নিউইয়র্ক ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েলের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছিল হামাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২২ বার পঠিত

পরমাণু ঘাঁটিতে হামাসের হামলার বিষয়ে সতর্ক হয়েছে ইসরায়েল। প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের একটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল, ওই সময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ওই হামলার ফলে যেখানে পরমাণু অস্ত্রগুলো রাখা হয়েছিল, তার কাছাকাছি স্থানে আগুন ধরে গিয়েছিল।

ইসরায়েল তাদের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র মজুদের ব্যাপারে কখনোই খোলাসা করে কিছু বলেনি। তবে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক কান্স ক্রিস্টেনসেন দাবি করেছেন, ইসরায়েলের কাছে ২৫ থেকে ৫০টি পরমাণু-সক্ষমতার জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক রয়েছে।

ক্রিস্টেনসেন বলেন, ওয়ারহেডগুলো সম্ভবত ঘাঁটিটি থেকে দূরে একটি পৃথক স্থানে রাখা হয়েছিল। ফলে এ আক্রমণের সময় হুমকির মুখে পড়েনি।

ইসরায়েলি পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের সম্ভাব্য জায়গায় হামাসের এ হামলার খবর এতদিন অপ্রকাশিত ছিল। তবে এটা অস্পষ্ট হামাসের যোদ্ধারা জানত কিনা যে তারা কোথায় হামলা করেছে। কেননা ঘাঁটিটি একটি সাধারণ সামরিক স্থাপনার মত দেখতে। এ বিষয়ে হামাস কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় ৭ অক্টোবরের হামলায় এটা স্পষ্ট যে- দেশটির নিবিড়ভাবে সংরক্ষিত অস্ত্রগুলো অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বড় হুমকিতে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে কতগুলো রকেট আটকানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে, কিছু রকেট আয়রোনডোম এর সুরক্ষা ভেদ করে ঢুকে পড়ে এবং এক সময়ে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ফুরিয়ে যায়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসের এ অনুসন্ধানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে ৭ অক্টোবরের পর থেকে দেখা গেছে ইসরায়েল সেদত মিচার হামলার বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং রকেট হামলার স্থানের আশেপাশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

নাছরিন/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছিল হামাস

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের একটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল, ওই সময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ওই হামলার ফলে যেখানে পরমাণু অস্ত্রগুলো রাখা হয়েছিল, তার কাছাকাছি স্থানে আগুন ধরে গিয়েছিল।

ইসরায়েল তাদের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র মজুদের ব্যাপারে কখনোই খোলাসা করে কিছু বলেনি। তবে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক কান্স ক্রিস্টেনসেন দাবি করেছেন, ইসরায়েলের কাছে ২৫ থেকে ৫০টি পরমাণু-সক্ষমতার জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক রয়েছে।

ক্রিস্টেনসেন বলেন, ওয়ারহেডগুলো সম্ভবত ঘাঁটিটি থেকে দূরে একটি পৃথক স্থানে রাখা হয়েছিল। ফলে এ আক্রমণের সময় হুমকির মুখে পড়েনি।

ইসরায়েলি পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের সম্ভাব্য জায়গায় হামাসের এ হামলার খবর এতদিন অপ্রকাশিত ছিল। তবে এটা অস্পষ্ট হামাসের যোদ্ধারা জানত কিনা যে তারা কোথায় হামলা করেছে। কেননা ঘাঁটিটি একটি সাধারণ সামরিক স্থাপনার মত দেখতে। এ বিষয়ে হামাস কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় ৭ অক্টোবরের হামলায় এটা স্পষ্ট যে- দেশটির নিবিড়ভাবে সংরক্ষিত অস্ত্রগুলো অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বড় হুমকিতে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে কতগুলো রকেট আটকানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে, কিছু রকেট আয়রোনডোম এর সুরক্ষা ভেদ করে ঢুকে পড়ে এবং এক সময়ে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ফুরিয়ে যায়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসের এ অনুসন্ধানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে ৭ অক্টোবরের পর থেকে দেখা গেছে ইসরায়েল সেদত মিচার হামলার বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং রকেট হামলার স্থানের আশেপাশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

নাছরিন/হককথা