামাস কিছু নারীকে ছাড়তে চায়নি। তারপরই আলোচনা ভেস্তে যায়।”

সুলিভান জানিয়েছেন, ”সমঝোতায় মুক্তি দেয়ার তালিকায় নাম থাকা কিছু নারীকে হামাস ছাড়েনি। তারপরই আলোচনা ভেঙে যায়।”যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেছেন, ”মনে হচ্ছে, ওই নারীরা মুক্তি পেয়ে তাদের উপর অত্যাচারের কথা জানাক, সেটা হামাস চায়নি।” (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

হককথা/নাছরিন