নিউইয়র্ক ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শ্রীলঙ্কায় গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর তৈরি করবে চীন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২ বার পঠিত

শ্রীলঙ্কায় কৌশলগত গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। বুধবার (২৭ মার্চ) বেইজিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা বলেছেন দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধন বলেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পুনর্গঠনে সহায়তা করবে দেশটির বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা চীন। এটি আইএমএফের ২.৯ বিলিয়ন যুক্রাষ্ট্রের ডলার ঋণ সহযোগিতার অন্যতম শর্ত। ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে বেইজিংয়ের অবস্থান প্রকাশ না করা হয়নি। শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা বলেছেন, ঋণের কিস্তি আদায়ে অনড় চীন। তবে ঋণের মেয়াদ বাড়াতে বা সুদের হার সামঞ্জস্য করতে পারে বেইজিং।

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজনীয় আমদানির অর্থায়নের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ছিল। ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের জন্য খেলাপি ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। সে সময়ের আন্দোলনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।

গুনাবর্ধনের কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করবে চীন। এছাড়া অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করবে। বিবৃতিতে বিশদ বিবরণ না দিয়ে গুনাবর্ধন জানিয়েছেন, কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও হাম্বানটোটা বন্দর উন্নয়নের জন্য সহায়তা প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার সার্বভৌম ঋণখেলাপি হওয়ার পর জাপানি অর্থায়নে কলম্বো বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ বন্ধ ছিল। হাম্বানটোটার দক্ষিণ সমুদ্রবন্দরটি ২০১৭ সালে একটি চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে ১.১২ বিলিয়ন ডলারে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। যেটি বেইজিংয়ের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের নিরাপত্তায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। হাম্বানটোটায় চীনের পা রাখা মানে ভারত মহাসাগরে নৌ-সুবিধা বেড়ে যাবে দেশটির। তাই এ বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই উদ্বিগ্ন।

কিন্তু শ্রীলঙ্কা বলছে, বন্দরগুলো কোনও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না। তবে হাম্বানটোটায় চীনা গবেষণা জাহাজের উপস্থিতিতে আপত্তি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলেছে, চীন গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এই জাহাজ ব্যবহার করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শ্রীলঙ্কায় গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর তৈরি করবে চীন

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

শ্রীলঙ্কায় কৌশলগত গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। বুধবার (২৭ মার্চ) বেইজিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা বলেছেন দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধন বলেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পুনর্গঠনে সহায়তা করবে দেশটির বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা চীন। এটি আইএমএফের ২.৯ বিলিয়ন যুক্রাষ্ট্রের ডলার ঋণ সহযোগিতার অন্যতম শর্ত। ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে বেইজিংয়ের অবস্থান প্রকাশ না করা হয়নি। শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা বলেছেন, ঋণের কিস্তি আদায়ে অনড় চীন। তবে ঋণের মেয়াদ বাড়াতে বা সুদের হার সামঞ্জস্য করতে পারে বেইজিং।

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজনীয় আমদানির অর্থায়নের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ছিল। ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের জন্য খেলাপি ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। সে সময়ের আন্দোলনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।

গুনাবর্ধনের কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করবে চীন। এছাড়া অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করবে। বিবৃতিতে বিশদ বিবরণ না দিয়ে গুনাবর্ধন জানিয়েছেন, কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও হাম্বানটোটা বন্দর উন্নয়নের জন্য সহায়তা প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার সার্বভৌম ঋণখেলাপি হওয়ার পর জাপানি অর্থায়নে কলম্বো বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ বন্ধ ছিল। হাম্বানটোটার দক্ষিণ সমুদ্রবন্দরটি ২০১৭ সালে একটি চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে ১.১২ বিলিয়ন ডলারে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। যেটি বেইজিংয়ের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের নিরাপত্তায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। হাম্বানটোটায় চীনের পা রাখা মানে ভারত মহাসাগরে নৌ-সুবিধা বেড়ে যাবে দেশটির। তাই এ বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই উদ্বিগ্ন।

কিন্তু শ্রীলঙ্কা বলছে, বন্দরগুলো কোনও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না। তবে হাম্বানটোটায় চীনা গবেষণা জাহাজের উপস্থিতিতে আপত্তি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলেছে, চীন গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এই জাহাজ ব্যবহার করতে পারে।