নিউইয়র্ক ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র সূচকের পতন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৩০ বার পঠিত

বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র সূচকের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। প্রতিবেদনে ১৬৫টি স্বাধীন রাষ্ট্র ও দু’টি অঞ্চলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের মান কমেছে। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যথাক্রমে নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড ও আইসল্যান্ড। তালিকার একদম নিচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। এই তালিকায় বিভিন্ন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘মিশ্র শাসন ব্যবস্থা’, ‘স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা’ ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গণতন্ত্র সূচকে গতবারের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৫তম।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের অবস্থান ৪১তম। শ্রীলঙ্কার ৭০তম। অন্যদিকে বাংলাদেশের পরে রয়েছে ভূটান (৮১তম), নেপাল (৯৮তম) ও পাকিস্তান (১১৮তম)। ভারতকে রাখা হয়েছে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ বিভাগে। যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনার’ জন্য ভারতের গণতন্ত্র সূচকের সামান্য উন্নতি হয়েছে। ভারতের প্রাপ্ত নম্বর ৭ দশমিক ১৮।

অন্য দিকে, চীনের অর্থনৈতিক বিকাশের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলেও গণতন্ত্র সূচকের তালিকায় তারা অনেকটাই নিচের দিকে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ২ দশমিক ১২, তালিকায় স্থান ১৪৮। ২০২২ থেকে ২০২৩-এ বিশ্বে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের’ সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গণতন্ত্র সূচকের গড়ে পতন হয়েছে। ২০২২-এ গড় ছিল ৫ দশমিক ২৯। কিন্তু ২০২৩-এ সেটি হয়েছে ৫ দশমিক ২৩। পশ্চিম ইউরোপ ছাড়া গোটা বিশ্বেই গণতন্ত্র সূচকের পতন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

গণতন্ত্র সূচকে পশ্চিম ইউরোপ উত্তর আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বলা হয়েছে, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি সব থেকে উদ্বেগজনক। যে দেশগুলোর গণতান্ত্রিককাঠামোর উন্নতি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে গ্রিস (আংশিক গণতন্ত্র থেকে পূর্ণ গণতন্ত্র), পাপুয়া নিউ গিনি ও প্যারাগুয়ে (মিশ্র শাসন ব্যবস্থা থেকে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র) এবং আঙ্গোলা (স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা থেকে মিশ্র শাসন ব্যবস্থা)। সূত্র : জাগোনিউজ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র সূচকের পতন

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র সূচকের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। প্রতিবেদনে ১৬৫টি স্বাধীন রাষ্ট্র ও দু’টি অঞ্চলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের মান কমেছে। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যথাক্রমে নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড ও আইসল্যান্ড। তালিকার একদম নিচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। এই তালিকায় বিভিন্ন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘মিশ্র শাসন ব্যবস্থা’, ‘স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা’ ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গণতন্ত্র সূচকে গতবারের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৫তম।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের অবস্থান ৪১তম। শ্রীলঙ্কার ৭০তম। অন্যদিকে বাংলাদেশের পরে রয়েছে ভূটান (৮১তম), নেপাল (৯৮তম) ও পাকিস্তান (১১৮তম)। ভারতকে রাখা হয়েছে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ বিভাগে। যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনার’ জন্য ভারতের গণতন্ত্র সূচকের সামান্য উন্নতি হয়েছে। ভারতের প্রাপ্ত নম্বর ৭ দশমিক ১৮।

অন্য দিকে, চীনের অর্থনৈতিক বিকাশের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলেও গণতন্ত্র সূচকের তালিকায় তারা অনেকটাই নিচের দিকে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ২ দশমিক ১২, তালিকায় স্থান ১৪৮। ২০২২ থেকে ২০২৩-এ বিশ্বে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের’ সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গণতন্ত্র সূচকের গড়ে পতন হয়েছে। ২০২২-এ গড় ছিল ৫ দশমিক ২৯। কিন্তু ২০২৩-এ সেটি হয়েছে ৫ দশমিক ২৩। পশ্চিম ইউরোপ ছাড়া গোটা বিশ্বেই গণতন্ত্র সূচকের পতন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

গণতন্ত্র সূচকে পশ্চিম ইউরোপ উত্তর আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বলা হয়েছে, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি সব থেকে উদ্বেগজনক। যে দেশগুলোর গণতান্ত্রিককাঠামোর উন্নতি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে গ্রিস (আংশিক গণতন্ত্র থেকে পূর্ণ গণতন্ত্র), পাপুয়া নিউ গিনি ও প্যারাগুয়ে (মিশ্র শাসন ব্যবস্থা থেকে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র) এবং আঙ্গোলা (স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা থেকে মিশ্র শাসন ব্যবস্থা)। সূত্র : জাগোনিউজ।