ভুল উবারে মাতাল যুক্তরাষ্ট্রের নারী, জেগে দেখেন বিবস্ত্র
- প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৩৮ বার পঠিত
বন্ধুদের সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফ্লোরিডা বেড়াতে গিয়েছিলেন এক যুক্তরাষ্ট্রের নারী। মিয়ামি বিচে ঘোরাঘুরি অতপর পানশালায় গিয়ে আনন্দ উল্লাস। বান্ধবীর মোটেলে ফেরার জন্য অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস উবারে গাড়ি ডাকেন এক বন্ধু। এ সময় ভুল পরিচয়ে ওই নারীকে মোটেলে নিয়ে যান ড্যানি অ্যাভেসিলাস (৪৯) নামের আরেকজন চালক।
ভুক্তভোগী বলেন, তিনি আমাকে বিশ্বাস করান ওটা আমার উবার। তিনি আমাকে গাড়িতে উঠতে বলেন। এটি দেখতে অবিকল সেই গাড়ির মতো ছিল যার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। ওই নারী জানান, গাড়িতে উঠার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি চেতনা ফিরে পান এবং জেগে উঠে নিজেকে বিবস্ত্র আবিষ্কার করেন।
চালক ড্যানির বিরুদ্ধে অপহরণ, ক্রেডিট কার্ড ও পরিচয়পত্র জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ওই নারীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, অভিযুক্ত এর আগেও অন্য নারী যাত্রীদের সঙ্গে এমন কিছু করেছেন কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট ও সিবিএস নিউজের।
পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ দেখা গেছে, মিয়ামি বিচের ওল্ড সিটি হলের সামনে এক বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভুক্তভোগী। এ সময় ওই চালক তাকে গাড়িতে তোলেন, নির্দিষ্ট মোটেলের পরিবর্তে দূরের আরেকটি মোটেলে নিয়ে যান। যদিও ভুক্তভোগী সেখানে কীভাবে পৌঁছান তা মনে করতে পারছেন না।
হলফনামায় বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ড্যানি দুই বার ভুক্তভোগীর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন। তিনি মোটেলে যাওয়ার পথে গাড়িতে তেল ভরেছেন এবং ঘণ্টাপ্রতি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আদালতে ভুক্তভোগী বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি আঘাত পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি জানি না আমার সঙ্গে কি করেছিল। আমি হাঁটুর ইনজুরির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
মিয়ামি পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ড্যানি হোন্ডা এইচআর-ভি গাড়ির চালক। তিনি সন্ধ্যার সময় নারীদের রাইড শেয়ারের জন্য অপেক্ষা করেন। তাদের প্রলুব্ধ করেন। এছাড়া নেশা ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে নারী যাত্রীদের তিনি যৌন নির্যাতনও করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর ড্যানির লাইসেন্স বাতিল করেছে উবার। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এই জঘন্য আচরণ বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ নেই। বিষয়টি জানা মাত্রই আমরা চালকের লাইসেন্স বাতিল করেছি। এ বিষয়ে তদন্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করছি। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল।