নিউইয়র্ক ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মরক্কোতে মিলল এক লাখ বছর আগের পদচিহ্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৮৫ বার পঠিত

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় প্রায় এক লাখ বছর আগের মানুষের পদচিহ্ন পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। সেখানকার লারাচে উপকূলে মানুষের ৮০টির বেশি পদচিহ্ন পাওয়া গেছে।

বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচার–এ জানুয়ারিতে এ নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিল ফ্রান্সের বোঁতানিয়া সুঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। আর গবেষক দলে ছিলেন মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকায় এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাচীন মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কারের ঘটনা।

প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, ওই পদচিহ্নগুলো পাঁচজন হোমোসেপিয়েন্সের। তাঁদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। মরক্কোর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান লিক্সাস লারাচের কিউরেটর আনাস সেদরাতি বলেন, সম্ভবত এই দলটি সমুদ্রসৈকতে খাদ্যের সন্ধান করছিল। সম্ভবত তারা জেলে অথবা সমুদ্র উপকূল থেকে শামুক-ঝিনুকের মতো বিভিন্ন জিনিসের সংগ্রাহক ছিল।

নেচার–এর নিবন্ধে বলা হয়, বিশ্বে এ পর্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত সবচেয়ে প্রাচীন মানব অস্তিত্ব চিহ্নের মধ্যে মরক্কোর উপকূলের এই পদচিহ্ন অন্যতম এবং এটি উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীনতম মানবচিহ্ন।

গবেষক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জুলাইতে এক মাঠকর্মের সময় তাঁরা এই পদচিহ্নগুলো খুঁজে পান। একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাঁরা সেখানকার উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাথরের উৎস ও ধরন নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালে উত্তর-পশ্চিম মরক্কোয় তিন লাখ বছর আগের কিছু হোমোসেপিয়েন্সের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই আবিষ্কার পৃথিবীতে তত দিন পর্যন্ত জেনে আসা মানব অস্তিত্বের ইতিহাসকে আরও ১ লাখ বছর পেছনের দিকে নিয়ে যায়। সূত্র : প্রথম আলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মরক্কোতে মিলল এক লাখ বছর আগের পদচিহ্ন

প্রকাশের সময় : ১০:৪১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় প্রায় এক লাখ বছর আগের মানুষের পদচিহ্ন পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। সেখানকার লারাচে উপকূলে মানুষের ৮০টির বেশি পদচিহ্ন পাওয়া গেছে।

বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচার–এ জানুয়ারিতে এ নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিল ফ্রান্সের বোঁতানিয়া সুঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। আর গবেষক দলে ছিলেন মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকায় এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাচীন মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কারের ঘটনা।

প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, ওই পদচিহ্নগুলো পাঁচজন হোমোসেপিয়েন্সের। তাঁদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। মরক্কোর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান লিক্সাস লারাচের কিউরেটর আনাস সেদরাতি বলেন, সম্ভবত এই দলটি সমুদ্রসৈকতে খাদ্যের সন্ধান করছিল। সম্ভবত তারা জেলে অথবা সমুদ্র উপকূল থেকে শামুক-ঝিনুকের মতো বিভিন্ন জিনিসের সংগ্রাহক ছিল।

নেচার–এর নিবন্ধে বলা হয়, বিশ্বে এ পর্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত সবচেয়ে প্রাচীন মানব অস্তিত্ব চিহ্নের মধ্যে মরক্কোর উপকূলের এই পদচিহ্ন অন্যতম এবং এটি উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীনতম মানবচিহ্ন।

গবেষক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জুলাইতে এক মাঠকর্মের সময় তাঁরা এই পদচিহ্নগুলো খুঁজে পান। একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাঁরা সেখানকার উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাথরের উৎস ও ধরন নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালে উত্তর-পশ্চিম মরক্কোয় তিন লাখ বছর আগের কিছু হোমোসেপিয়েন্সের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই আবিষ্কার পৃথিবীতে তত দিন পর্যন্ত জেনে আসা মানব অস্তিত্বের ইতিহাসকে আরও ১ লাখ বছর পেছনের দিকে নিয়ে যায়। সূত্র : প্রথম আলো।