নিউইয়র্ক ০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আফগানিস্তানের নির্যাতিত নারীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে : জাতিসংঘ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের তালেবান সরকার নির্যাতিত নারীদের সুরক্ষার দোহাই দিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠাচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন পদক্ষেপের কারণে ঐ নারীদের মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। এতে বলা হয়, আফগানিস্তানে নারীদের জন্য রাষ্ট্র-পরিচালিত আর কোনো আশ্রয়কেন্দ্রও নেই। কারণ, তালেবান সরকার এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছে না।

বিশ্বে নারী অধিকার সবচেয়ে কঠোরভাবে দমন করা দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম। দেশটিতে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) বলছে, আফগান নারী ও মেয়েদের ওপর পুরুষের নির্যাতনের ঘটনা তালেবান গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই অনেক বেশি। তবে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে এমন নির্যাতনের ঘটনা নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশকে ঘিরে ধরা অর্থনৈতিক, আর্থিক ও মানবিক সংকটের প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এমনটি ঘটছে বলে জানিয়েছে ইউএনএএমএ। নারীদেরকে দিনদিনই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি করে ফেলা হচ্ছে। এতে করে তাদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা কিংবা পুরুষ সঙ্গীর অত্যাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

ইউএনএএমএ জানায়, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের আগে, আফগানিস্তানে নারীদের জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ছিল। কিন্তু এগুলো এখন আর নেই। তালেবান কর্মকর্তারা ইউএনএএমএ-কে বলেছেন, এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্রের কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ নারীদেরকে তাদের স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই থাকতে হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্র হচ্ছে ‘পশ্চিমা ধারণা’। কর্মকর্তারা বলেন, তারা পরিবারের পুরুষ সদস্যদেরকে নির্যাতিত নারীদের ক্ষতি না করার প্রতিশ্রুতি দিতে বলবেন।

ইউএনএএমএ জানায়, নির্যাতনের শিকার কোনো নারীর সঙ্গে থাকার মতো কোনো পুরুষ আত্মীয় না থাকলে, কিংবা তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে থাকলে সেক্ষেত্রে সেই নারীর সুরক্ষার জন্য তাকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আফগানিস্তানের নির্যাতিত নারীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে : জাতিসংঘ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের তালেবান সরকার নির্যাতিত নারীদের সুরক্ষার দোহাই দিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠাচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন পদক্ষেপের কারণে ঐ নারীদের মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। এতে বলা হয়, আফগানিস্তানে নারীদের জন্য রাষ্ট্র-পরিচালিত আর কোনো আশ্রয়কেন্দ্রও নেই। কারণ, তালেবান সরকার এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছে না।

বিশ্বে নারী অধিকার সবচেয়ে কঠোরভাবে দমন করা দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম। দেশটিতে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) বলছে, আফগান নারী ও মেয়েদের ওপর পুরুষের নির্যাতনের ঘটনা তালেবান গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই অনেক বেশি। তবে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে এমন নির্যাতনের ঘটনা নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশকে ঘিরে ধরা অর্থনৈতিক, আর্থিক ও মানবিক সংকটের প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এমনটি ঘটছে বলে জানিয়েছে ইউএনএএমএ। নারীদেরকে দিনদিনই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি করে ফেলা হচ্ছে। এতে করে তাদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা কিংবা পুরুষ সঙ্গীর অত্যাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

ইউএনএএমএ জানায়, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের আগে, আফগানিস্তানে নারীদের জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ছিল। কিন্তু এগুলো এখন আর নেই। তালেবান কর্মকর্তারা ইউএনএএমএ-কে বলেছেন, এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্রের কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ নারীদেরকে তাদের স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই থাকতে হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্র হচ্ছে ‘পশ্চিমা ধারণা’। কর্মকর্তারা বলেন, তারা পরিবারের পুরুষ সদস্যদেরকে নির্যাতিত নারীদের ক্ষতি না করার প্রতিশ্রুতি দিতে বলবেন।

ইউএনএএমএ জানায়, নির্যাতনের শিকার কোনো নারীর সঙ্গে থাকার মতো কোনো পুরুষ আত্মীয় না থাকলে, কিংবা তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে থাকলে সেক্ষেত্রে সেই নারীর সুরক্ষার জন্য তাকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

হককথা/নাছরিন