নিউইয়র্ক ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চিলিতে দাবানলে নিহত বেড়ে ১১২, জরুরি অবস্থা জারি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে।এ ঘটনায় এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক।

বার্তা সংস্থা এএফপি, এনডিটিভি, সিনহুয়া, রয়টার্স ও বিবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে চিলির মধ্যাঞ্চলের বনে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানল এখন শহরাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনী ও জরুরি পরিষেবাকর্মীরা আগুন ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছে।

চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণায় বলেছেন, দাবানল পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব রকমের সহায়তা প্রদান করা হবে। স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতাও জারি করেছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের।

চিলির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, দেশটির ভালপারাইসো অঞ্চলে শুরু হওয়া দাবানল এখনো নেভানো সম্ভব হয়নি। আগুন তীব্র গতিতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ম্যানুয়েল মনসালভে জানিয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১১২ জনের মরদেহ এসেছে। নিহতদের মধ্যে ৩৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই দাবানলসহ দেশের অন্তত ৪০টি স্থানে সক্রিয় দাবানল আছে বলেও জানান তিনি।

চিলির সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ভালপারাইসো। সেখানে দাবানলে অন্তত ১১শ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চিলির আবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দাবানলে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর গত শনিবার ভিনা ডেল মার, লিমাচে, কুইলপু ও ভিলা আলেমনায় কারফিউও জারি করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা শনিবার দিনের শুরুতে বলেছিলেন, দেশের মধ্য ও দক্ষিণে ৯২টি বনে আগুন জ্বলছে। এই সপ্তাহে পুরো এলাকাজুড়েই তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেশি। ভালপারাইসোতে দমকলকর্মী ও অন্যান্য জরুরি যানবাহন যাতে নির্বিঘ্নে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারে সেজন্য এসব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের দূরে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

তোহা আরও বলেন, কুইলপু ও ভিলা আলেমানা শহরের কাছে দুটি বনে আগুন লেগে শুক্রবার থেকে কমপক্ষে ৮ হাজার হেক্টর (১৯,৭৭০ একর) বনভূমি পুড়ে গেছে। দাবানলে হুমকির মুখে রয়েছে উপকূলীয় শহর ভিনা দেল মার। সেখানে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে আগুন।

উল্লেখ্য, এটি চিলির স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক দাবানল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালে একই রকমভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল চিলিতে। সে সময় দাবানলের জেরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২২ জন মানুষ। ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল ৪ লাখ হেক্টর জমি।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চিলিতে দাবানলে নিহত বেড়ে ১১২, জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে।এ ঘটনায় এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক।

বার্তা সংস্থা এএফপি, এনডিটিভি, সিনহুয়া, রয়টার্স ও বিবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে চিলির মধ্যাঞ্চলের বনে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানল এখন শহরাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনী ও জরুরি পরিষেবাকর্মীরা আগুন ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছে।

চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণায় বলেছেন, দাবানল পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব রকমের সহায়তা প্রদান করা হবে। স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতাও জারি করেছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের।

চিলির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, দেশটির ভালপারাইসো অঞ্চলে শুরু হওয়া দাবানল এখনো নেভানো সম্ভব হয়নি। আগুন তীব্র গতিতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ম্যানুয়েল মনসালভে জানিয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১১২ জনের মরদেহ এসেছে। নিহতদের মধ্যে ৩৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই দাবানলসহ দেশের অন্তত ৪০টি স্থানে সক্রিয় দাবানল আছে বলেও জানান তিনি।

চিলির সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ভালপারাইসো। সেখানে দাবানলে অন্তত ১১শ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চিলির আবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দাবানলে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর গত শনিবার ভিনা ডেল মার, লিমাচে, কুইলপু ও ভিলা আলেমনায় কারফিউও জারি করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা শনিবার দিনের শুরুতে বলেছিলেন, দেশের মধ্য ও দক্ষিণে ৯২টি বনে আগুন জ্বলছে। এই সপ্তাহে পুরো এলাকাজুড়েই তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেশি। ভালপারাইসোতে দমকলকর্মী ও অন্যান্য জরুরি যানবাহন যাতে নির্বিঘ্নে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারে সেজন্য এসব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের দূরে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

তোহা আরও বলেন, কুইলপু ও ভিলা আলেমানা শহরের কাছে দুটি বনে আগুন লেগে শুক্রবার থেকে কমপক্ষে ৮ হাজার হেক্টর (১৯,৭৭০ একর) বনভূমি পুড়ে গেছে। দাবানলে হুমকির মুখে রয়েছে উপকূলীয় শহর ভিনা দেল মার। সেখানে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে আগুন।

উল্লেখ্য, এটি চিলির স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক দাবানল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালে একই রকমভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল চিলিতে। সে সময় দাবানলের জেরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২২ জন মানুষ। ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল ৪ লাখ হেক্টর জমি।

হককথা/নাছরিন