নিউইয়র্ক ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মরুভূমি হওয়া সত্ত্বেও দুবাই যে কারণে কোটি কোটি টাকার বালি কেনে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৭ বার পঠিত

ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বদলে যাওয়া দুবাই, ঝা চকচকা শহর। ধু ধু মরুভূমির মধ্যে দেখা মেলে আকাশচুম্বি সব অট্টালিকার। এমনকি বিশ্বের সবচেয় উঁচু ভবন বুর্জ খলিফাও দুবাইতে অবস্থিত। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে বিলাসবহুল এই শহর। অনেকে তো রীতিমতো সেকেন্ড হোম বানিয়ে ফেলেছেন মরুময় দুবাইকে। ফলে দিনকে দিন বাড়ছে আবাসন সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বালুর চাহিদা। কিন্তু হাজার হাজার মাইলের মরুভূমিতে তো কোনোভাবেই বালুর সংকট হওয়ার কথা না। তবুও বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার বালু কিনছে দুবাই প্রশাসন।

কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, টেকসই ও বিলাসবহুল অবকাঠামো তৈরি করতে যে ধরনের বালি প্রয়োজন তা আরব আমিরাতে নেই। সেখানকার বালি খুব মিহি। তা দিয়ে নির্মাণ সম্ভব নয়। মরুভূমির বালি কিছুটা ধুলির মতো। ক্রমাগত হাওয়ার সঙ্গে উড়ে যায়। এক কণা অন্য কণার সঙ্গে ঘর্ষিত হয়। সে কারণে বালি খুব মিহি হয়। তাই মরুভূমির বালি দিয়ে নির্মাণ হয় না। নির্মাণের জন্য প্রয়োজন তুলনায় মোটা বালি। তা পাওয়া যায় নদী বা সমুদ্র থেকে।

বালির আকারের ওপর নির্ভর করে তার ব্যবহার। মোটা বালির সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে সিমেন্ট মেশালে তা একে অপরের সঙ্গে আটকে থাকে। নির্মাণ শক্ত হয়। আর মরুভূমির মিহি বালি ঝরে পড়ে যায়। তাই বছর বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বালি আমদানি করতে হয় তাদের।

দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা তৈরির আগে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বালি আমদানি করেছিল আরব আমিরাত সরকার। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছিল সেই বালি। শুধু নির্মাণ নয়, ইট, কাচ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বালি। পৃথিবীতে জলের পরেই প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় এই বালি।

জানা যায়, ২০১৪ সালে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ আমেরিকান ডলারের বালি আমদানি করেছিল আবর আমিরাত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা পৃথিবীতে বালি খননকে ঘিরে যে ব্যবসা রয়েছে, তার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি ডলার। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মরুভূমি হওয়া সত্ত্বেও দুবাই যে কারণে কোটি কোটি টাকার বালি কেনে

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বদলে যাওয়া দুবাই, ঝা চকচকা শহর। ধু ধু মরুভূমির মধ্যে দেখা মেলে আকাশচুম্বি সব অট্টালিকার। এমনকি বিশ্বের সবচেয় উঁচু ভবন বুর্জ খলিফাও দুবাইতে অবস্থিত। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে বিলাসবহুল এই শহর। অনেকে তো রীতিমতো সেকেন্ড হোম বানিয়ে ফেলেছেন মরুময় দুবাইকে। ফলে দিনকে দিন বাড়ছে আবাসন সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বালুর চাহিদা। কিন্তু হাজার হাজার মাইলের মরুভূমিতে তো কোনোভাবেই বালুর সংকট হওয়ার কথা না। তবুও বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার বালু কিনছে দুবাই প্রশাসন।

কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, টেকসই ও বিলাসবহুল অবকাঠামো তৈরি করতে যে ধরনের বালি প্রয়োজন তা আরব আমিরাতে নেই। সেখানকার বালি খুব মিহি। তা দিয়ে নির্মাণ সম্ভব নয়। মরুভূমির বালি কিছুটা ধুলির মতো। ক্রমাগত হাওয়ার সঙ্গে উড়ে যায়। এক কণা অন্য কণার সঙ্গে ঘর্ষিত হয়। সে কারণে বালি খুব মিহি হয়। তাই মরুভূমির বালি দিয়ে নির্মাণ হয় না। নির্মাণের জন্য প্রয়োজন তুলনায় মোটা বালি। তা পাওয়া যায় নদী বা সমুদ্র থেকে।

বালির আকারের ওপর নির্ভর করে তার ব্যবহার। মোটা বালির সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে সিমেন্ট মেশালে তা একে অপরের সঙ্গে আটকে থাকে। নির্মাণ শক্ত হয়। আর মরুভূমির মিহি বালি ঝরে পড়ে যায়। তাই বছর বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বালি আমদানি করতে হয় তাদের।

দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা তৈরির আগে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বালি আমদানি করেছিল আরব আমিরাত সরকার। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছিল সেই বালি। শুধু নির্মাণ নয়, ইট, কাচ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বালি। পৃথিবীতে জলের পরেই প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় এই বালি।

জানা যায়, ২০১৪ সালে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ আমেরিকান ডলারের বালি আমদানি করেছিল আবর আমিরাত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা পৃথিবীতে বালি খননকে ঘিরে যে ব্যবসা রয়েছে, তার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি ডলার। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ

হককথা/নাছরিন