জার্মানিতে রক্ষণশীলদের জয়

- প্রকাশের সময় : ১১:২০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৬৮ বার পঠিত
ইউরোপের দেশ জার্মানিতে রবিবার অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে ফ্রিডরিখ মিৎসের মধ্য ডানপন্থী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ও তাদের সহযোগী দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যালিস্ট ইউনিয়ন (সিএসইউ)। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাতিক্রম কিছু না ঘটলে বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ফ্রিডরিখ।
প্রাথমিক নির্বাচনি ফলাফলে সিডিইউ/সিএসইউ পেয়েছে ৬৩০ টি আসনের মধ্যে মোট ২০৪টি আসন। দলটি মোট ভোট পেয়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সিডিইউ ও সিএসইউ আলাদা দল হলেও জাতীয় নির্বাচনে তারা একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে (সিডিইউ/সিএসইউ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং সাধারণত পার্লামেন্টে একটি অভিন্ন সংসদীয় গ্রুপ গঠন করে। তবে সিএসইউ তুলনামূলকভাবে সিডিইউর চেয়ে বেশি রক্ষণশীল এবং ঐতিহ্যবাদী। সিডিইউর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণত মধ্য-ডানপন্থী, তবে সিএসইউ অনেক সময় বেশি জাতীয়তাবাদী এবং কট্টর রক্ষণশীল অবস্থান নেয়।
এদিকে এবার রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েছে দেশটির উগ্র ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। দল মোট আসন পেয়েছে ১৫২টি এবং মোট ভোট পেয়েছে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ।নির্বাচনি ফলাফলে বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানির (এসপিডি) অবস্থান তৃতীয়তে। দলটি মোট আসন পেয়েছে ১২০টি এবং ভোট পেয়েছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া দ্য গ্রিন পার্টি পেয়েছে ৮৫টি আসন ও ১১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। বামপন্থী দল দ্য লেফট পেয়েছে ৬৪টি আসন ও ৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট।
তবে নিরঙ্কুশ জয় লাভ না করায় জোট সরকার নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৪ শতাংশ ভোটার ফ্রেডরিখের দল সিডিইউয়ের সঙ্গে ওলাফ শলৎসের দল এসপিডির জোট সরকার চাইছে। এএফডির সঙ্গে সিডিইউর জোট চাইছে ৩০ শতাংশ জার্মান। আর সিডিইউ, এসপিডি ও দ্য গ্রিনের জোট চাইছে ২৫ শতাংশ জার্মান।
তাই এবারে রেকর্ড সাফল্য অর্জন করলেও ক্ষমতার কতটা কাছাকাছি যেতে পারবে এএফডি- তা নিশ্চিত নয়। তবে ফলাফলে খুশি এএফডি। বার্লিনে পার্টির সদরদপ্তর থেকে নির্বাচনের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে। এএফডির সদস্য মেরি খান বলেছেন, ‘আমরা খুবই নতুন একটি দল। গত কয়েক বছরে আমরা অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। তাই আমরা সত্যিই সন্তুষ্ট এবং সব মিলিয়ে আমরা খুশি।’