নিউইয়র্ক ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নির্বাচনের খরচ মেটাতে কিডনি বিক্রির চেষ্টা ইন্দোনেশিয়ান প্রার্থীর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ইন্দোনেশিয়ায় অনেক প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু অনেকের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য অর্থ যোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আগামী বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আঞ্চলিক আইন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গত কয়েক মাস ধরেই ৪৭ বছর বয়সী এরফিন দেউই সুদান্তো নামের এক প্রার্থী তাঁর কিডনি বিক্রির চেষ্টা করছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারী ইন্দোনেশিয়ার আঞ্চলিক আইন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী হাজার হাজার প্রার্থীর মধ্যে তিনি একজন।

তাঁর রাজনৈতিক প্রচারণার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। তাই তিনি আশা করছেন, ২০ হাজার ডলার সংগ্রহ করতে পারবেন। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার বানিউওয়াঙ্গিতে ন্যাশনাল ম্যান্ডেট পার্টির হয়ে দাঁড়িয়েছেন এরফিন। কিডনি বিক্রি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ভাইরাল হয়েছেন।

এরফিন আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমি সত্যি বলছি, আমি নিস্ব, আমার সম্পত্তি নেই। প্রচারণা চালতে তহবিল সংগ্রহের একমাত্র উপায় হলো আমার কিডনি বিক্রি করা।” দুই মাস ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চলায় ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনের খরচ এই বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো ভোট গননার জন্য কিছু সহায়তা প্রদান করে থাকে।

তবে প্রার্থীদের অবশ্যই বাকি সব কাজের জন্য নিজস্ব অর্থ খরচ করতে হবে। এরফিন দেউই সুদান্তো ধারণা করছেন, তাঁর মোট ৫০ হাজার ডলারের প্রয়োজন। এর মধ্যে বেশিরভাগই ‘টিপস’ দিতে চলে যাবে বলে তিনি জানান। এখনে টিপস বলতে তিনি বুঝিয়েছেন, সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখতে কিছু অর্থ প্রদান। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, ভোট কেনা।

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী ভোট কেনা বেআইনি। এই কাজের জন্য জরিমানা সর্বোচ্চ ৩ হাজার ডলার এবং তিন বছরের জেল। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় এটা এখন সাধারণ ঘটনা। এরফিন বলেন,‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভোট কিনতে চাই না। কিন্তু এটা আমাদের সমাজে প্রচলিত। একজন প্রার্থী জেতার জন্য প্রতিটি ভোটারের জন্য ৫০ হাজার রুপিয়া থেকে এক লাখ রুপিয়া প্রস্তুত রাখেন ‘ তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ না করায়, ভোট কেনার ঘটনা ঘটছে। এই স্রোতে চলা ছাড়া তাঁর আর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন,‘কেউ আইন প্রয়োগ করছে না। ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ নির্বাচন তদারকি সংস্থা ‘বাসওয়ালু’ বধির হয়ে পড়ে আছে।’ আল-জাজিরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাসওয়ালু এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।সূত্র : আলজাজিরা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নির্বাচনের খরচ মেটাতে কিডনি বিক্রির চেষ্টা ইন্দোনেশিয়ান প্রার্থীর

প্রকাশের সময় : ০৮:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ইন্দোনেশিয়ায় অনেক প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু অনেকের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য অর্থ যোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আগামী বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আঞ্চলিক আইন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গত কয়েক মাস ধরেই ৪৭ বছর বয়সী এরফিন দেউই সুদান্তো নামের এক প্রার্থী তাঁর কিডনি বিক্রির চেষ্টা করছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারী ইন্দোনেশিয়ার আঞ্চলিক আইন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী হাজার হাজার প্রার্থীর মধ্যে তিনি একজন।

তাঁর রাজনৈতিক প্রচারণার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। তাই তিনি আশা করছেন, ২০ হাজার ডলার সংগ্রহ করতে পারবেন। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার বানিউওয়াঙ্গিতে ন্যাশনাল ম্যান্ডেট পার্টির হয়ে দাঁড়িয়েছেন এরফিন। কিডনি বিক্রি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ভাইরাল হয়েছেন।

এরফিন আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমি সত্যি বলছি, আমি নিস্ব, আমার সম্পত্তি নেই। প্রচারণা চালতে তহবিল সংগ্রহের একমাত্র উপায় হলো আমার কিডনি বিক্রি করা।” দুই মাস ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চলায় ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনের খরচ এই বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো ভোট গননার জন্য কিছু সহায়তা প্রদান করে থাকে।

তবে প্রার্থীদের অবশ্যই বাকি সব কাজের জন্য নিজস্ব অর্থ খরচ করতে হবে। এরফিন দেউই সুদান্তো ধারণা করছেন, তাঁর মোট ৫০ হাজার ডলারের প্রয়োজন। এর মধ্যে বেশিরভাগই ‘টিপস’ দিতে চলে যাবে বলে তিনি জানান। এখনে টিপস বলতে তিনি বুঝিয়েছেন, সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখতে কিছু অর্থ প্রদান। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, ভোট কেনা।

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী ভোট কেনা বেআইনি। এই কাজের জন্য জরিমানা সর্বোচ্চ ৩ হাজার ডলার এবং তিন বছরের জেল। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় এটা এখন সাধারণ ঘটনা। এরফিন বলেন,‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভোট কিনতে চাই না। কিন্তু এটা আমাদের সমাজে প্রচলিত। একজন প্রার্থী জেতার জন্য প্রতিটি ভোটারের জন্য ৫০ হাজার রুপিয়া থেকে এক লাখ রুপিয়া প্রস্তুত রাখেন ‘ তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ না করায়, ভোট কেনার ঘটনা ঘটছে। এই স্রোতে চলা ছাড়া তাঁর আর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন,‘কেউ আইন প্রয়োগ করছে না। ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ নির্বাচন তদারকি সংস্থা ‘বাসওয়ালু’ বধির হয়ে পড়ে আছে।’ আল-জাজিরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাসওয়ালু এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।সূত্র : আলজাজিরা

হককথা/নাছরিন