নিউইয়র্ক ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানাল বাংলাদেশসহ যেসব দেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৮ বার পঠিত

চীন-তাইওয়ান টানাপোড়েনে অধিকাংশ দেশই চীনের ‘এক চীন’ নীতি অনুসরণ করছে। প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন ঘিরে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চীন-তাইওয়ানের রাজনীতি। চীন বারবার দৃঢ়ভাবে দাবি করেছে, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ড এবং অঞ্চলটির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে তারা স্বীকার করে না। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরপরই দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে নাউরু। একই সময়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

গত সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফেসবুকে শেয়ার করা এক পোস্টে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তাইওয়ানের সাম্প্রতিক নির্বাচনকে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে যেকোনো ধরনের অপ্রয়োজনীয় উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থায়িত্বের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।’

এদিকে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে—রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিসর, ইথিওপিয়া, জিম্বাবুয়ে, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, বেলারুশ, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, পাপুয়া নিউগিনি, কিউবা, ভেনেজুয়েলাসহ বিভিন্ন দেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং।

এ ছাড়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা এসসিও এবং আরব লিগের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাও নিং। তিনি বলেছেন, এসব দেশ এবং সংস্থা সরাসরি বিবৃতি দিয়ে, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এবং সংবাদ সম্মেলনে এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে চীনের প্রতি ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তাদের প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছেন।

এমনকি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানান। গত ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই বা লাই চিং-তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নির্বাচনের এই ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমরা (তাইওয়ানের) স্বাধীনতা সমর্থন করি না…।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাইপের পরিবর্তে বেইজিংকেই কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই দেশটি বলে বলে আসছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাকে সমর্থন করে না। তবে, স্বশাসিত অঞ্চলটির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তাইওয়ানকে অস্ত্রও সরবরাহ করে আসছে দেশটি।

অন্য দিকে, নাউরু কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় তাইওয়ানের আর মাত্র ১২টি মিত্র দেশ রইল। তার মধ্যে ভ্যাটিকান, গুয়াতেমালা, প্যারাগুয়ে, প্রশান্ত মহাসাগরের পালাউ, টুভালু এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ উল্লেখযোগ্য।

সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানাল বাংলাদেশসহ যেসব দেশ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন ঘিরে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চীন-তাইওয়ানের রাজনীতি। চীন বারবার দৃঢ়ভাবে দাবি করেছে, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ড এবং অঞ্চলটির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে তারা স্বীকার করে না। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরপরই দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে নাউরু। একই সময়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

গত সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফেসবুকে শেয়ার করা এক পোস্টে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তাইওয়ানের সাম্প্রতিক নির্বাচনকে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে যেকোনো ধরনের অপ্রয়োজনীয় উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থায়িত্বের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।’

এদিকে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে—রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিসর, ইথিওপিয়া, জিম্বাবুয়ে, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, বেলারুশ, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, পাপুয়া নিউগিনি, কিউবা, ভেনেজুয়েলাসহ বিভিন্ন দেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং।

এ ছাড়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা এসসিও এবং আরব লিগের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাও নিং। তিনি বলেছেন, এসব দেশ এবং সংস্থা সরাসরি বিবৃতি দিয়ে, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এবং সংবাদ সম্মেলনে এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে চীনের প্রতি ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তাদের প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছেন।

এমনকি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানান। গত ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই বা লাই চিং-তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নির্বাচনের এই ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমরা (তাইওয়ানের) স্বাধীনতা সমর্থন করি না…।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাইপের পরিবর্তে বেইজিংকেই কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই দেশটি বলে বলে আসছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাকে সমর্থন করে না। তবে, স্বশাসিত অঞ্চলটির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তাইওয়ানকে অস্ত্রও সরবরাহ করে আসছে দেশটি।

অন্য দিকে, নাউরু কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় তাইওয়ানের আর মাত্র ১২টি মিত্র দেশ রইল। তার মধ্যে ভ্যাটিকান, গুয়াতেমালা, প্যারাগুয়ে, প্রশান্ত মহাসাগরের পালাউ, টুভালু এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ উল্লেখযোগ্য।

সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন