নিউইয়র্ক ০৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৪ বছরে সম্পদ দ্বিগুণ শীর্ষ পাঁচ ধনীর, আরও গরিব হয়েছে ৫০০ কোটি মানুষ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৮৫ বার পঠিত

বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনী জেফ বেজোস, ওয়ারেন বাফেট, বার্নার্ড আর্নল্ট, ল্যারি এলিসন ও ইলন মাস্ক। ছবি : সিএনএন

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিগত চারটি বছর বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের সৌভাগ্যের চাকা এত দ্রুত ঘুরেছে যে তাঁদের মোট সম্পদ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এই সময়ে বিশ্বের প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ আগের চেয়ে আরও বেশি গরিবে পরিণত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অক্সফামের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআর।

বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনীর সম্পদ ২০২০ সাল থেকে ফুলেফেঁপে বেড়েছে। এ সময়ে তাঁদের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ধারাবাহিকভাবে এমন হারে তাঁদের সম্পদ বাড়তে থাকলে শিগগিরই হয়তো পৃথিবীবাসী আগামী এক দশকের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার দেখতে পাবে। অক্সফামের হিসাব অনুসারে, মূল্যস্ফীতির হিসাব বিবেচনায় নিয়েই ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদ ৪০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলার।

অক্সফাম জানিয়েছে, গত ৪ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনী ফরাসি বিলাসী পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠা লুই ভিতোঁর প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, আমাজনের জেফ বেজোস, বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট, ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। এই ৫ ধনকুবেরের সম্পদ প্রতি ঘণ্টায় ১৪ মিলিয়ন ডলার হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম।

সম্পদশালী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ইলন মাস্ক। তিনি টেসলা, স্পেসএক্স, এক্সসহ (সাবেক টুইটার) বেশ কয়েকটি সংস্থা চালান। গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ৭৩৭ শতাংশ বেশি।

এরপরের স্থানেই আছেন ফরাসি বিলাসী পণ্যের জায়ান্ট লুই ভিতোঁর চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ১১১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে এ সময় ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের তুলনায় ১০৭ শতাংশ বেশি। আর বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ এ সময়ে ৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে।

অক্সফাম জানিয়েছে, সামগ্রিকভাবে বিশ্বের সব বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের সম্পদ মূল্যস্ফীতির হারের চেয়েও তিন গুণ বেশি হারে বেড়েছে।

অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনীদের সম্পদের পাহাড় আরও বাড়লেও একই সময়ে মূল্যস্ফীতি, যুদ্ধ ও জলবায়ু সংকটের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বের প্রায় ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০০ কোটি মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বে দারিদ্র্য দূর করতে ২৩০ বছরের মতো সময় লাগবে।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৪ বছরে সম্পদ দ্বিগুণ শীর্ষ পাঁচ ধনীর, আরও গরিব হয়েছে ৫০০ কোটি মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিগত চারটি বছর বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের সৌভাগ্যের চাকা এত দ্রুত ঘুরেছে যে তাঁদের মোট সম্পদ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এই সময়ে বিশ্বের প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ আগের চেয়ে আরও বেশি গরিবে পরিণত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অক্সফামের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআর।

বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনীর সম্পদ ২০২০ সাল থেকে ফুলেফেঁপে বেড়েছে। এ সময়ে তাঁদের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ধারাবাহিকভাবে এমন হারে তাঁদের সম্পদ বাড়তে থাকলে শিগগিরই হয়তো পৃথিবীবাসী আগামী এক দশকের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার দেখতে পাবে। অক্সফামের হিসাব অনুসারে, মূল্যস্ফীতির হিসাব বিবেচনায় নিয়েই ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদ ৪০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলার।

অক্সফাম জানিয়েছে, গত ৪ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনী ফরাসি বিলাসী পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠা লুই ভিতোঁর প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, আমাজনের জেফ বেজোস, বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট, ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। এই ৫ ধনকুবেরের সম্পদ প্রতি ঘণ্টায় ১৪ মিলিয়ন ডলার হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম।

সম্পদশালী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ইলন মাস্ক। তিনি টেসলা, স্পেসএক্স, এক্সসহ (সাবেক টুইটার) বেশ কয়েকটি সংস্থা চালান। গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ৭৩৭ শতাংশ বেশি।

এরপরের স্থানেই আছেন ফরাসি বিলাসী পণ্যের জায়ান্ট লুই ভিতোঁর চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ১১১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে এ সময় ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের তুলনায় ১০৭ শতাংশ বেশি। আর বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ এ সময়ে ৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে।

অক্সফাম জানিয়েছে, সামগ্রিকভাবে বিশ্বের সব বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের সম্পদ মূল্যস্ফীতির হারের চেয়েও তিন গুণ বেশি হারে বেড়েছে।

অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনীদের সম্পদের পাহাড় আরও বাড়লেও একই সময়ে মূল্যস্ফীতি, যুদ্ধ ও জলবায়ু সংকটের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বের প্রায় ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০০ কোটি মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বে দারিদ্র্য দূর করতে ২৩০ বছরের মতো সময় লাগবে।

হককথা/নাছরিন