নিউইয়র্ক ১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কোন দেশে কত সাংবাদিক কারাগারে আছেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩ বার পঠিত

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে উইঘুর সাংবাদিক ইলহাম তোহতির ছবি হাতে তাঁর কন্যা জিউহার। ছবি : এএফপি

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারে থাকা সাংবাদিকদের পরিসংখ্যান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন সিপিজে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ৪৪ জন সাংবাদিককে কারাগারে রেখে পৃথিবীর সব দেশকে পেছনে ফেলেছে চীন। দেশটিতে কারারুদ্ধ সাংবাদিকদের প্রায় অর্ধেকই উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের। নিজ জনগোষ্ঠীর নিপীড়নের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাঁদের কারাগারে যেতে হয়েছে।

সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন সিপিজের সর্বশেষ জেলশুমারিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩২০ জন সাংবাদিক কারারুদ্ধ হয়ে আছেন।

সিপিজের গবেষণায় দেখা গেছে, কারাবন্দী সাংবাদিকদের অর্ধেকের বেশি তাঁদের প্রতিবেদনের জন্য মিথ্যা সংবাদ, রাষ্ট্রবিরোধী বা সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।

পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি সাংবাদিককে কারাগারে রাখা দেশের তালিকায় চীনের পরই অবস্থান করছে মিয়ানমার। ২০২৩ সালে মিয়ানমারে ৪৩ সাংবাদিক কারাগারে ছিলেন। কারাবন্দী ২৮ সাংবাদিকের জন্য তৃতীয় স্থানটিতে রয়েছে বেলারুশ। তারপরই আছে রাশিয়ার নাম। পুতিনের দেশে ২০২৩ সালে কারাগারে ছিল ২২ সাংবাদিক। ১৯ জন ছিলেন ভিয়েতনামে। ১৭ জন করে কারারুদ্ধ ছিলেন ইরান ও ইসরায়েলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বাজে দেশ হিসেবে চীনের নামটি আসছে। নানা ধরনের সেন্সরশিপের কারণে দেশটিতে কারাগারে থাকা সাংবাদিকের সঠিক সংখ্যাটি জানা সব সময়ই কঠিন। ২০২৩ সালে দেশটিতে ১৯ জন উইঘুর সাংবাদিক কারাগারে ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ইলহাম তোহতি নামের এক অধ্যাপক উইঘুরবিজ নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। তোহতিকে প্রায় ১০ বছর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

আরেকজন হলেন কুরবান মামুত। তিনি জনপ্রিয় উইঘুর জার্নাল জিনজিয়াং সিভিলাইজেশনের সাবেক প্রধান সম্পাদক। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। ২০২২ সালে জানা যায়, ‘রাজনৈতিক অপরাধের’ জন্য মামুতকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর সাংবাদিকদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কারাগার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েল। সাংবাদিকদের কারাগারে রাখার ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে দেশটি তাদের চিরশত্রু ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছিল।

১৯৯২ সাল থেকে সাংবাদিকদের জেলশুমারি শুরুর পর থেকে গত বছর জেলে থাকা সাংবাদিকদের সংখ্যাটিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে সিপিজে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে রাখা ছাড়াও অন্য দেশে অবস্থান করা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রায় সময়ই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ভয়ভীতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাশিয়া। সম্প্রতি নির্বাসিত এক সাংবাদিককে প্রতিবেশী দেশ জিবুতি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইথিওপিয়াও।

সিপিজের গবেষণা বলছে, কারাগারে থাকা ৩২০ সাংবাদিকের মধ্যে ১৬৮ জনই তাঁদের প্রতিবেদনের জন্য মিথ্যা সংবাদ এবং রাষ্ট্রবিরোধী অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। অন্তত ৬৬ জনকে কারাগারে রাখা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কোন দেশে কত সাংবাদিক কারাগারে আছেন

প্রকাশের সময় : ০৬:১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারে থাকা সাংবাদিকদের পরিসংখ্যান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন সিপিজে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ৪৪ জন সাংবাদিককে কারাগারে রেখে পৃথিবীর সব দেশকে পেছনে ফেলেছে চীন। দেশটিতে কারারুদ্ধ সাংবাদিকদের প্রায় অর্ধেকই উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের। নিজ জনগোষ্ঠীর নিপীড়নের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাঁদের কারাগারে যেতে হয়েছে।

সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন সিপিজের সর্বশেষ জেলশুমারিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩২০ জন সাংবাদিক কারারুদ্ধ হয়ে আছেন।

সিপিজের গবেষণায় দেখা গেছে, কারাবন্দী সাংবাদিকদের অর্ধেকের বেশি তাঁদের প্রতিবেদনের জন্য মিথ্যা সংবাদ, রাষ্ট্রবিরোধী বা সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।

পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি সাংবাদিককে কারাগারে রাখা দেশের তালিকায় চীনের পরই অবস্থান করছে মিয়ানমার। ২০২৩ সালে মিয়ানমারে ৪৩ সাংবাদিক কারাগারে ছিলেন। কারাবন্দী ২৮ সাংবাদিকের জন্য তৃতীয় স্থানটিতে রয়েছে বেলারুশ। তারপরই আছে রাশিয়ার নাম। পুতিনের দেশে ২০২৩ সালে কারাগারে ছিল ২২ সাংবাদিক। ১৯ জন ছিলেন ভিয়েতনামে। ১৭ জন করে কারারুদ্ধ ছিলেন ইরান ও ইসরায়েলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বাজে দেশ হিসেবে চীনের নামটি আসছে। নানা ধরনের সেন্সরশিপের কারণে দেশটিতে কারাগারে থাকা সাংবাদিকের সঠিক সংখ্যাটি জানা সব সময়ই কঠিন। ২০২৩ সালে দেশটিতে ১৯ জন উইঘুর সাংবাদিক কারাগারে ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ইলহাম তোহতি নামের এক অধ্যাপক উইঘুরবিজ নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। তোহতিকে প্রায় ১০ বছর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

আরেকজন হলেন কুরবান মামুত। তিনি জনপ্রিয় উইঘুর জার্নাল জিনজিয়াং সিভিলাইজেশনের সাবেক প্রধান সম্পাদক। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। ২০২২ সালে জানা যায়, ‘রাজনৈতিক অপরাধের’ জন্য মামুতকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর সাংবাদিকদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কারাগার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েল। সাংবাদিকদের কারাগারে রাখার ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে দেশটি তাদের চিরশত্রু ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছিল।

১৯৯২ সাল থেকে সাংবাদিকদের জেলশুমারি শুরুর পর থেকে গত বছর জেলে থাকা সাংবাদিকদের সংখ্যাটিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে সিপিজে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে রাখা ছাড়াও অন্য দেশে অবস্থান করা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রায় সময়ই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ভয়ভীতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাশিয়া। সম্প্রতি নির্বাসিত এক সাংবাদিককে প্রতিবেশী দেশ জিবুতি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইথিওপিয়াও।

সিপিজের গবেষণা বলছে, কারাগারে থাকা ৩২০ সাংবাদিকের মধ্যে ১৬৮ জনই তাঁদের প্রতিবেদনের জন্য মিথ্যা সংবাদ এবং রাষ্ট্রবিরোধী অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। অন্তত ৬৬ জনকে কারাগারে রাখা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন