নিউইয়র্ক ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কত দূর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৮ বার পঠিত

বহুল প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আজও আলোর মুখ দেখেনি। একটি সমঝোতার ব্যাপারে দিল্লি সম্মত হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে নারাজ। মূলত তার আপত্তির কারণেই তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। এমন এক বাস্তবতায় টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে নয়াদিল্লি যান নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত প্রতিবেশী ভারতে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি; বৈঠক করবেন ভারতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।

সফরকালে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। তবে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ও সীমান্ত হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে কতটুকু আলোচনার সুযোগ হবে বা অগ্রগতিই বা কতটুকু হবে তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। যদিও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি যে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, সেই বার্তা জয়শঙ্করকে দেবেন হাছান মাহমুদ।

অন্যদিকে ঢাকা ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্র আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপে দাবি করেছে ৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকে দুই মন্ত্রীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়া মন্ত্রীর সফরের অনেক কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দ্বিপক্ষীয় প্রথম সফরে সাধারণত সরকারপ্রধানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। ১০ বছরে বাংলাদেশে গুড উইল সফরে আসা দিল্লির পররাষ্ট্র সচিবরাও সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। কিন্তু হাছান মাহমুদের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া তিস্তায় চীন যে প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে ভারত জানতে চাইলে মতামত দেবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশা করছি। তিস্তায় চীনের প্রকল্প প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, চীনের প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা, তা এখন বলা যাচ্ছে না। কারণ এজেন্ডাগুলো নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে। যদি ভারত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।

সম্প্রতি যশোর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের বিজিবির এক সদস্য নিহত হন। বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সেই অস্বস্তি দূর করতে সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার দুই দেশের রয়েছে, সে বিষয়েও আলোচনা করবেন হাছান মাহমুদ। আলোচনা হবে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও কানেক্টিভিটি নিয়েও।

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান জয়শঙ্কর। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পরের দিন তার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরটি তিন দিনের হতে পারে। তবে সফরসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আলোচ্য বিষয়বস্তুও ঠিক হয়নি। এসব নিয়ে এখনো কাজ চলছে।

ভারত সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। মিয়ানমার ও ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাই মিয়ানমারের ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতা সব সময় চেয়ে এসেছি। মিয়ানমার যাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সাবিকভাবে মিয়ানমার ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’ সূত্র : আমাদের সময়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কত দূর

প্রকাশের সময় : ১১:১২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বহুল প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আজও আলোর মুখ দেখেনি। একটি সমঝোতার ব্যাপারে দিল্লি সম্মত হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে নারাজ। মূলত তার আপত্তির কারণেই তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। এমন এক বাস্তবতায় টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে নয়াদিল্লি যান নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত প্রতিবেশী ভারতে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি; বৈঠক করবেন ভারতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।

সফরকালে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। তবে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ও সীমান্ত হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে কতটুকু আলোচনার সুযোগ হবে বা অগ্রগতিই বা কতটুকু হবে তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। যদিও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি যে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, সেই বার্তা জয়শঙ্করকে দেবেন হাছান মাহমুদ।

অন্যদিকে ঢাকা ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্র আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপে দাবি করেছে ৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকে দুই মন্ত্রীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়া মন্ত্রীর সফরের অনেক কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দ্বিপক্ষীয় প্রথম সফরে সাধারণত সরকারপ্রধানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। ১০ বছরে বাংলাদেশে গুড উইল সফরে আসা দিল্লির পররাষ্ট্র সচিবরাও সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। কিন্তু হাছান মাহমুদের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া তিস্তায় চীন যে প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে ভারত জানতে চাইলে মতামত দেবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশা করছি। তিস্তায় চীনের প্রকল্প প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, চীনের প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা, তা এখন বলা যাচ্ছে না। কারণ এজেন্ডাগুলো নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে। যদি ভারত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।

সম্প্রতি যশোর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের বিজিবির এক সদস্য নিহত হন। বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সেই অস্বস্তি দূর করতে সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার দুই দেশের রয়েছে, সে বিষয়েও আলোচনা করবেন হাছান মাহমুদ। আলোচনা হবে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও কানেক্টিভিটি নিয়েও।

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান জয়শঙ্কর। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পরের দিন তার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরটি তিন দিনের হতে পারে। তবে সফরসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আলোচ্য বিষয়বস্তুও ঠিক হয়নি। এসব নিয়ে এখনো কাজ চলছে।

ভারত সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। মিয়ানমার ও ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাই মিয়ানমারের ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতা সব সময় চেয়ে এসেছি। মিয়ানমার যাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সাবিকভাবে মিয়ানমার ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’ সূত্র : আমাদের সময়।