নিউইয়র্ক ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এএফডির সমর্থন নেওয়ায় জনপ্রিয়তা কমেছে সিডিইউ ও ম্যার্ৎসের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০ বার পঠিত

জার্মান পার্লামেন্টের দুটি প্রস্তাব পাসের জন্য অভিবাসনবিরোধী দল এএফডির সমর্থন নেওয়ায় সিডিইউ দল ও তার চ্যান্সেলর প্রার্থীর প্রতি জনসমর্থন কমেছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত জরিপে এই তথ্য জানা গেছে।

সিডিইউ দলটির প্রতি এখন ২৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে। অর্থাৎ ,আগের চেয়ে সমর্থন দুই শতাংশ কমেছে। আর এই দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সমর্থন তিন শতাংশ কমে ২২ হয়েছে। জনপ্রিয়তা কমলেও সিডিইউ এখনও সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পাওয়া দল। ম্যার্ৎসও সবচেয়ে বেশি সমর্থন থাকা চ্যান্সেলর প্রার্থী। দল হিসেবে সিডিইউর পরে আছে এএফডি (২০ শতাংশ), সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি (১৬ শতাংশ) ও সবুজ দল (১৫ শতাংশ)। আর চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে ম্যার্ৎসের সঙ্গে একই অবস্থানে আছেন সবুজ দলের প্রার্থী রব্যার্ট হাবেক (বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর)। আর এসপিডির ওলাফ শলৎস (বর্তমান চ্যান্সেলর) ও এএফডির আলিস ভাইডেল ১৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।

জার্মানির গণমাধ্যম আরটিএল ও এনটিভির জন্য জরিপটি করেছে ফোরসা ইনস্টিটিউট। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়। অভিবাসন ইস্যুতে গত বুধ ও শুক্রবার সংসদে দুটি প্রস্তাব এনেছিলেন ম্যার্ৎস। দুটিতেই তিনি এএফডির সমর্থন পেয়েছিলেন। তবে বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও শুক্রবারেরটি অল্পের জন্য পাস হয়নি। বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও সেটি বাস্তবায়নে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে শুক্রবারের প্রস্তাবটি পাস হলে তা বাস্তবায়নে আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল।

এএফডিকে নিয়ে সমস্যা কেন?
এএফডি হচ্ছে জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল। উগ্র ডানপন্থি সন্দেহে নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় এই দলের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখে। এএফডির সঙ্গে কোনো পর্যায়ে কাজ করা না নিয়ে জার্মানির অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে একধরনের সমঝোতা ছিল। তাই গত সপ্তাহে যখন ম্যার্ৎস তার প্রস্তাব পাস করতে এএফডির সমর্থন নেন তখন দেশব্যাপী বিক্ষোভ হয়েছিল। অন্যান্য দলও তার সমালোচনা করেছিল।

তবে সপ্তাহান্তে ডিডাব্লিউর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ম্যার্ৎস নিজেকে ও তার দলকে এএফডির কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বার্তা সবসময় খুব স্পষ্ট ছিল: আমরা সেই (এএফডি) দলের সাথে কাজ করছি না। বিষয়টি গত সপ্তাহে এমন ছিল না, এবং এই সপ্তাহেও নয়, পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহেও থাকবে না।’ সূত্র : বাংলাভিশন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এএফডির সমর্থন নেওয়ায় জনপ্রিয়তা কমেছে সিডিইউ ও ম্যার্ৎসের

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জার্মান পার্লামেন্টের দুটি প্রস্তাব পাসের জন্য অভিবাসনবিরোধী দল এএফডির সমর্থন নেওয়ায় সিডিইউ দল ও তার চ্যান্সেলর প্রার্থীর প্রতি জনসমর্থন কমেছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত জরিপে এই তথ্য জানা গেছে।

সিডিইউ দলটির প্রতি এখন ২৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে। অর্থাৎ ,আগের চেয়ে সমর্থন দুই শতাংশ কমেছে। আর এই দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সমর্থন তিন শতাংশ কমে ২২ হয়েছে। জনপ্রিয়তা কমলেও সিডিইউ এখনও সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পাওয়া দল। ম্যার্ৎসও সবচেয়ে বেশি সমর্থন থাকা চ্যান্সেলর প্রার্থী। দল হিসেবে সিডিইউর পরে আছে এএফডি (২০ শতাংশ), সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি (১৬ শতাংশ) ও সবুজ দল (১৫ শতাংশ)। আর চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে ম্যার্ৎসের সঙ্গে একই অবস্থানে আছেন সবুজ দলের প্রার্থী রব্যার্ট হাবেক (বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর)। আর এসপিডির ওলাফ শলৎস (বর্তমান চ্যান্সেলর) ও এএফডির আলিস ভাইডেল ১৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।

জার্মানির গণমাধ্যম আরটিএল ও এনটিভির জন্য জরিপটি করেছে ফোরসা ইনস্টিটিউট। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়। অভিবাসন ইস্যুতে গত বুধ ও শুক্রবার সংসদে দুটি প্রস্তাব এনেছিলেন ম্যার্ৎস। দুটিতেই তিনি এএফডির সমর্থন পেয়েছিলেন। তবে বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও শুক্রবারেরটি অল্পের জন্য পাস হয়নি। বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও সেটি বাস্তবায়নে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে শুক্রবারের প্রস্তাবটি পাস হলে তা বাস্তবায়নে আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল।

এএফডিকে নিয়ে সমস্যা কেন?
এএফডি হচ্ছে জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল। উগ্র ডানপন্থি সন্দেহে নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় এই দলের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখে। এএফডির সঙ্গে কোনো পর্যায়ে কাজ করা না নিয়ে জার্মানির অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে একধরনের সমঝোতা ছিল। তাই গত সপ্তাহে যখন ম্যার্ৎস তার প্রস্তাব পাস করতে এএফডির সমর্থন নেন তখন দেশব্যাপী বিক্ষোভ হয়েছিল। অন্যান্য দলও তার সমালোচনা করেছিল।

তবে সপ্তাহান্তে ডিডাব্লিউর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ম্যার্ৎস নিজেকে ও তার দলকে এএফডির কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বার্তা সবসময় খুব স্পষ্ট ছিল: আমরা সেই (এএফডি) দলের সাথে কাজ করছি না। বিষয়টি গত সপ্তাহে এমন ছিল না, এবং এই সপ্তাহেও নয়, পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহেও থাকবে না।’ সূত্র : বাংলাভিশন।