নিউইয়র্ক ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যে দেশে রোগমুক্তির প্রার্থনায় প্রধান উপকরণ মধু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪১ বার পঠিত

প্রার্থনার মাধ্যমে প্রাকৃতিক মধু অসুখ নিরাময়ের জন্য উপযোগী করা হয়। এরপর রোগমুক্তির আশায় ব্যবহার করা হয় সেই মধু। যুগ যুগ ধরে এমনটাই বিশ্বাস করে আসছেন বুলগেরিয়ার অর্থডক্স খ্রিস্টানরা। অনন্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক মধুর রয়েছে হরেক রকমের ব্যবহার। এর সুমিষ্ট স্বাদ ও মৃদু ঘ্রাণের জন্য জগৎজোড়া খ্যাতিও রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও প্রার্থনার থালায় নিবেদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবেও স্থান পায় মধু। সবুলগেরিয়ার অর্থডক্স খ্রিস্টানদের কাছে অসুস্থতার দেবতা সেন্ট হারালামবোস। তাকে মৌমাছি পালনকারীদের একজন পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও গণ্য করা হয়। রোমান ক্যাথলিক ও পূর্ব অর্থোডক্স উভয় রীতিতে অধিক মধু লাভের আশায় তার নিকট প্রার্থনা করেন ভক্তরা।

ঐতিহ্যগতভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের একটি শুক্রবারে মৌমাছি ও মধুর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ছুটি কাটানোর নিয়ম রয়েছে দেশটিতে। এ দিনটিতে বিশেষ প্রার্থনার জন্য গির্জায় সমবেত হন শত শত ভক্ত।উপাসকরা গির্জার মেঝেতে মধুর বয়াম ও একটি জারে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখার পর একজন ধর্মযাজক মধুগুলোকে ধর্মীয় আচার অনুযায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য উপযোগী করে থাকেন। তারপর এটিকে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন স্থানীয়রা। আর এ কারণেই প্রাকৃতিক গুণাগুণ সম্পন্ন এই মধুকে অত্যন্ত পবিত্র একিপ পদার্থ হিসেবে মনে করে থাকেন বুলগেরিয়ার বাসিন্দারা। এই বিশ্বাসের ওপর ভর করেই শতাব্দীর পর শতাব্দী পার করে চলেছেন অর্থডক্স খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। বলকান দেশটিতে ৭৫ লাখ বসবাসকারীদের ৮০ শতাংশই অর্থডক্স খ্রিষ্টান। যার বড় একটি অংশ মধু ও মৌমাছি চাষে যুক্ত। মূলত দেশটির হিমায়িত আবহাওয়া থেকে মৌমাছিদের মুক্তি লাভের আশায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কারণ প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে খামারিরা চরম হুমকির মুখে পড়ছে। রয়েছে জীবিকায় ভাটা পড়ার শঙ্কা।

প্রতিবছর শীতকালে তীব্র তুষারপাতের কারণে বিপুল সংখ্যক মৌমাছির মৃত্যু হয়। এছাড়াও সারাবিশ্বেই বিভিন্ন কারণে মৌমাছির সংখ্যা ক্রমশ কমতির দিকে। তাই অদূর ভবিষ্যতে মধুর প্রাপ্তি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আছে মৌয়ালরা। স্থানীয়দের মতে, সেন্ট হারালামবোস তৃতীয় শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের সময় নির্যাতিত হওয়ার পর মিষ্টি জাতীয় পদার্থ দিয়ে শরীরের নানা জায়গার ক্ষতের চিকিৎসা করেছিলেন। এমনকি মৌমাছি পালনকারীদের সঙ্গেও তার যোগসূত্র ছিল বলে ধারণা করা হয়। সূত্র : এখন টিভি।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যে দেশে রোগমুক্তির প্রার্থনায় প্রধান উপকরণ মধু

প্রকাশের সময় : ০২:২৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রার্থনার মাধ্যমে প্রাকৃতিক মধু অসুখ নিরাময়ের জন্য উপযোগী করা হয়। এরপর রোগমুক্তির আশায় ব্যবহার করা হয় সেই মধু। যুগ যুগ ধরে এমনটাই বিশ্বাস করে আসছেন বুলগেরিয়ার অর্থডক্স খ্রিস্টানরা। অনন্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক মধুর রয়েছে হরেক রকমের ব্যবহার। এর সুমিষ্ট স্বাদ ও মৃদু ঘ্রাণের জন্য জগৎজোড়া খ্যাতিও রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও প্রার্থনার থালায় নিবেদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবেও স্থান পায় মধু। সবুলগেরিয়ার অর্থডক্স খ্রিস্টানদের কাছে অসুস্থতার দেবতা সেন্ট হারালামবোস। তাকে মৌমাছি পালনকারীদের একজন পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও গণ্য করা হয়। রোমান ক্যাথলিক ও পূর্ব অর্থোডক্স উভয় রীতিতে অধিক মধু লাভের আশায় তার নিকট প্রার্থনা করেন ভক্তরা।

ঐতিহ্যগতভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের একটি শুক্রবারে মৌমাছি ও মধুর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ছুটি কাটানোর নিয়ম রয়েছে দেশটিতে। এ দিনটিতে বিশেষ প্রার্থনার জন্য গির্জায় সমবেত হন শত শত ভক্ত।উপাসকরা গির্জার মেঝেতে মধুর বয়াম ও একটি জারে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখার পর একজন ধর্মযাজক মধুগুলোকে ধর্মীয় আচার অনুযায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য উপযোগী করে থাকেন। তারপর এটিকে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন স্থানীয়রা। আর এ কারণেই প্রাকৃতিক গুণাগুণ সম্পন্ন এই মধুকে অত্যন্ত পবিত্র একিপ পদার্থ হিসেবে মনে করে থাকেন বুলগেরিয়ার বাসিন্দারা। এই বিশ্বাসের ওপর ভর করেই শতাব্দীর পর শতাব্দী পার করে চলেছেন অর্থডক্স খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। বলকান দেশটিতে ৭৫ লাখ বসবাসকারীদের ৮০ শতাংশই অর্থডক্স খ্রিষ্টান। যার বড় একটি অংশ মধু ও মৌমাছি চাষে যুক্ত। মূলত দেশটির হিমায়িত আবহাওয়া থেকে মৌমাছিদের মুক্তি লাভের আশায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কারণ প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে খামারিরা চরম হুমকির মুখে পড়ছে। রয়েছে জীবিকায় ভাটা পড়ার শঙ্কা।

প্রতিবছর শীতকালে তীব্র তুষারপাতের কারণে বিপুল সংখ্যক মৌমাছির মৃত্যু হয়। এছাড়াও সারাবিশ্বেই বিভিন্ন কারণে মৌমাছির সংখ্যা ক্রমশ কমতির দিকে। তাই অদূর ভবিষ্যতে মধুর প্রাপ্তি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আছে মৌয়ালরা। স্থানীয়দের মতে, সেন্ট হারালামবোস তৃতীয় শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের সময় নির্যাতিত হওয়ার পর মিষ্টি জাতীয় পদার্থ দিয়ে শরীরের নানা জায়গার ক্ষতের চিকিৎসা করেছিলেন। এমনকি মৌমাছি পালনকারীদের সঙ্গেও তার যোগসূত্র ছিল বলে ধারণা করা হয়। সূত্র : এখন টিভি।