দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ক্যান্সারের হার ৮৫ শতাংশ বাড়বে: ডাব্লিউএইচও

- প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৪২ বার পঠিত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ক্যান্সারের নতুন রোগ এবং মৃত্যুর হার ২০৫০ সালের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বাড়বে। এই তথ্য বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের আগে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করার আহ্বান জানায়।
ডাব্লিউএইচও ( WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, “এই বছরের থিম ‘ইউনাইটেড বাই ইউনিক’ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে একত্রিত প্রতিশ্রুতি প্রদানের প্রতীক।” তিনি আরও যোগ করেন, “WHO প্রতিটি রোগীর অভিজ্ঞতার গুরুত্ব জানে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের, পরিবার, বন্ধু ও সম্প্রদায়ের যৌথ প্রচেষ্টায় মানুষের-কেন্দ্রিক যত্নের গুরুত্ব বুঝতে পারে।”
২০২২ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ২.৪ মিলিয়ন নতুন ক্যান্সার রোগী এবং ১.৫ মিলিয়ন মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে, যার মধ্যে ৫৬,০০০ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত। এ অঞ্চলে ঠোঁট ও মুখগহ্বর, জরায়ুর ক্যান্সার এবং শিশুদের ক্যান্সার সর্বাধিক ছিল। WHO জানিয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যান্সারের নতুন রোগ এবং মৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
ডাব্লিউএইচও এর দক্ষিণ-পূর্ব এর আঞ্চলিক পরিচালক আরও বলেন, এই অঞ্চলে তামাক ব্যবহারের হার দ্রুত কমেছে, যা বেশ কয়েকটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ক্যান্সারের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। তিনি জানান, ৬টি দেশ ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ২টি দেশ ক্যান্সারকে জাতীয় নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (NCD) পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া ৮টি দেশে HPV টিকা চালু হয়েছে, এবং ১০টি দেশ শিশু ক্যান্সারের জন্য বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তবে, ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কিছু চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং পরিকল্পনা প্রমাণ বা সেরা অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, যার কারণে তাদের কার্যকর বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। ক্যান্সারের প্রতিরোধে বিদ্যমান নীতিমালা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না, যা লক্ষ লক্ষ প্রতিরোধযোগ্য ক্যান্সারের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সূত্র : গাল্ফ নিউজ