নিউইয়র্ক ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করে বিদেশি রোগীর সংকটে ভারত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৬ বার পঠিত

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে যে এক ধরনের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে, তা চলছে এখনও। সমাধান হচ্ছে না ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতারও। খুবই সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

এ ভিসা প্রতিবন্ধকতায় একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা, তেমনি অন্যদিকে বিদেশি রোগীর সংকটে পড়েছে ভারতের চিকিৎসা খাতও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ৫০ শতাংশেরও বেশি বিদেশি রোগী হারিয়েছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন গড়ে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী, যাদের ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে ভারতের হাসপাতালগুলোতে।

অথচ, বিদেশি রোগীদের কাছ থেকে বেশ বড় ধরনের আয় হয় ভারতের, যা দেশটির অর্থনীতিতেও বিশাল অবদান রাখে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ২০২৩ সালে এই মেডিকেল ট্যুরিজম খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি যুক্তরাষ্ট্রের ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) যোগ হয় ভারতের অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল ৭ হাজার। আর এখন এই সংখ্যা মাত্র ৫০০-তে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালিটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে যেখানে অন্তত ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন, এখন সেখানে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি ৩০ জন রোগীও।

এ ব্যাপারে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) ভারত সরকারের এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করে বিদেশি রোগীর সংকটে ভারত

প্রকাশের সময় : ১১:১৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে যে এক ধরনের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে, তা চলছে এখনও। সমাধান হচ্ছে না ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতারও। খুবই সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

এ ভিসা প্রতিবন্ধকতায় একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা, তেমনি অন্যদিকে বিদেশি রোগীর সংকটে পড়েছে ভারতের চিকিৎসা খাতও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ৫০ শতাংশেরও বেশি বিদেশি রোগী হারিয়েছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন গড়ে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী, যাদের ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে ভারতের হাসপাতালগুলোতে।

অথচ, বিদেশি রোগীদের কাছ থেকে বেশ বড় ধরনের আয় হয় ভারতের, যা দেশটির অর্থনীতিতেও বিশাল অবদান রাখে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ২০২৩ সালে এই মেডিকেল ট্যুরিজম খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি যুক্তরাষ্ট্রের ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) যোগ হয় ভারতের অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল ৭ হাজার। আর এখন এই সংখ্যা মাত্র ৫০০-তে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালিটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে যেখানে অন্তত ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন, এখন সেখানে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি ৩০ জন রোগীও।

এ ব্যাপারে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) ভারত সরকারের এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।