নিউইয়র্ক ১০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জ্বালানী তেল-গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৮০ বার পঠিত

জ্বালানী তেল, গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড করেছে ইরান। আর এভাবে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। ‘যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের তেল বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলতে পারেনি?’-শীর্ষক প্রতিবেদনে আলজাজিরা লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ছায়ায় ইরানের জ্বালানি পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে, ইরান সরকার এই নিষেধাজ্ঞা কাটাতে তার সাফল্যের ওপর জোর দিয়েছে।

ব্লুমবার্গের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা লিখেছে, ফ্যাক্টস গ্লোবাল অ্যানার্জি নামক একটি পরামর্শদাতা সংস্থার মাধ্যমে পরিবেশিত জাহাজ ও বাজারের তথ্য বিষয়ক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের আলোকে দেখা গেছে ইরানের তরল গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানি ২৮ শতাংশ বেড়ে ১১ মিলিয়ন বা এক কোটি দশ লাখ টনে পৌঁছেছে। এই কোম্পানির পূর্বাভাস অনুযায়ী ইরানের এলজিপি জ্বালানি রপ্তানি চলতি বছরে বেড়ে ১২ মিলিয়ন টন বা এক কোটি বিশ লাখ টনে উন্নীত হবে।

এটা স্পষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিভিন্ন দেশে ইরানের জ্বালানী তেলবাহী জাহাজগুলোকে আটকের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশটির ওপর নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের যে চেষ্টা করে আসছে তাও ব্যর্থ হয়েছে ইরানের পাল্টা অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়ার মত নানা সাহসি পদক্ষেপের কারণে।

সম্প্রতি ভারত আবারও ইরান থেকে জ্বালানী তেল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদিকে পাকিস্তানও ইরানের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক গ্যাস-পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস আমদানির প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা ও চাপ সত্ত্বেও। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে ইরান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পাকিস্তান অচল হয়ে থাকা ওই প্রকল্প আবারও সচল করার উদ্যোগ নেয়।

গতমাসে পাকিস্তান সরকার বহুল প্রতীক্ষিত আইপি পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শুরু করার ঘোষণা দেয়। এক দশকের বেশি সময় আগে এই প্রকল্পের ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হলেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ভয়ে এতদিন ইসলামাবাদ এটি বাস্তবায়নের কাজে হাত দেয়নি। ইরানের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গতমাসে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার জ্বালানি বিষয়ক কমিটি ইরান-পাক সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণকাজের অনুমোদন দিয়েছে। ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত এ প্রকল্পের পাকিস্তান অংশের কাজ ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সমাপ্ত করার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, প্রকল্প থেকে সরে গেলে পাকিস্তান ইরানকে ১ হজার ৮০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জ্বালানী তেল-গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

জ্বালানী তেল, গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড করেছে ইরান। আর এভাবে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। ‘যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের তেল বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলতে পারেনি?’-শীর্ষক প্রতিবেদনে আলজাজিরা লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ছায়ায় ইরানের জ্বালানি পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে, ইরান সরকার এই নিষেধাজ্ঞা কাটাতে তার সাফল্যের ওপর জোর দিয়েছে।

ব্লুমবার্গের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা লিখেছে, ফ্যাক্টস গ্লোবাল অ্যানার্জি নামক একটি পরামর্শদাতা সংস্থার মাধ্যমে পরিবেশিত জাহাজ ও বাজারের তথ্য বিষয়ক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের আলোকে দেখা গেছে ইরানের তরল গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানি ২৮ শতাংশ বেড়ে ১১ মিলিয়ন বা এক কোটি দশ লাখ টনে পৌঁছেছে। এই কোম্পানির পূর্বাভাস অনুযায়ী ইরানের এলজিপি জ্বালানি রপ্তানি চলতি বছরে বেড়ে ১২ মিলিয়ন টন বা এক কোটি বিশ লাখ টনে উন্নীত হবে।

এটা স্পষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিভিন্ন দেশে ইরানের জ্বালানী তেলবাহী জাহাজগুলোকে আটকের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশটির ওপর নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের যে চেষ্টা করে আসছে তাও ব্যর্থ হয়েছে ইরানের পাল্টা অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়ার মত নানা সাহসি পদক্ষেপের কারণে।

সম্প্রতি ভারত আবারও ইরান থেকে জ্বালানী তেল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদিকে পাকিস্তানও ইরানের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক গ্যাস-পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস আমদানির প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা ও চাপ সত্ত্বেও। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে ইরান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পাকিস্তান অচল হয়ে থাকা ওই প্রকল্প আবারও সচল করার উদ্যোগ নেয়।

গতমাসে পাকিস্তান সরকার বহুল প্রতীক্ষিত আইপি পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শুরু করার ঘোষণা দেয়। এক দশকের বেশি সময় আগে এই প্রকল্পের ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হলেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ভয়ে এতদিন ইসলামাবাদ এটি বাস্তবায়নের কাজে হাত দেয়নি। ইরানের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গতমাসে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার জ্বালানি বিষয়ক কমিটি ইরান-পাক সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণকাজের অনুমোদন দিয়েছে। ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত এ প্রকল্পের পাকিস্তান অংশের কাজ ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সমাপ্ত করার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, প্রকল্প থেকে সরে গেলে পাকিস্তান ইরানকে ১ হজার ৮০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা রয়েছে।