নিউইয়র্ক ০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভিডিও বার্তার প্রতিটি শব্দ রাজবধূ কেটের লেখা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৯ বার পঠিত

প্রিন্সেস অব ওয়েলস ও ব্রিটেনের হবু রানি কেট মিডলটনের ক্যান্সার আক্রান্তের খবর নিয়ে, এখনও জোর চর্চা চলছে বিশ্বজুড়ে, যার পুরোটা জুড়েই রয়েছে এই কঠিন সময়ে তার পাশে থাকার ঘোষণা, দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রার্থনার সঙ্গে সমবেদনা আর ভালোবাসা।

যুবরাজ উইলিয়মের ৪২ বছরের স্ত্রী মিডেলটন নিজেই তার ব্যাধির কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনরা চোখের জল ফেলতে শুরু করেন রাজবধূর জন্য। তাকে নিয়ে কয়েকদিন ধরে মজা-মশকরার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন অনেকে। তবে দ্রুত আরোগ্য কামনা, দুঃখ প্রকাশ এবং পাশে থাকার বার্তার ঝড় বইছে এখন।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জানুয়ারির গোঁড়ার দিকে পেটে এক অস্ত্রোপচারের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ক্যান্সার আক্রান্তের খবর জানতে পারেন কেট মিডলটন। এমন খবরে কিছুটা হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও, দ্রুত সামলে উঠেই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন তিনি।

এরপরই তিনি খবরটি ব্রিটেনের নাগরিকদের জানানোর প্রস্তুতি নেন। তৈরি করেন একটি ভিডিও বার্তা। বলা হচ্ছে এই বার্তার প্রতিটি শব্দ কেট নিজেই লিখেছেন, রাজপরিবারের কারও সাহায্য নেননি। যথেষ্ট সময় ও শক্তি অর্জনের পর তিনি তার বক্তব্য লিখতে শুরু করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। রাজবধূ কেট মিডেলটনের স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ব্রিটেনে মুখরোচক সব গল্প ভেসে বেড়াচ্ছিলো। ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসীরা এমন কথাও রটিয়ে দেন যে, ভবিষ্যতের রানি স্নায়বিক দুর্বলতায় আক্রান্ত হয়ে শয্যা নিয়েছেন। এমনকি তিনি বেঁচে আছেন কিনা- সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিলো।

শেষ পর্যন্ত নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে ভিডিও বার্তা প্রচার করেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস। কেট জানিয়েছেন, জানুয়ারির গোঁড়ার দিকে পেটে তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিলো। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল তখনও ক্যান্সার ছিলো না। কিন্তু তারপর আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় জানা যায় ক্যান্সার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রিভেনটিভ কেমোথেরাপি শুরু হয়। জনজীবন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার দুই মাস পর এই খবরটি জানান কেট। বিশ্বের সব ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষদের উদ্দেশে কেট বলেন, যে সব মানুষ এই রোগে ভুগছেন তারা আশা ছাড়বেন না। আপনি একা নন।

রাজবধূ আরও বলেন, অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। এখন পরিবারকে সময় দেওয়াই অগ্রাধিকার। পরিবারের স্বার্থে আমি এবং উইলিয়াম বিষয়টিকে যতটা সম্ভব গোপন রাখার চেষ্টা করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের পরিবারের চাই একটু গোপনীয়তা।

কিন্তু এতেও কি শেষ রক্ষা হলো? সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আসছে। বলা হচ্ছে, কেট মিডলটনের ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। সেটি আসল রাজবধূ নয়। তবে এমন গুজবে পানি ঢেলে দিয়েছে ডেইলি মিররের প্রতিবেদন। বলা হয়েছে বার্তার প্রতিটি শব্দ বহু রানির হাতেই লেখা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভিডিও বার্তার প্রতিটি শব্দ রাজবধূ কেটের লেখা

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

প্রিন্সেস অব ওয়েলস ও ব্রিটেনের হবু রানি কেট মিডলটনের ক্যান্সার আক্রান্তের খবর নিয়ে, এখনও জোর চর্চা চলছে বিশ্বজুড়ে, যার পুরোটা জুড়েই রয়েছে এই কঠিন সময়ে তার পাশে থাকার ঘোষণা, দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রার্থনার সঙ্গে সমবেদনা আর ভালোবাসা।

যুবরাজ উইলিয়মের ৪২ বছরের স্ত্রী মিডেলটন নিজেই তার ব্যাধির কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনরা চোখের জল ফেলতে শুরু করেন রাজবধূর জন্য। তাকে নিয়ে কয়েকদিন ধরে মজা-মশকরার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন অনেকে। তবে দ্রুত আরোগ্য কামনা, দুঃখ প্রকাশ এবং পাশে থাকার বার্তার ঝড় বইছে এখন।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জানুয়ারির গোঁড়ার দিকে পেটে এক অস্ত্রোপচারের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ক্যান্সার আক্রান্তের খবর জানতে পারেন কেট মিডলটন। এমন খবরে কিছুটা হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও, দ্রুত সামলে উঠেই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন তিনি।

এরপরই তিনি খবরটি ব্রিটেনের নাগরিকদের জানানোর প্রস্তুতি নেন। তৈরি করেন একটি ভিডিও বার্তা। বলা হচ্ছে এই বার্তার প্রতিটি শব্দ কেট নিজেই লিখেছেন, রাজপরিবারের কারও সাহায্য নেননি। যথেষ্ট সময় ও শক্তি অর্জনের পর তিনি তার বক্তব্য লিখতে শুরু করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। রাজবধূ কেট মিডেলটনের স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ব্রিটেনে মুখরোচক সব গল্প ভেসে বেড়াচ্ছিলো। ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসীরা এমন কথাও রটিয়ে দেন যে, ভবিষ্যতের রানি স্নায়বিক দুর্বলতায় আক্রান্ত হয়ে শয্যা নিয়েছেন। এমনকি তিনি বেঁচে আছেন কিনা- সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিলো।

শেষ পর্যন্ত নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে ভিডিও বার্তা প্রচার করেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস। কেট জানিয়েছেন, জানুয়ারির গোঁড়ার দিকে পেটে তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিলো। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল তখনও ক্যান্সার ছিলো না। কিন্তু তারপর আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় জানা যায় ক্যান্সার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রিভেনটিভ কেমোথেরাপি শুরু হয়। জনজীবন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার দুই মাস পর এই খবরটি জানান কেট। বিশ্বের সব ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষদের উদ্দেশে কেট বলেন, যে সব মানুষ এই রোগে ভুগছেন তারা আশা ছাড়বেন না। আপনি একা নন।

রাজবধূ আরও বলেন, অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। এখন পরিবারকে সময় দেওয়াই অগ্রাধিকার। পরিবারের স্বার্থে আমি এবং উইলিয়াম বিষয়টিকে যতটা সম্ভব গোপন রাখার চেষ্টা করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের পরিবারের চাই একটু গোপনীয়তা।

কিন্তু এতেও কি শেষ রক্ষা হলো? সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আসছে। বলা হচ্ছে, কেট মিডলটনের ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। সেটি আসল রাজবধূ নয়। তবে এমন গুজবে পানি ঢেলে দিয়েছে ডেইলি মিররের প্রতিবেদন। বলা হয়েছে বার্তার প্রতিটি শব্দ বহু রানির হাতেই লেখা।