জন্মহার বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিম্বাণু সংরক্ষণের উদ্যোগ
- প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪৭ বার পঠিত
দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার কমে যাওয়ায় সিউলের কর্মকর্তাদের সাহায্য নতুন একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে দেশটি। জন্মহার বৃদ্ধিতে ডিম্বাণু সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই উদ্যোগটির দ্রুত জনসংখ্যার পতন ঠেকানোর সম্ভাবনা কম। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় নারীপ্রতি জন্মহার ছিল মাত্র দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশগুলোর অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে যে হারে বয়স্ক জনগণ বাড়ছে, সে তুলনায় জন্মহার কমছে। ফলে দ্রুত জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সিউল শহর কর্তৃপক্ষ জন্মহার বাড়াতে ডিম্বাণু সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ভর্তুকি দেওয়ার মতো সুবিধা চালু করেছে।
কোরিয়ায় নব্বইয়ের দশক থেকে ডিম্বাণু হিমায়িত করে রাখার প্রযুক্তি থাকলেও এত দিন এ বিষয়ে সচেতনতা ও চাহিদা কম ছিল। এখন এই প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে। দেশটির সরকার জন্মহার বৃদ্ধি করতে বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। এর আগে দেশটি একজন মাকে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ১ হাজার ৫১০ ডলার বা ২০ লাখ ওন দেওয়ার নিয়ম চালু করে।
এছাড়াও, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা খরচ মেটাতে চাল করে একাধিক সুবিধা। এরপরও আশানুরূপ ফল আসেনি। যদিও অবিবাহিত নারীরা তাদের ডিম হিমায়িত করতে পারে, তবে বাস্তবে উদ্যোগটি শুধুমাত্র সেই নারীদেরই সাহায্য করবে যারা বিয়ে করবে। কারণ ক্লিনিকগুলোতে গর্ভধারণ (আইইউআই) এবং ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) জন্য গেলে, বিবাহের নথির প্রয়োজন হয়। ফলে অবিবাহিতদের জন্য এটি একটি সমস্যা।
ডিম্বানু হিমায়িত করে নারীরা বেশি বয়সেও সন্তান নিতে পারবে। তবে ডিম্বানুর গুণমান তীব্রভাবে হ্রাস পাওয়ার আগে, সাধারণত ৩৮ বছর বয়সের পর থেকে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে ধারণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বলেছে, “কোরিয়ান নারীদের ডিম্বানু হিমায়িত করার উদ্যোগের অর্থ হলো, ভবিষ্যত সন্তান জন্মের সম্ভাবনাগুলোতে সিউল কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগ। এটা সবচেয়ে বাস্তব সমাধান হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। তারা আরো বলেছে, ‘বিবাহ এবং গর্ভাবস্থার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাজে নারীদের অংশগ্রহণ আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন নারীরা ভবিষ্যতে গর্ভধারণ এবং সন্তান জন্ম দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।’ সূত্র: এএফপি