নিউইয়র্ক ০৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চীন-যুক্তরাষ্ট্র চিপযুদ্ধে পোয়াবারো মালয়েশিয়ার, বড় সুযোগ বাংলাদেশেরও

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৯ বার পঠিত

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অপরিহার্য উপাদান চিপ, যা স্মার্টফোন ও কম্পিউটারসহ নানা ধরনের যন্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয়। এই চিপ তৈরির শিল্প বা সেমিকন্ডাক্টর খাতের বাজারের আকার ৫২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এই খাতের শীর্ষ দুই সরবরাহকারী দেশ ছিল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্কের মধ্যে চীনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এশিয়ার আরেক দেশ মালয়েশিয়া এই শিল্পের প্রধান সরবরাহকারীর ভূমিকায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের বড় উৎসও মালয়েশিয়া। সম্প্রসারণশীল এই শিল্পে তাই বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের পণ্য সরবরাহ খাতে মালয়েশিয়ার দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। বিশেষ করে মোড়কজাতকরণ, সংযোজন ও চিপ টেস্টিং বা পরীক্ষার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সুনাম অনেক পুরোনো। যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বৈরথের কারণে চিপ সরবরাহে শূন্যস্থান তৈরি হওয়ায় এখন বাজারে ভালো দখল তৈরির সুযোগ এসেছে মালয়েশিয়ার সামনে। কারণ, নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার সুনাম অক্ষুণ্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির ইলেকট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের কাছ থেকে চিপ কিনতে পারছে না। তাই তারা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলছে, তোমরা যদি অন্য কোনো দেশে সরে না যাও, সে ক্ষেত্রে আমাদের নতুন কোনো দেশের শরণাপন্ন হতে হবে চিপের জন্য। তাই বাধ্য হয়েই চীনা বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন নিজেদের বিনিয়োগ অন্য কোথাও স্থানান্তরের কথা। এ ক্ষেত্রে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা মালয়েশিয়া।

এই দেশ যে বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা, তার প্রমাণ মেলে ২০২৩ সালে দেশটির সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ থেকে। বিগত বছরে মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ১২৮০ কোটি ডলার, যা কি না ২০১৩ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে হওয়া বিনিয়োগের চেয়ে অনেক বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে মালয়েশিয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিপ রপ্তানিকারক ছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ চিপ আমদানি করেছে, তার ২০ শতাংশের উৎস মালয়েশিয়া। দেশটির পর তাইওয়ান থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ—১৫ দশমিক ১ শতাংশ—চিপ আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাকি দেশগুলো এর ধারেকাছেও নেই।

সামনের দিনে পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যেতে পারে। অন্তত মালয়েশিয়ায় যেসব প্রতিষ্ঠান সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে কাজ করে তাদের অনেকেই আশা করছেন, আগামী দিনে এই খাতে মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে।

মালয়েশিয়ার শীর্ষ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি কেমিকনের প্রধান নির্বাহী মার্সেল উইজমার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘এখন (বিনিয়োগে) একধরনের হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। কেবল চীনা প্রতিষ্ঠানই নয়, জাপানি, কোরিয়ান ও পশ্চিমা বিশ্বের কোম্পানিগুলোও পেনাংয়ে বিনিয়োগের জন্য আসছে। মূলত চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চিপ যুদ্ধে এটা ঘটছে।’

মাইক্রন, ইন্টেল ও ইনফিনিওনের মতো বহুজাতিক চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে আছে। ইন্টেল এরই মধ্যে পেনাংয়ে কারখানা গড়েছে। সেখানে এখন ১৫ হাজার কর্মী কাজ করে। এ বিষয়ে ইন্টেল মালয়েশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক চ্যান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘আমরা মাত্র ১০০ জন নিয়ে চিপ উৎপাদন, পরীক্ষা, নকশা ও প্যাকেজিংয়ের কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আমাদের কর্মীর সংখ্যা ১৫ হাজার।’

মালয়েশিয়ার চিপ শিল্প আসলে কত দূর এগিয়ে গেছে, তা ইন্টেলের কারখানার প্রবৃদ্ধি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। এর কারণ হলো, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চিপ দ্বৈরথের সবচেয়ে বড় ফায়দার সদ্ব্যবহারে উন্মুখ মালয়েশিয়া সরকার।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে উন্নত করা এবং এই খাতের শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করে তোলা। তবে এটি খুব একটা সহজ হবে না তা তিনি স্বীকার করেন। আনওয়ার ইব্রাহিমের এই লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধাগুলোর মধ্যে একটি হলোপর্যাপ্ত মেধাবী লোকবলের অভাব।

বরাবরের মতোই মালয়েশিয়ার এই দুর্বলতার জায়গাই বাংলাদেশের জন্য দারুণ সুযোগ হয়ে ধরা দিতে পারে। এরই মধ্যে তাঁর আলামতও মিলেছে। এই খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমশক্তি নিতে মালয়েশিয়ার সরকার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএমসিসিআই) সভাপতি সাব্বির এ খান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ছে। এ কারণে দেশটিতে প্রচুর দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। এ খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী দেশটি।’

বিএমসিসিআইয়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সভাপতি সাব্বির এ খানের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়া সফর করেন। সফরে তাঁরা মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (এমডিইসি) ও মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস সেক্রেটারিয়েটসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন।

মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে সাব্বির এ খান বলেন, দেশটিতে দক্ষ প্রকৌশলীদের বড় চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ সময় তিনি জানান, এই খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে শিগগির চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। তিনি বলেন, ‘দ্রুতই এমডিইসির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হবে। এতে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কাজ করার পথ সুগম হবে।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চীন-যুক্তরাষ্ট্র চিপযুদ্ধে পোয়াবারো মালয়েশিয়ার, বড় সুযোগ বাংলাদেশেরও

প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অপরিহার্য উপাদান চিপ, যা স্মার্টফোন ও কম্পিউটারসহ নানা ধরনের যন্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয়। এই চিপ তৈরির শিল্প বা সেমিকন্ডাক্টর খাতের বাজারের আকার ৫২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এই খাতের শীর্ষ দুই সরবরাহকারী দেশ ছিল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্কের মধ্যে চীনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এশিয়ার আরেক দেশ মালয়েশিয়া এই শিল্পের প্রধান সরবরাহকারীর ভূমিকায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের বড় উৎসও মালয়েশিয়া। সম্প্রসারণশীল এই শিল্পে তাই বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের পণ্য সরবরাহ খাতে মালয়েশিয়ার দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। বিশেষ করে মোড়কজাতকরণ, সংযোজন ও চিপ টেস্টিং বা পরীক্ষার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সুনাম অনেক পুরোনো। যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বৈরথের কারণে চিপ সরবরাহে শূন্যস্থান তৈরি হওয়ায় এখন বাজারে ভালো দখল তৈরির সুযোগ এসেছে মালয়েশিয়ার সামনে। কারণ, নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার সুনাম অক্ষুণ্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির ইলেকট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের কাছ থেকে চিপ কিনতে পারছে না। তাই তারা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলছে, তোমরা যদি অন্য কোনো দেশে সরে না যাও, সে ক্ষেত্রে আমাদের নতুন কোনো দেশের শরণাপন্ন হতে হবে চিপের জন্য। তাই বাধ্য হয়েই চীনা বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন নিজেদের বিনিয়োগ অন্য কোথাও স্থানান্তরের কথা। এ ক্ষেত্রে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা মালয়েশিয়া।

এই দেশ যে বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা, তার প্রমাণ মেলে ২০২৩ সালে দেশটির সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ থেকে। বিগত বছরে মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ১২৮০ কোটি ডলার, যা কি না ২০১৩ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে হওয়া বিনিয়োগের চেয়ে অনেক বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে মালয়েশিয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিপ রপ্তানিকারক ছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ চিপ আমদানি করেছে, তার ২০ শতাংশের উৎস মালয়েশিয়া। দেশটির পর তাইওয়ান থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ—১৫ দশমিক ১ শতাংশ—চিপ আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাকি দেশগুলো এর ধারেকাছেও নেই।

সামনের দিনে পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যেতে পারে। অন্তত মালয়েশিয়ায় যেসব প্রতিষ্ঠান সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে কাজ করে তাদের অনেকেই আশা করছেন, আগামী দিনে এই খাতে মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে।

মালয়েশিয়ার শীর্ষ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি কেমিকনের প্রধান নির্বাহী মার্সেল উইজমার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘এখন (বিনিয়োগে) একধরনের হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। কেবল চীনা প্রতিষ্ঠানই নয়, জাপানি, কোরিয়ান ও পশ্চিমা বিশ্বের কোম্পানিগুলোও পেনাংয়ে বিনিয়োগের জন্য আসছে। মূলত চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চিপ যুদ্ধে এটা ঘটছে।’

মাইক্রন, ইন্টেল ও ইনফিনিওনের মতো বহুজাতিক চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে আছে। ইন্টেল এরই মধ্যে পেনাংয়ে কারখানা গড়েছে। সেখানে এখন ১৫ হাজার কর্মী কাজ করে। এ বিষয়ে ইন্টেল মালয়েশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক চ্যান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘আমরা মাত্র ১০০ জন নিয়ে চিপ উৎপাদন, পরীক্ষা, নকশা ও প্যাকেজিংয়ের কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আমাদের কর্মীর সংখ্যা ১৫ হাজার।’

মালয়েশিয়ার চিপ শিল্প আসলে কত দূর এগিয়ে গেছে, তা ইন্টেলের কারখানার প্রবৃদ্ধি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। এর কারণ হলো, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চিপ দ্বৈরথের সবচেয়ে বড় ফায়দার সদ্ব্যবহারে উন্মুখ মালয়েশিয়া সরকার।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে উন্নত করা এবং এই খাতের শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করে তোলা। তবে এটি খুব একটা সহজ হবে না তা তিনি স্বীকার করেন। আনওয়ার ইব্রাহিমের এই লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধাগুলোর মধ্যে একটি হলোপর্যাপ্ত মেধাবী লোকবলের অভাব।

বরাবরের মতোই মালয়েশিয়ার এই দুর্বলতার জায়গাই বাংলাদেশের জন্য দারুণ সুযোগ হয়ে ধরা দিতে পারে। এরই মধ্যে তাঁর আলামতও মিলেছে। এই খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমশক্তি নিতে মালয়েশিয়ার সরকার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএমসিসিআই) সভাপতি সাব্বির এ খান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ছে। এ কারণে দেশটিতে প্রচুর দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। এ খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী দেশটি।’

বিএমসিসিআইয়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সভাপতি সাব্বির এ খানের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়া সফর করেন। সফরে তাঁরা মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (এমডিইসি) ও মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস সেক্রেটারিয়েটসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন।

মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে সাব্বির এ খান বলেন, দেশটিতে দক্ষ প্রকৌশলীদের বড় চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ সময় তিনি জানান, এই খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে শিগগির চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। তিনি বলেন, ‘দ্রুতই এমডিইসির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হবে। এতে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কাজ করার পথ সুগম হবে।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা।