বাঙালি বিজ্ঞানীর হাত ধরে প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি ভারতে
- প্রকাশের সময় : ১১:০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
- / ১০৮ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও উন্নত দেশে নয়, এবার ভারতেই দেখা মিলবে উড়ন্ত ট্যাক্সির। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ভারতের আইআইটি মাদ্রাজের এক বাঙালি বিজ্ঞানী। ই২০০ নামে উড়ন্ত এই ট্যাক্সিটি তৈরি করেছে ‘ইপ্লেন’ সংস্থা। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠাতা আইআইটি মাদ্রাজের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশিষ্ট অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী। ভারতের ইলন মাস্ক হিসেবেও পরিচিত তিনি।
ইতোমধ্যেই ই২০০ ট্যাক্সির একটি ছোট ভার্সন ই৫০ এর সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ই২০০ ট্যাক্সিটির প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হতে পারে। বিশেষ এই ট্যাক্সি ভারতের ব্যস্ত শহরগুলোতে যানজটের সমস্যা দূর করায় ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী কোম্পানিটি।
অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী বলেছেন, ভারতের স্থান সঙ্কুলানের কথা মাথায় রেখেই এই ট্যাক্সির নকশা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাটারির চার্জ ধারণ ক্ষমতার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। একবার চার্জ করলে এটি একাধিকবার স্বল্প দূরত্বের যাত্রা করতে পারবে।
ট্যাক্সিটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেছেন, সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তায়। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে কঠোর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ট্যাক্সিতে একটি বহুমুখী নিরাপত্তা কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।
ট্যাক্সিটির বিভিন্ন উপাদান এবং সাবসিস্টেমের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই কৌশলগুলো ১০০ কোটি বারের মধ্যে মাত্র ১ বার ব্যর্থ হতে পারে। ট্যাক্সিকে চরম পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য ব্যর্থতা মোকাবিলা করার ক্ষমতা দিয়েই তৈরি করা হয়েছে
এ বিষয়ে অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী আরও জানিয়েছেন, জরুরি পরিস্থিতিতে সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্যারাসুট এবং ইনফ্ল্যাটেবলের মতো জরুরি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উড়ন্ত অবস্থান স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য নেওয়া হয়েছে উল্লম্ব রোটর এবং এরোডাইনামিক ডিজাইন নীতির মতো উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা। এমনকি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ট্যাক্সিটি উড়ান এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারবে।
দুটি ডানা এবং উল্লম্ব রোটর ট্যাক্সিটির ওজন বহন করবে। এই দুই ব্যবস্থা জরুরী পরিস্থিতিতে ট্যাক্সিটিকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেবে। উড়ন্ত এই ট্যাক্সিসেবা চালু হলে এর খরচ সাধারণ ট্যাক্সির চেয়ে বেশি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভাড়া উবারের ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ দিতে হবে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।